বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুর দুর্নীতি প্রমাণে ব্যর্থ: মুহিত
বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুর বিষয়ে আনা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে এ কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সরকারি দলের সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্ভবত কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন কতিপয় কর্মকর্তা পদ্মাসেতুর বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। পদ্মাসেতু সংক্রান্ত একটি মামলা কানাডার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্বব্যাংক মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য আদালতে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য সরবরাহ করেছে। কিন্তু আদালত অতিরিক্ত কিছু তথ্য চেয়েছে। বিশ্বব্যাংক তা সরবরাহ না করে বরং দায়মুক্তির সুযোগ নেওয়ার জন্য সচেষ্ট রয়েছে। জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, পদ্মাসেতুর মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২৭ হাজার ১২৮ কোটি ৩৮৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হচ্ছে। বাকি টাকার মধ্যে জাপানি ঋণ মওকুফ তহবিলের ৩০০ কোটি ও ভারত সরকারের অনুদান এক হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। শামীম ওসমানের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পেট্রোবাংলার কাছে রাজস্ব বাবদ সরকারের প্রায় ১৫ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বিপিসির দুই হাজার ৬২১ কোটি টাকা ও পেট্রোবাংলার কাছে ১৩ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা রয়েছে। সুদসহ বকেয়ার পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী জঙ্গি অর্থায়নে সম্পৃক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশের সুযোগ নেই। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে, ওই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নামে একটি পৃথক সংস্থা রয়েছে। কোনো ব্যাংক ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়নের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ওই ইউনিট আইন অনুযায়ী তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠায়। প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
No comments