সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠাই কবির তপস্যা by মোহাম্মদ নূরুল হক
জীবনানন্দ দাশ 'কবিতার কথা'য় বলেছিলেন 'কবিতা মুখ্যত লোকশিক্ষা নয়; কিংবা লোকশিক্ষাকে রসে মণ্ডিত করে পরিবেশন_না, তাও নয়; কবির সে রকম কোনো উদ্দেশ্য নেই।' জীবনানন্দ দাশের সে অমোঘ উক্তির সঙ্গে বিরোধিতার চিহ্নরূপেই যেন আজকের কবি লোকশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চান। এ প্রবন্ধে কবি আরও লিখেছেন, 'তার প্রতিভার কাছে কবিকে বিশ্বস্ত থাকতে হবে; হয়তো কোনো একদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতার সঙ্গে তার কবিতাবৃত্ত প্রয়োজন হবে সমস্ত চরাচরের জীবের হূদয়ে মৃতু্যহীন স্বর্ণগর্ভ ফসলের ক্ষেতে বুননের জন্য।'
কবির সৎচিন্তার কাছে আর সবই তুচ্ছ। কবি স্রষ্টা ও দ্রষ্টা বলেই তার সৎচিন্তার উৎস স্বীকৃত। কেউ কবির জন্য কোনো পথ সৃষ্টি করে রাখে না। কবি হাঁটেন অজানা পথে। উপকবি কবির সৃষ্টপথে। প্রথমজন উদ্ভাবক, দ্বিতীয়জন অনুকারক। অনুকারকের পক্ষে সৃজনকৌশল আয়ত্ত করাও অসম্ভব। তার চলা অন্যের সৃষ্ট পথে। গন্তব্য সুনিশ্চিত। দৃষ্টিসীমার বাইরের কিছুই সে দেখতে পায় না। দিগন্তরেখার বাইরে তার দৃষ্টি অচল। অজানালোকের গহন পথে কল্পনাশক্তি অর্থহীন। সর্বত্রই তার প্রথাসম্মত পদচারণা। বৃত্তের বাইরে সে ভিতু। সংশয়ী সত্যোচ্চারণে।
কবির সৎচিন্তার কাছে আর সবই তুচ্ছ। কবি স্রষ্টা ও দ্রষ্টা বলেই তার সৎচিন্তার উৎস স্বীকৃত। কেউ কবির জন্য কোনো পথ সৃষ্টি করে রাখে না। কবি হাঁটেন অজানা পথে। উপকবি কবির সৃষ্টপথে। প্রথমজন উদ্ভাবক, দ্বিতীয়জন অনুকারক। অনুকারকের পক্ষে সৃজনকৌশল আয়ত্ত করাও অসম্ভব। তার চলা অন্যের সৃষ্ট পথে। গন্তব্য সুনিশ্চিত। দৃষ্টিসীমার বাইরের কিছুই সে দেখতে পায় না। দিগন্তরেখার বাইরে তার দৃষ্টি অচল। অজানালোকের গহন পথে কল্পনাশক্তি অর্থহীন। সর্বত্রই তার প্রথাসম্মত পদচারণা। বৃত্তের বাইরে সে ভিতু। সংশয়ী সত্যোচ্চারণে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, 'সত্য যে কঠিন, তাই কঠিনেরে ভালোবাসিলাম।' রবীন্দ্রনাথ আকস্মিক চমক দেখানোর জাদুকর নন। কঠিনকে ভালোবেসে নিরন্তর পরিচর্যায় হয়ে উঠেছেন বিস্ময়কর। দেশ-কালের সীমা ছাড়িয়ে পরিণত হয়েছেন সর্বজনীন। এ সত্য ছন্দমুক্তির তপস্যা করার সময় স্মরণ রাখা বাঞ্ছনীয়। কঠিনতম পথকে যে ভয় পায়, তাকে চিন্তার দৈন্য গ্রাস করে ষোল আনাই। নির্বিশেষ কাব্যভঙ্গি সমস্বরে পর্যবসিত। স্বতন্ত্র স্বর অর্জনের জন্য ছন্দ বিবর্জিত নয়, ছন্দবৈচিত্র্যই উত্তম উপায়। ব্যতিক্রমে সমস্ত আয়োজন হতে পারে অক্ষম আক্রোশে বিপর্যস্ত। ছন্দে যার সিদ্ধি অর্জিত, মহৎ কবিতাও তার মন ও মনীষায় সংবর্ধিত। কবিতার প্রকর্ষ সাধনে কবির ভূমিকাই মুখ্য। ছন্দপ্রকরণই কবিতাকে ভাবালুতার স্তর থেকে আজকের প্রজ্ঞাপূর্ণ পথে বিবর্তিত করেছে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত 'কবি' কবিতায় প্রশ্ন তুলেছিলেন 'শব্দে শব্দে বিয়া দেয় যেই জন' সে ঘটকই কি কবি? উত্তরকালে কবি ও ঘটকের ভূমিকাকে অভিন্নরূপে বিবেচনা করেছেন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। 