এই জনপদ গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে: ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, এই রাষ্ট্র সর্বোপরি এই জনপদ এক গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে আচ্ছন্ন। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। নির্বাচিত নয় এমন সরকারের দুঃশাসনে মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।” দেশের বিপন্ন গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। পুলিশের আচরণে মানুষ আতঙ্কিত। তারপরও পুলিশ প্রধান বলছেন, তাদের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। তাহলে নির্যাতিত মানুষ কার কাছে যাবেন?” মির্জা ফখরুল বলেন, “এ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বাক, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মিডিয়াকে ন্যক্কারজনকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন না। কেউ লিখতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি জেঁকে বসেছে।” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলছেন, তিনি নাকি প্রধান বিচারপতিকেই মানেন না। চরম দলীয়করণের কারণে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো জায়গায় শৃঙ্খলা নেই।” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সরকার কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়, বাঁচতে চায়।” ফখরুল ইসলাম বলেন, “এই প্রেক্ষাপটে ঝিনাইদহের জেলা সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। দেশে ন্যায় পরায়ন শাসন কায়েম করতে বিএনপিকে আজ সুসংগঠিত করতে হবে। সম্মেলনে জেলার ৬ উপজেলার শত শশ নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মনির খান, সাবেক এমপি শহিদুজ্জামান বেল্টু, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, হরিণাকুন্ডু বিএনপির সভাপতি এড এম এ মজিদ, বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনা, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, অ্যাডভোকেট আব্দুল আলীম ও আরিফুল ইসলাম আনন প্রমুখ।
No comments