গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগ by মিলাদ জয়নুল
বিয়ানীবাজার
উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে ফের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ফলে নেতৃত্ব
নির্বাচনে গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত এখানকার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দফায়-দফায়
বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করছেন। গ্রুপভিত্তিক এখানকার বর্তমান রাজনীতিতে
শেষ পর্যন্ত টাকার খেলা চলবে- তাই দেশ-বিদেশ থেকে তহবিলও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিয়ানীবাজারে প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। মাঝে মধ্যে জেলা অথবা কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হলেও তা নিয়ে অনুযোগ-অভিযোগের শেষ থাকে না। বর্তমানেও প্রায় চার বছর থেকে এখানে ছাত্রলীগের উপজেলা, কলেজ ও পৌর কমিটি নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় নেতৃত্বের জটলায় জর্জরিত ছাত্রলীগ। কী কারণে বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অচলাবস্থা তা অনেকের অজানা। ৯০ দশকের পূর্ব থেকে এখানকার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে কোন্দলের সৃষ্টি হয়। জাকির হোসেন, আব্দুর রহীম শামীম, ইমদাদুল হক জিবান, হেলিমুল হক, ছরওয়ার হোসেন, দেলওয়ার হোসেন, দেওয়ান মাকুসুদুল ইসলাম আউয়াল, আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, আব্বাছ উদ্দিন, ফারুকুল হক, জাবির হোসেন, বেলায়েত হোসেন, জামাল হোসেন, আবুল কাশেম পল্লব, জাকির হোসেন, মোস্তাক আহমদ, ময়নুল আবেদীন, আকবর হোসেন লাভলুসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেলেও শান্তিতে ছিলেন না। নিজ ঘরের আগুন নেভাতে পারেননি কেউই। বরং ছাঁইচাপা আগুনে পুড়িয়েছেন কর্মীদের। আর গৃহদাহের অনলে জ্বলে অনেক কর্মীই নেতা না হতে পারার দুঃখ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
এদিকে কমিটি না হওয়ায় রাগে-ক্ষোভে ছাত্রলীগের রিভারবেল্ট গ্রুপের সিনিয়র নেতা ইকবাল হোসেন তারেক তার ফেসবুক আইডি থেকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে ছাত্রলীগকে পাবলিক সাপ্লাইয়ের কাজ করতে হয় বলে লিখেন তিনি।
সর্বশেষ জামাল-পল্লব-জাকির কমিটি জেলা শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করলে কোন্দল আরো তীব্র হয়ে ওঠে। কমিটি না থাকায় কেউ কারো কথা শুনে না। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় ছাত্রলীগের কোন্দল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা হয়ে পড়েছে গলদগর্ম। এক বছরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রেকর্ডসংখ্যক ২০ বার নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। মামলা-পাল্টা মামলায় নেতাকর্মীরা হয়ে পড়ে অসহায়। বর্তমানে বিয়ানীবাজারে মূলধারা গ্রুপ, রিভার বেল্ট গ্রুপ, জামাল হোসেন গ্রুপ, পাভেল মাহমুদ গ্রুপ, আবুল কাশেম পল্লব গ্রুপ পৃথকভাবে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব গ্রুপের মধ্যে আবার বিভিন্ন উপগ্রুপ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের মূলধারা থেকে এবার কাওছার আহমদ, কামাল হোসেন, অনির্বাণ চন্দ্র পল্লব, আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাফর আহমদ, কামরান হোসেন, খালেদ আহমদ, রাসেল আহমদ, রিভারবেল্ট গ্রুপ থেকে আমান উদ্দিন, আয়নুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন তারেক, সাহাব উদ্দিন, জামিল আহমদ, ছিদ্দিকুর রহমান ছানু, সাইদুল ইসলাম, পারভেজ আহমদ, ফজলুল হক, সামাদ আহমদ, শরীফুল ইসলাম, আবু তাহের, ইকবাল হোসেন, জাবের আহমদ, জামাল গ্রুপ থেকে ছাইদুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন, সালেহ আহমদ, রেহান আহমদ, দুদু মিয়া, পারভেজ আহমদ, জুনেদ আহমদ, মাসুদ আহমদ, নাবিল আশরাফ, সাইনুল আবেদীন, মামুনুর রশীদ, নাসির আহমদ, রায়হান খান, জাবেদ জয়, শাহজাহান আহমদ, ইমরান মাসুদ, কামাল আহমদ, নাসির উদ্দিন, পাভেল গ্রুপ থেকে পাভেল মাহমুদ, জুনেদ আহমদ, ছালেখ আহমদ, ছামাদ আহমদ, সাজু আহমদ, নয়ন আহমদ, ফাহিম আহমদ তুহিন, কামরান হোসেন, নুরুল ইসলাম শিপু, পল্লব গ্রুপ থেকে শামীম আহমদ, নাজিম উদ্দিন, ছিদ্দিক আহমদ, বাবুল হোসেন, পুলক মালাকার, কানন আহমদ, জাফর আহমদ, ছাব্বির আহমদ, ইমরান হোসেন, কাওছার আহমদ প্রমুখ ছাত্রলীগের উপজেলা, কলেজ ও পৌর কমিটিতে স্থান পেতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। কমিটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জানান, বিয়ানীবাজারের কমিটি নিয়ে হোমওয়ার্ক চলছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ করে চলতি মাসেই কমিটি দেয়া হবে। তবে এখানকার কমিটি গঠনে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে না বলে তিনি জানান।