'কাব্যের মুক্তি' শীর্ষক প্রবন্ধে। তার মতে 'পাত্র-পাত্রীর মিলনেই তার উপকারিতার শেষ; তার পরে তার নাম কারও স্মরণে রইল বা না রইল তা নিয়ে মাথা ঘামানো হাস্যকর'। এ প্রবন্ধের অন্যত্র বলেছেন, 'প্রত্যাখ্যান কবিকে সাজে না, এবং কালজ্ঞান ভিন্ন তার গত্যন্তর নেই।' কালজ্ঞান ভিন্ন কবির গত্যন্তর নেই, সত্য; কিন্তু কবি প্রত্যাখ্যানের পরিবর্তে সব ডাকে সাড়া দেবেন_এমনটা কতটা যুক্তিনিষ্ঠ? এ প্রসঙ্গে কবি ও কবিতার গুণবিচারী সম্পাদক-সমালোচক আবু হাসান শাহরিয়ার এক গদ্যে লিখেছেন, 'তিনিই কবি, যিনি অকুণ্ঠে 'না' বলেন, 'হতে পারে' বলেন; কিন্তু কখনোই 'জি্ব হুজুর' বা 'আজ্ঞে হুজুর' বলেন না। প্রবন্ধের নাম 'কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা'। জীবনানন্দের উপকবিরা আবু হাসান শাহরিয়ারের রদ্দি কবি, যাদের আরেক পরিচয় বৃত্তাবদ্ধ কবি।
উপকবিরা কবির মতো শক্তিমান নন। তাই তাদের সবকিছুতেই 'জ্বী হঁ্যা' বলার প্রবণতা প্রকট। কোন কিছুকে দ্ব্যর্থহীন না বলার সৎসাহস তাদের নেই। আত্মবিশ্বাসহীনের পক্ষে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন হওয়া কঠিন। আত্মমর্যাদাবোধহীনের পক্ষে সৎ হওয়া অসম্ভব। যে জীবনাচারে সৎ নয়, সে শিল্পচর্চায়ও অসৎ। অসৎ ব্যক্তির পক্ষে চৌর্যবৃত্তি গ্রহণই স্বাভাবিক। অনুকরণ এবং চৌর্যবৃত্তিকে এরা বিনির্মাণ ও ঋণস্বীকারের নামে চালিয়ে দেয়। এদের দৃষ্টিতে সাহিত্যে মৌলিকত্বের প্রসঙ্গ অবান্তর। আপন যোগ্যতার মানদণ্ডকে সর্বজনীন মনে করার কারণেই এমন হয়। মাইকেল মধুসূদন প্রশ্ন তুলেছিলেন, কিন্তু কবিকে ঘটকের সহযাত্রী করে তোলেননি। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের চোখে কবি ও ঘটক অভিন্ন। তাই কবিকে প্রত্যাখ্যান সাজে না বলে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন। ঘটক যেমন বিনিময় প্রত্যাশী, কবিও কি তেমন? প্রকৃত কবি নগদ প্রাপ্তির মোহে অন্ধ নন বলেই অকুণ্ঠচিত্তে 'না' বলার 'হতে পারে' বলার দার্ঢ্য দেখাতে পারেন।
রবীন্দ্রনাথ যে অর্থে জীবনশিল্পী, সে অর্থে নেরুদা, হুইটম্যান এবং নজরুলও। চণ্ডীদাস, বায়রন, শেক্সপিয়র, সাঁত্রে, গোর্কিও। মানুষকে অস্বীকার করে এদের সাহিত্যের ঐশ্বর্যপূর্ণ সৌধ গড়ে ওঠেনি। সমগ্র রবীন্দ্র সাহিত্যে, শেক্সপিয়রের শ্রেষ্ঠ ট্র্যাজিডিগুলো, সফোক্লিসের ট্র্যাজিডি কিংইডিপাসেও মানবাত্মার জয় ঘোষিত। কোথাও মানবতাকে লাঞ্ছিত হতে হয়নি। সৎশিল্পীর পক্ষে মানবতার অপমান সম্ভব নয়। অসম্ভব ক্ষমতা ও বিত্তের প্রতি নতজানু হওয়া। যে শক্তি ও রসগুণে রবীন্দ্রনাথের 'বাঁশি' কিংবা 'সোনারতরী' কালোত্তীর্ণ একই শক্তি ও রসগুণে জসীম উদ্দীনের 'কবর' কিংবা জীবনানন্দ দাশের 'বোধ' কিংবা রাইনার মারিয়া রিলকের 'দুইনো এলিজি'গুলো দেশকালের সীমার ঊধের্্ব