স্পিন-স্বর্গে পেসার নায়ক
দুই দলেরই মূল শক্তি স্পিন। সিরিজটাকে বলা হচ্ছে ‘ব্যাটল অব স্পিন।’ অনুমিতভাবেই ভালো করেছেন দুই দলের ৮ স্পিনারের প্রায় সবাই। অথচ সবাইকে ছাপিয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচের নায়ক কিনা এক পেসার!
চারজন পেসার বোলিং করেছেন কাল। রান-খরার ম্যাচে একজন রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৬.২৫ করে, একজন ৬, আরেকজন ৫.২৫। দুই দলের মাঝে কাল মূল ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন বাকিজন। কে-ই বা ভাবতে পেরেছিল, স্পিন-যুদ্ধের প্রথম খণ্ডে নায়ক হবেন ক্রিস পোফু!
বাংলাদেশের বিপক্ষে পারফরম্যান্স তাঁর বরাবরই ভালো। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ২০০৬ সালে বাংলাদেশে এসে, ক্যারিয়ারের ৫১ উইকেটের ২২টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে কালকের পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছে যেন আগের সব পারফরম্যান্সকেও। ২০৯ রান করে জিততে শুরুতে রান আটকানো আর উইকেট নেওয়া, দুটোই ছিল ভীষণ প্রয়োজন। ৭ ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তামিম ইকবালকে ফিরিয়েছেন ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই। সাকিবের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিতে যখন জয় দেখছে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই আউট করেছেন মাহমুদউল্লাহকে। পরের ওভারে সরিয়েছেন জয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাধা সাকিবকে।
এটা ঠিক, তামিমের উইকেট পেয়েছেন আম্পায়ারের ভুলে, বাকি দুটোও ব্যাটসম্যানের চরম অবিমৃশ্যকারিতায়। কিন্তু টানা ভালো বোলিং করে উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্র তো তিনিই প্রস্তুত করেছেন! কেনিয়ার বিপক্ষে একবার ৬ উইকেট নিয়েও ম্যাচ-সেরা হতে পারেননি দল হেরে যাওয়ায়। দলের জয়, ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ-সেরার পুরস্কার—কাল সবই পেলেন। স্পিন-বান্ধব উইকেটে ভালো করার রহস্য জানালেন ম্যাচ শেষে, ‘বলের গতিতে অনেক বৈচিত্র্য এনেছি। এই উইকেটে একই লেন্থে টানা বল করে গেলে ফায়দা তোলা মুশকিল। আমি তাই চেষ্টা করেছি বৈচিত্র্য আনতে।’
দলের বোলিং কোচ জাতীয় দলের হয়ে অনেকবার বাংলাদেশে এসেছেন, খেলে গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই হিথ স্ট্রিক শিষ্যদের দিয়েছিলেন পরামর্শ, ‘আমি দলের সব পেসারকেই বলেছিলাম এই উইকেটে বলের গতিতে অনেক বৈচিত্র্য আনতে হবে। বলেছিলাম, ব্যাটসম্যানকে বেশি জায়গাও দেওয়া যাবে না। ক্রিস ঠিক তা-ই করেছে বলেই ফল পেয়েছে।’
টসের সময় এলটন চিগুম্বুরা বলেছিলেন, লক্ষ্য ২৪০-২৫০ রান। তবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক জানালেন, হতাশ হননি প্রত্যাশার চেয়ে কম রান করার পরও, ‘রান যা-ই হোক, সেটা নিয়ে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস না থাকলে তো দেশে চলে যাওয়াই ভালো। ২০-৩০টা রান বেশি হলে বোলারদের কাজটা সহজ হতো। তবে তার পরও বোলাররাই আমাদের জিতিয়েছে।’
চারজন পেসার বোলিং করেছেন কাল। রান-খরার ম্যাচে একজন রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৬.২৫ করে, একজন ৬, আরেকজন ৫.২৫। দুই দলের মাঝে কাল মূল ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন বাকিজন। কে-ই বা ভাবতে পেরেছিল, স্পিন-যুদ্ধের প্রথম খণ্ডে নায়ক হবেন ক্রিস পোফু!
বাংলাদেশের বিপক্ষে পারফরম্যান্স তাঁর বরাবরই ভালো। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ২০০৬ সালে বাংলাদেশে এসে, ক্যারিয়ারের ৫১ উইকেটের ২২টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে কালকের পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছে যেন আগের সব পারফরম্যান্সকেও। ২০৯ রান করে জিততে শুরুতে রান আটকানো আর উইকেট নেওয়া, দুটোই ছিল ভীষণ প্রয়োজন। ৭ ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তামিম ইকবালকে ফিরিয়েছেন ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই। সাকিবের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিতে যখন জয় দেখছে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই আউট করেছেন মাহমুদউল্লাহকে। পরের ওভারে সরিয়েছেন জয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাধা সাকিবকে।
এটা ঠিক, তামিমের উইকেট পেয়েছেন আম্পায়ারের ভুলে, বাকি দুটোও ব্যাটসম্যানের চরম অবিমৃশ্যকারিতায়। কিন্তু টানা ভালো বোলিং করে উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্র তো তিনিই প্রস্তুত করেছেন! কেনিয়ার বিপক্ষে একবার ৬ উইকেট নিয়েও ম্যাচ-সেরা হতে পারেননি দল হেরে যাওয়ায়। দলের জয়, ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ-সেরার পুরস্কার—কাল সবই পেলেন। স্পিন-বান্ধব উইকেটে ভালো করার রহস্য জানালেন ম্যাচ শেষে, ‘বলের গতিতে অনেক বৈচিত্র্য এনেছি। এই উইকেটে একই লেন্থে টানা বল করে গেলে ফায়দা তোলা মুশকিল। আমি তাই চেষ্টা করেছি বৈচিত্র্য আনতে।’
দলের বোলিং কোচ জাতীয় দলের হয়ে অনেকবার বাংলাদেশে এসেছেন, খেলে গেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই হিথ স্ট্রিক শিষ্যদের দিয়েছিলেন পরামর্শ, ‘আমি দলের সব পেসারকেই বলেছিলাম এই উইকেটে বলের গতিতে অনেক বৈচিত্র্য আনতে হবে। বলেছিলাম, ব্যাটসম্যানকে বেশি জায়গাও দেওয়া যাবে না। ক্রিস ঠিক তা-ই করেছে বলেই ফল পেয়েছে।’
টসের সময় এলটন চিগুম্বুরা বলেছিলেন, লক্ষ্য ২৪০-২৫০ রান। তবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক জানালেন, হতাশ হননি প্রত্যাশার চেয়ে কম রান করার পরও, ‘রান যা-ই হোক, সেটা নিয়ে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস না থাকলে তো দেশে চলে যাওয়াই ভালো। ২০-৩০টা রান বেশি হলে বোলারদের কাজটা সহজ হতো। তবে তার পরও বোলাররাই আমাদের জিতিয়েছে।’
No comments