মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইয়েমেনে সৌদি আরবের যুদ্ধাপরাধ
৮
জানুয়ারি (রেডিও তেহরান): হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন
জোট ইয়েমেনের নিরীহ জনগণের ওপর ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে।
সংস্থাটি বলেছে ইয়েমেনের কোনো কোনো অঞ্চলে সৌদিআরব সিবিইউ-৫৮ মডেলের ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। ১৯৭৮ সালে আমেরিকার একটি অস্ত্র তৈরির কারখানায় এই বোমাগুলো তৈরি করা হতো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ক্লাস্টার বোমাগুলো ইয়েমেনের রাজধানী শহর সানআর আশেপাশের বহু আবাসিক এলাকায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই সংস্থার অস্ত্র পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত বিভাগের প্রধান স্টিভ গুস বলেছেন সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট আবাসিক এবং বেসামরিক এলাকায় ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের ফলে বহু নিরীহ মানুষ মারা গেছে। পাশাপাশি বহু ঘরবাড়ি ধ্বংসসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সৌদি আরব তাদের কয়েকটি আরব দেশকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকাসহ তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সবুজ সংকেতে ২০১৫ সালের শেষের দিকে ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে। তারা মূলত হামলার টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে আবাসিক এলাকাগুলোকে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য দেশ সৌদিআরব ইয়েমেনের জনগণের ওপর ওই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন ও বৃটেনের অস্ত্র ব্যবহার করে।
বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান গেল বছরের মাঝামাঝিতে একটি নিবন্ধ ছেপেছিল ‘সৌদি আরবের কাছে বৃটেনের অস্ত্র বিক্রির লজ্জা ও ইয়েমেন ’ শিরোনামে। ওই নিবন্ধে এসেছে ইয়েমেনে হামলা শুরু করতেই ব্রিটিশ সরকার সৌদিআরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির চল্লিশটির মতো ছাড়পত্র দিয়েছে।
মারবাধিকার রক্ষার দাবিদার আমেরিকা ও বৃটেন সৌদি আরবের দিকে শুধু তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের দৃষ্টিতেই তাকায়। রিয়াদের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা মানবাধিকারের প্রসঙ্গটি ধামাচাপা দিয়ে রাখে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমাদের সম্পর্ক বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেন যে সৌদিআরবের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে তার উদ্দেশ্য হলো সৌদিআরবের পেট্রোডলার। তাদের পেট্রোডলারের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক কল্যাণ। ব্রিটেন এবং আমেরিকার অস্ত্রের কারখানাগুলোর ভাগ্যেই জোটে সৌদিআরবের ওই তেল বিক্রির অর্থ।
সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী জোট গত নয় মাসেরও বেশি সময় আগে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করার সময় যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিল, তা তো সেখানে বাস্তবায়িত হয়নি বরং এখন দেখা যাচ্ছে ইয়েমেন সৌদি যুদ্ধাপরাধের ক্ষেত্র বা মঞ্চে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের সুবিধাবাদী পশ্চিমা মিত্রদের নীরবতার সুযোগে ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের জনগণের ঘরবাড়ি,দোকানপাট সব ধ্বংস করেছে। এককথায় পুরো ইয়েমেনের উপরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। নিষিদ্ধ মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইয়েমেনের নিরপরাধ নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। নি:সন্দেহে এইসব অপরাধের দায় সৌদিআরবের পশ্চিমা মিত্ররাও অস্বীকার করতে পারবে না। কেননা তারাও এই হত্যাযজ্ঞের অংশীদার।
ইয়েমেনি নারী ও জনতার ওপর গণহত্যা চালানো, সৌদি আরবে শিয়া ধর্মীয় ও বিপ্লবী ব্যক্তিত্ব শেখ নিমর আন নিমরের হত্যাসহ বিরোধী মতের লোকদের ওপর দমন অভিযান চালানো এবং সেইসাথে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলাকারী বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এরকম একটি অবস্থায় সৌদি আরব যে নিজ দেশ এবং ইয়েমেনে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে তা নির্বিকারভাবে উপেক্ষা করে যাচ্ছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন।