নয়। কবিতাগুলোর অন্তর্গত সুর কোথাও কোথাও এক ও অভিন্ন হলেও সর্বত্র স্বাতন্ত্র্যে উজ্জ্বল। ঞ. ঝ. ঊষরড়ঃ ব্যক্তির হতাশা ও নৈরাশ্যের প্রেক্ষাপটে আক্ষেপ করেছিলেন ঞযব খড়াব ড়ভ ঔ. অষভৎবফ চৎঁভৎড়পশ কবিতায়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে নৈর্ব্যক্তির অভিজ্ঞানে রূপান্তর করে লিখেছিলেন, ও যধাব সবধংঁৎবফ ড়ঁঃ সু ষরভব রিঃয পড়ভভবব ংঢ়ড়ড়হং. সে ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্যের সারবত্তা পাঠকের সঙ্গে তাৎক্ষণিক মানসিক যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম কি না, সে বিষয়ে এলিয়টের সংশয় কাটেনি। তাই অন্যত্র ঞযব ঋরৎব ঝবৎসড়হ কবিতায় আত্মাভিমানী হয়ে ওঠেন। কবির অভিমান ঝরে পড়ে ও সধফব হড় পড়সসবহ, যিধঃ ংযড়ঁষফ ও ৎবংবহঃ?
কবির সার্থকতা প্রত্যাখ্যানে, অস্বীকারে। সমস্ত অতীতকে আত্মস্থ করে সম্পূর্ণরূপে নতুন পথ সৃষ্টির ভেতরই কবির শক্তি পূর্ণরূপে উন্মোচিত। কবি কারও করুণা ভিক্ষা করেন না। নিজেকে কারও করুণার পাত্র কিংবা নিজের সৃষ্টিকে কারও দয়ার দান বলেও স্বীকার করতে অনীহ বলে কবি উচ্চারণ করতে পারেন এমন অমোঘ নিখিল নাস্তির জয়গান 'বল বীর/ বল চির উন্নত মম শির।/ মম শির নেহারী নত শির/ ঐ শেখর হিমাদ্রির' (বিদ্রোহী: কাজী নজরুল ইসলাম)। কবি চিন্তার ভরকেন্দ্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম। কোনরূপ দাসত্বের শৃঙ্খল কবিকে বৃত্তাবদ্ধ করতে পারে না। উপকবিরা বৃত্তাবদ্ধ। তাই প্রেমহীন লাম্পট্যে নৈতিকতার প্রমাণ পায়, সকাম প্রেমে খোঁজে ব্যভিচার। তিনিই প্রকৃত কবি যিনি এসবের বৃত্ত ভেঙে নিজেকে বৃত্তহীন করে তোলেন। ইয়েটস, এলিয়ট, বোদলেয়ার, কীটস, রঁ্যাবো, অ্যালবেরি অ্যালস্টোন হুইটম্যান, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সুধীন্দ্রনাথ, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, শঙ্খ ঘোষ, আবুল হাসান, আবিদ আজাদ, আবু হাসান শাহরিয়ার-এর শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোতে প্রজ্ঞার অনুশাসন, আবেগের সংহতি, যুক্তির শৃঙ্খলা ও ছন্দের অবস্থিতি লক্ষণীয়। ব্যত্যয় অবান্তর। উপকবি ও অকবি বিষয় ধরে ধরে অকবিতা লেখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন। কবি নতুন বিষয় উপহার দেন। উভয়ের পার্থক্য স্রষ্টা অনুকারকের।
'কবিতা কেন কবিতা' নামে সুজিত সরকারের একটি বই আছে। এই বইতে সুজিত সরকার কবিতা সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে, 'কবিতা হলো বৈপরীত্যের সমন্বয়'। কিন্তু কী হিসেবে বৈপরীত্যের সমন্বয়, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে চাননি। এই বইতেই সুজিত সরকার বলেছেন, 'শব্দ দিয়ে রচিত হয়েও যা শব্দকে অতিক্রম করে যায়, তাই কবিতা। শব্দের সীমানা অতিক্রম করার এই ক্ষমতাই হলো ব্যঞ্জনা।' এই ব্যঞ্জনাই প্রকৃত কবির আরাধনা। কবিমাত্রই অধরাকে ধরার সাধনায় নিরন্তর ধ্যানী। কবি মানস শব্দকে ব্রহ্ম