পুলিশের জবাবদিহি- দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির বিবরণ প্রকাশ করুন
সরকারি দায়িত্ব পালনরত ব্যক্তিদের প্রকাশ্য বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদানে রাজনীতিবিদদের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় সতর্ক ও সংযত থাকা প্রত্যাশিত। এই বিষয়ে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন–সংশ্লিষ্টরা অতীতে সচেতন ছিলেন বলা যায়। কিন্তু ইদানীং কোনো কোনো কর্মকর্তা সরকারের অত্যন্ত দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন কিছু বক্তব্য দিচ্ছেন, যা প্রত্যাশিত নয়।
এটা অনস্বীকার্য যে জনপ্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ার পরেও এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি আছেন, যাঁরা সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংকল্পবদ্ধ আছেন। তাই ব্যক্তিবিশেষের অপরাধের কারণে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা বাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রশ্ন আসে না। সম্প্রতি পুলিশ সদস্যদের দ্বারা নিরীহ মানুষের নির্যাতিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইজিপি বলেছেন, ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। কিন্তু ইউনিফর্ম পরে পুলিশের কেউ অপরাধ করলে ওই বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তা এড়াবেন কি করে? রোববার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বেপরোয়া আচরণকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত জুলাইয়ে আইজিপি বলেছিলেন, চাঁদাবাজিসহ যেকোনো অপরাধে জড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বিভাগ ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাবে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। মোহাম্মদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ বিভাগ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিরপুরের চা-দোকানিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ডিএমপির শাহ আলী থানার ওসিসহ পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের গুরুতর অপরাধের ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়াই যথেষ্ট নয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। সাময়িক বদলি ও প্রত্যাহারসর্বস্ব ব্যবস্থা নেওয়ার মামুলি রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে ‘ক্লোজ’ করাকেই শাস্তি মনে করা হয়। কিন্তু তা অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে রক্ষা করারই নামান্তর। পুলিশের নির্দিষ্ট অপরাধ ও নির্দিষ্ট শাস্তিসংবলিত বিবরণ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা জরুরি বলে মনে করি।
এটা অনস্বীকার্য যে জনপ্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ার পরেও এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি আছেন, যাঁরা সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংকল্পবদ্ধ আছেন। তাই ব্যক্তিবিশেষের অপরাধের কারণে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা বাহিনীকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রশ্ন আসে না। সম্প্রতি পুলিশ সদস্যদের দ্বারা নিরীহ মানুষের নির্যাতিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইজিপি বলেছেন, ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। কিন্তু ইউনিফর্ম পরে পুলিশের কেউ অপরাধ করলে ওই বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তা এড়াবেন কি করে? রোববার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বেপরোয়া আচরণকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত জুলাইয়ে আইজিপি বলেছিলেন, চাঁদাবাজিসহ যেকোনো অপরাধে জড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বিভাগ ‘জিরো টলারেন্স’ দেখাবে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। মোহাম্মদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ বিভাগ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিরপুরের চা-দোকানিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ডিএমপির শাহ আলী থানার ওসিসহ পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের গুরুতর অপরাধের ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়াই যথেষ্ট নয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। সাময়িক বদলি ও প্রত্যাহারসর্বস্ব ব্যবস্থা নেওয়ার মামুলি রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে ‘ক্লোজ’ করাকেই শাস্তি মনে করা হয়। কিন্তু তা অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে রক্ষা করারই নামান্তর। পুলিশের নির্দিষ্ট অপরাধ ও নির্দিষ্ট শাস্তিসংবলিত বিবরণ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা জরুরি বলে মনে করি।
No comments