বিয়ানীবাজারে প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। মাঝে মধ্যে জেলা অথবা কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হলেও তা নিয়ে অনুযোগ-অভিযোগের শেষ থাকে না। বর্তমানেও প্রায় চার বছর থেকে এখানে ছাত্রলীগের উপজেলা, কলেজ ও পৌর কমিটি নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় নেতৃত্বের জটলায় জর্জরিত ছাত্রলীগ। কী কারণে বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অচলাবস্থা তা অনেকের অজানা। ৯০ দশকের পূর্ব থেকে এখানকার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে কোন্দলের সৃষ্টি হয়। জাকির হোসেন, আব্দুর রহীম শামীম, ইমদাদুল হক জিবান, হেলিমুল হক, ছরওয়ার হোসেন, দেলওয়ার হোসেন, দেওয়ান মাকুসুদুল ইসলাম আউয়াল, আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, আব্বাছ উদ্দিন, ফারুকুল হক, জাবির হোসেন, বেলায়েত হোসেন, জামাল হোসেন, আবুল কাশেম পল্লব, জাকির হোসেন, মোস্তাক আহমদ, ময়নুল আবেদীন, আকবর হোসেন লাভলুসহ আরো কয়েকজন বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পেলেও শান্তিতে ছিলেন না। নিজ ঘরের আগুন নেভাতে পারেননি কেউই। বরং ছাঁইচাপা আগুনে পুড়িয়েছেন কর্মীদের। আর গৃহদাহের অনলে জ্বলে অনেক কর্মীই নেতা না হতে পারার দুঃখ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
এদিকে কমিটি না হওয়ায় রাগে-ক্ষোভে ছাত্রলীগের রিভারবেল্ট গ্রুপের সিনিয়র নেতা ইকবাল হোসেন তারেক তার ফেসবুক আইডি থেকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে ছাত্রলীগকে পাবলিক সাপ্লাইয়ের কাজ করতে হয় বলে লিখেন তিনি।
সর্বশেষ জামাল-পল্লব-জাকির কমিটি জেলা শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করলে কোন্দল আরো তীব্র হয়ে ওঠে। কমিটি না থাকায় কেউ কারো কথা শুনে না। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় ছাত্রলীগের কোন্দল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা হয়ে পড়েছে গলদগর্ম। এক বছরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রেকর্ডসংখ্যক ২০ বার নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। মামলা-পাল্টা মামলায় নেতাকর্মীরা হয়ে পড়ে অসহায়। বর্তমানে বিয়ানীবাজারে মূলধারা গ্রুপ, রিভার বেল্ট গ্রুপ, জামাল হোসেন গ্রুপ, পাভেল মাহমুদ গ্রুপ, আবুল কাশেম পল্লব গ্রুপ পৃথকভাবে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব গ্রুপের মধ্যে আবার বিভিন্ন উপগ্রুপ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের মূলধারা থেকে এবার কাওছার আহমদ, কামাল হোসেন, অনির্বাণ চন্দ্র পল্লব, আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাফর আহমদ, কামরান হোসেন, খালেদ আহমদ, রাসেল আহমদ, রিভারবেল্ট গ্রুপ থেকে আমান উদ্দিন, আয়নুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন তারেক, সাহাব উদ্দিন, জামিল আহমদ, ছিদ্দিকুর রহমান ছানু, সাইদুল ইসলাম, পারভেজ আহমদ, ফজলুল হক, সামাদ আহমদ, শরীফুল ইসলাম, আবু তাহের, ইকবাল হোসেন, জাবের আহমদ, জামাল গ্রুপ থেকে ছাইদুল ইসলাম, কলিম উদ্দিন, সালেহ আহমদ, রেহান আহমদ, দুদু মিয়া, পারভেজ আহমদ, জুনেদ আহমদ, মাসুদ আহমদ, নাবিল আশরাফ, সাইনুল আবেদীন, মামুনুর রশীদ, নাসির আহমদ, রায়হান খান, জাবেদ জয়, শাহজাহান আহমদ, ইমরান মাসুদ, কামাল আহমদ, নাসির উদ্দিন, পাভেল গ্রুপ থেকে পাভেল মাহমুদ, জুনেদ আহমদ, ছালেখ আহমদ, ছামাদ আহমদ, সাজু আহমদ, নয়ন আহমদ, ফাহিম আহমদ তুহিন, কামরান হোসেন, নুরুল ইসলাম শিপু, পল্লব গ্রুপ থেকে শামীম আহমদ, নাজিম উদ্দিন, ছিদ্দিক আহমদ, বাবুল হোসেন, পুলক মালাকার, কানন আহমদ, জাফর আহমদ, ছাব্বির আহমদ, ইমরান হোসেন, কাওছার আহমদ প্রমুখ ছাত্রলীগের উপজেলা, কলেজ ও পৌর কমিটিতে স্থান পেতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। কমিটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জানান, বিয়ানীবাজারের কমিটি নিয়ে হোমওয়ার্ক চলছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ করে চলতি মাসেই কমিটি দেয়া হবে। তবে এখানকার কমিটি গঠনে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে না বলে তিনি জানান।
No comments