ইয়েমেনি সূত্র জানিয়েছে ২০১৫র ডিসেম্বর পর্যন্ত সেদেশে সৌদি আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের মাত্রা এমন ছিল যে ওই সময়ের মধ্যেই সাড়ে হাত হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। এছাড়া হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টারসহ সেবামূলক জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। বিশ্ববাসী জানে ইয়েমেনে এখন মানবিক বিপর্যয় কোন পর্যায়ে রয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে ইয়েমেনের কোনো কোনো অঞ্চলে সৌদিআরব সিবিইউ-৫৮ মডেলের ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। ১৯৭৮ সালে আমেরিকার একটি অস্ত্র তৈরির কারখানায় এই বোমাগুলো তৈরি করা হতো।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ক্লাস্টার বোমাগুলো ইয়েমেনের রাজধানী শহর সানআর আশেপাশের বহু আবাসিক এলাকায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই সংস্থার অস্ত্র পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত বিভাগের প্রধান স্টিভ গুস বলেছেন সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট আবাসিক এবং বেসামরিক এলাকায় ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের ফলে বহু নিরীহ মানুষ মারা গেছে। পাশাপাশি বহু ঘরবাড়ি ধ্বংসসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সৌদি আরব তাদের কয়েকটি আরব দেশকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকাসহ তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সবুজ সংকেতে ২০১৫ সালের শেষের দিকে ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে। তারা মূলত হামলার টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে আবাসিক এলাকাগুলোকে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য দেশ সৌদিআরব ইয়েমেনের জনগণের ওপর ওই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন ও বৃটেনের অস্ত্র ব্যবহার করে।
বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান গেল বছরের মাঝামাঝিতে একটি নিবন্ধ ছেপেছিল ‘সৌদি আরবের কাছে বৃটেনের অস্ত্র বিক্রির লজ্জা ও ইয়েমেন ’ শিরোনামে। ওই নিবন্ধে এসেছে ইয়েমেনে হামলা শুরু করতেই ব্রিটিশ সরকার সৌদিআরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির চল্লিশটির মতো ছাড়পত্র দিয়েছে।
মারবাধিকার রক্ষার দাবিদার আমেরিকা ও বৃটেন সৌদি আরবের দিকে শুধু তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের দৃষ্টিতেই তাকায়। রিয়াদের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা মানবাধিকারের প্রসঙ্গটি ধামাচাপা দিয়ে রাখে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমাদের সম্পর্ক বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেন যে সৌদিআরবের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে তার উদ্দেশ্য হলো সৌদিআরবের পেট্রোডলার। তাদের পেট্রোডলারের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক কল্যাণ। ব্রিটেন এবং আমেরিকার অস্ত্রের কারখানাগুলোর ভাগ্যেই জোটে সৌদিআরবের ওই তেল বিক্রির অর্থ।
সৌদি নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী জোট গত নয় মাসেরও বেশি সময় আগে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করার সময় যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিল, তা তো সেখানে বাস্তবায়িত হয়নি বরং এখন দেখা যাচ্ছে ইয়েমেন সৌদি যুদ্ধাপরাধের ক্ষেত্র বা মঞ্চে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের সুবিধাবাদী পশ্চিমা মিত্রদের নীরবতার সুযোগে ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের জনগণের ঘরবাড়ি,দোকানপাট সব ধ্বংস করেছে। এককথায় পুরো ইয়েমেনের উপরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। নিষিদ্ধ মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইয়েমেনের নিরপরাধ নারী ও শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। নি:সন্দেহে এইসব অপরাধের দায় সৌদিআরবের পশ্চিমা মিত্ররাও অস্বীকার করতে পারবে না। কেননা তারাও এই হত্যাযজ্ঞের অংশীদার।
ইয়েমেনি নারী ও জনতার ওপর গণহত্যা চালানো, সৌদি আরবে শিয়া ধর্মীয় ও বিপ্লবী ব্যক্তিত্ব শেখ নিমর আন নিমরের হত্যাসহ বিরোধী মতের লোকদের ওপর দমন অভিযান চালানো এবং সেইসাথে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলাকারী বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। এরকম একটি অবস্থায় সৌদি আরব যে নিজ দেশ এবং ইয়েমেনে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে তা নির্বিকারভাবে উপেক্ষা করে যাচ্ছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন।
ইয়েমেনি সূত্র জানিয়েছে ২০১৫র ডিসেম্বর পর্যন্ত সেদেশে সৌদি আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের মাত্রা এমন ছিল যে ওই সময়ের মধ্যেই সাড়ে হাত হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। এছাড়া হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টারসহ সেবামূলক জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। বিশ্ববাসী জানে ইয়েমেনে এখন মানবিক বিপর্যয় কোন পর্যায়ে রয়েছে।
No comments