টরি দলে ইইউ-ব্রেক্সিট লড়াই
ব্রেক্সিট গণভোটের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াই হতে যাচ্ছে ইইউপন্থী ও ব্রেক্সিট সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। ‘ব্রেক্সিট প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে স্বীকৃত লন্ডনের মেয়র বরিস জনসনের সরে দাঁড়ানো এবং মাইকেল গভ ও থেরেসা মের প্রার্থিতা ঘোষণায় সেই সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। ব্রিটেনে ২৩ জুনের গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় হওয়ার পর ধরেই নেয়া হচ্ছিল বরিস জনসনই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
ভোটের পরদিন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পর সেই ধারণা আরও শক্ত হয়। কারণ ইইউ ছাড়ার পক্ষের প্রচারণায় বরিস জনসনই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী মাইকেল গভ। খবর বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ানের। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই প্রার্থিতা ঘোষণার সময়সীমা শেষের কয়েক মুহূর্ত আগে দু’দুবার নির্বাচিত লন্ডনের সাবেক মেয়র অপ্রত্যাশিতভাবে লড়াইয়ে না নামার সিদ্ধান্ত জানান। এটাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ‘পলিটিক্যাল বোম্বশেল’ অর্থাৎ রাজনৈতিক বোমা ফাটানোর সঙ্গে তুলনা করছেন। এই নাটকীয়তার আগে আরও একটি নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে, ব্রিটেনের রাজনীতিতে। ইইউ ছাড়ার পক্ষে জনসনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা, মাইকেল গভ, হঠাৎ করেই এদিন দলের নেতা হওয়ার জন্য প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছিল, মাইকেল গভ জনসনকেই সমর্থন দেবেন এবং তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন,
জনসন হয়তো এমন আশংকা করছেন যে জেতার জন্য যতজন এমপির সমর্থন দরকার, তার হয়তো সেই সমর্থন নেই। এ জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া টরি দলকে চালানোর ক্ষমতা জনসনের নেই- এমন চ্যালেঞ্জ ছোড়েন গভ। ফলে জনসনকে পল্টি দিয়ে মাঠে শক্ত অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন মাইকেল গভ। আর তারই অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষের সমর্থক ও সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। এতে করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্বের চূড়ান্ত লড়াই হচ্ছে ব্রেক্সিট ও ইইউপন্থী সমর্থকের মধ্যে। বরিস জনসনের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির (টরি দল) পরবর্তী নেতা এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচেছন- সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছ। এ দু’জন ছাড়াও প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন কর্মসংস্থান ও অবসরমন্ত্রী স্টেফেন ক্রাব, জ্বালানিমন্ত্রী এদ্রিয়া লিডসাম ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স। টরি দলের এসব প্রার্থীর মধ্যে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন থেরেসা মে।
No comments