জানেন, সত্য; কিন্তু সে শব্দকে শব্দের অধিক করে তোলাই তাঁর কাজ। সে কাজে কবি কতটা পারঙ্গম তার ওপর নির্ভর করে কবিতার সিদ্ধি, কবির কাব্যবোধ, শিল্পের প্রজ্ঞা। কবিতা প্রসঙ্গে ম্যাকলিশের অভিমত, 'কবিতা কিছুই বোঝায় না, কবিতা শুধুই হয়ে ওঠে'। তবুও কেউ কেউ কবিতায় অনুভবের প্রসঙ্গ উজিয়ে জ্ঞানের সন্ধান করেন। জীবনানন্দ দাশ যেমন বলেছিলেন, সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি, সেরকম করে আজকের পাঠক সম্পর্কে কি বলা যায় না_সবাই কবিতার পাঠক নয়, কেউ কেউ কবিতার পাঠক? যারা কবিতার ভেতর লোকশিক্ষার উপকরণ খোঁজেন, তারা হতাশ হন; যারা কবিতায় বিজ্ঞানের সূত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করেন তারাও।
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় কবিতার বোদ্ধাপাঠক; গুণমুগ্ধ সমালোচক। কবিতাশ্লি্লষ্ট একাধিক গদ্যের বই রয়েছে তার। সে রকম কবিতার বিশেস্নষণাত্মক গদ্যের বই কবিতার পড়ার একাল সেকাল। এ গ্রন্থে কবিতার পর কবিতা বিশেস্নষণ করে দেখিয়েছেন কী করে কবিতা পাঠককে মুগ্ধ করে। লিখেছেন কবিতার ইতিহাস কেমন, তাও। লিখেছেন, 'কবিতার ইতিহাসটা আকাশ থেকে স্খলিত কোনো ইতিহাস নয়, একাল সেকাল পেরিয়েই আরেকটা কালের দিকে তার অভিযাত্রা'। কবিতা কবিপরম্পরার ভাবনাসূত্রের বিনিসূতোর মালা। কোনও এককালে এক বা একাধিক কবি গুনগুন করে হয়তো কবিতা রচনা করেছিলেন মুখে মুখে, কালের বিবর্তনে মুদ্রণলিপির সৌজন্যে আজকে ছাপার অক্ষরে তার অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কবিতা তাই কবির ঐতিহ্যিক প্রপঞ্চ। কবিতার নেপথ্যে নিরন্তর ক্রিয়াশীল কবির আবেগ। সে আবেগ প্রজ্ঞায় সংহতিস্থ, কবির সংযমগুণে নিয়ন্ত্রিতও।
দি নেসেসিটি অব আর্ট আর্নেস্ট ফিশার রচিত শিল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশেস্নষণাত্মক বই। এই বইতে শিল্পের আবেগ সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট মত ব্যক্ত করেছেন। ফিশারের মতে, ভাবাবেগ ভেতরের অনীহ ভাবটাকে কাটিয়ে তুলে প্রকৃত শিল্পীর সেবা করে; প্রকৃত শিল্পী ভাবাবেগ দ্বারা আক্রান্ত হয় না বরং ভাবাবেগকে পোষ মানায়'। এ ভাবাবেগ সম্পর্কে টি এস এলিয়ট বলেছেন, শিল্পের আবেগকে নৈর্ব্যক্তিক হয়ে উঠতে হবে। কবিতা আবেগ-নির্ভর প্রপঞ্চ। কিন্তু আবেগই কবিতা নয়। আবেগের সংহতি, যুক্তির শৃঙ্খলা ও বিষয়ের সুনিয়ন্ত্রিত বিন্যাসেই কবিতা হয়ে ওঠে।
কবি প্রকৃতপক্ষে ধ্যানী। তপস্যা ব্যতীত যেমন সিদ্ধিলাভ হয় না, গভীর ধ্যান ছাড়াও কবিতার সৃজনকৌশল আয়ত্ত করা যায় না। ধ্যানসাধ্য প্রতিটি মুহূর্তই কবিতার সৃজনমুহূর্ত। কখন কী ভাবে কবিতা কবির ধ্যানের জগৎকে আন্দোলিত করে, তা একবাক্যে বলা সম্ভব নয়। ধ্যানমগ্ন কবির হূদয়ই কবিতার অধিষ্ঠান। অকবির মেকি প্রেম কবিতা প্রত্যাখ্যান করে বরাবর। তাই অকবির হাজার বাক্যে যে কবিতা ধরা দেয় না, সে কবিতাই কবির প্রেমে আপস্নুত হয়। এ-ই কি কবিতার সৃজনরীতি, কবির নিয়তি?
শেষ পর্যন্ত কবিতা কবিতার আন্তঃসংগঠন প্রক্রিয়ার অনিবার্য অনুষঙ্গের সুষম মিথস্ক্রিয়ায়ও পরিপূর্ণতা পায় না। মান্যতা পায় না, আঙ্গিক ও প্রকরণের নিরীক্ষালব্ধ নতুনত্বেও। আবেগের সংহতি, যুক্তিবোধ ও যুক্তিহীনতার শৃঙ্খলা যখন প্রজ্ঞাশাসিত পথে অনুগমন করে, তখনই কবিতা সম্পন্ন হয়ে ওঠে। কেবল আবেগের তারল্য, চিন্তার বুদ্বুদ কবিতায় পরিণত হতে পারে না। আজকের কবিতায় চিন্তার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে, জ্ঞানপ্রপঞ্চের বহুরৈখিক মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা কবির দায়। বহুমাত্রিক চেতনার সমন্বয়ে অভিব্যঞ্জিত রূপই কবিতা। এ অর্থে বিবর্তন, রূপান্তর, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি,ধর্ম, দর্শনের অন্বয় সাধনেই একটি কবিতা সার্থক হয়ে ওঠে।
============================
পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে' গল্প- মৌরস ভৌরস শিল্পি- ড্রয়িং, স্কেচ না পূর্ণাঙ্গ চিত্রকর্ম গল্পসল্প- নারী শিক্ষা মন্দির স্মৃতি ও গল্প- ছিন্নস্মৃতি স্মৃতি ও গল্প- স্কুল জীবনে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোর ফিচার- তাঁহাদের দান ফিচার- ডায়ানার আংটি গল্প- 'অভিমান' গল্প- 'মাটির ব্যাংক' গল্পসল্প- 'সাগরকে যাঁরা পোষ মানালেন' স্মরণ- 'আমাদের সেলিনা আপা' আলোচনা- 'বেতন-ভাতা না নেওয়ার ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত নয় কেন? ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা করছে নরওয়ে খালেদার মালপত্র আজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে আলোচনা- 'পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও অশান্তির মনস্তত্ত্ব' সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর' রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি' আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর আলোচনা- 'আজও পাহাড় অশান্ত' আন্তর্জাতিক- 'চীনের দৃষ্টিতে এক হবে দুই কোরিয়া ইরাকে গণতন্ত্র চাননি মুবারক'
দৈনিক ইত্তেফাকে এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোহাম্মদ নূরুল হক
এই সাহিত্যালোচনা'টি পড়া হয়েছে...
পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে' গল্প- মৌরস ভৌরস শিল্পি- ড্রয়িং, স্কেচ না পূর্ণাঙ্গ চিত্রকর্ম গল্পসল্প- নারী শিক্ষা মন্দির স্মৃতি ও গল্প- ছিন্নস্মৃতি স্মৃতি ও গল্প- স্কুল জীবনে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোর ফিচার- তাঁহাদের দান ফিচার- ডায়ানার আংটি গল্প- 'অভিমান' গল্প- 'মাটির ব্যাংক' গল্পসল্প- 'সাগরকে যাঁরা পোষ মানালেন' স্মরণ- 'আমাদের সেলিনা আপা' আলোচনা- 'বেতন-ভাতা না নেওয়ার ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত নয় কেন? ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা করছে নরওয়ে খালেদার মালপত্র আজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে আলোচনা- 'পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও অশান্তির মনস্তত্ত্ব' সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর' রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা' আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি' আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর আলোচনা- 'আজও পাহাড় অশান্ত' আন্তর্জাতিক- 'চীনের দৃষ্টিতে এক হবে দুই কোরিয়া ইরাকে গণতন্ত্র চাননি মুবারক'
দৈনিক ইত্তেফাকে এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোহাম্মদ নূরুল হক
এই সাহিত্যালোচনা'টি পড়া হয়েছে...
এই গদ্য ধুমকেতুতে কী করে গেল? আমি জানলাম না কিছুই! কেউ কি জানাবেন? আমার নম্বর ০১৭৫২ ৯৮ ৯১ ৫৯
ReplyDelete