খবর, কালের কণ্ঠের- পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো

ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাড়িতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়ার লোকজন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ওই জিনিসপত্র বুঝে নিচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার চারটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপে প্রথম দফায় পাঁচটি গাড়িসহ আংশিক মালপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব সামগ্রীর বেশির ভাগই খালেদা জিয়ার দুই ছেলে ব্যবহার করতেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলে। আজ সকাল ৮টা থেকে বাকি মালামাল সরিয়ে নেওয়া হবে বলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আশা করছে।
অন্যদিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ওই বাড়িতে উপস্থিত থাকার অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা তাঁদের নেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাজমুস সাদাত গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, বেগম জিয়ার একান্ত সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, তাঁর দুই ভ্রাতৃবধূ, মাহাবুব আল আমিন ডিউ নামের এক আত্মীয় ও কেয়ারটেকার ইউনুস, কয়েকজন কর্মচারী, শ্রমিকসহ ২৪-২৫ জন মালামাল নিতে যান। মোট চারটি কাভার্ড ভ্যানে তাঁরা বাসার আংশিক মালামাল নিয়ে গেছেন। আজ সকাল ৮টা থেকে বাকি মালামাল সরিয়ে নেওয়া হবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গতকাল একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব সামগ্রী বুঝে নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি গাড়ি। ওই পাঁচ গাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি আলফ্রেড মাইক্রোবাস, ডাবল ফ্লাগস্ট্যান্ডসহ একটি সাদা রঙের নিশান সাফারি জিপ, নীল রঙের একটি টয়োটা ফোর রানার, একটি নিশান ফেডরিক কার ও একটি সাধারণ কার। অন্যান্য জিনিসের মধ্যে ছিল ছয়-সাতটি সোফাসেট, বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল, কয়েকটি ফ্রিজ, পাঁচ-ছয়টি টেলিভিশন। এর মধ্যে এলসিডি মনিটরের কয়েকটি টেলিভিশনও ছিল। এ ছাড়া আলমারি, ভার্সসহ বেশ কিছু শোপিস ছিল
সূত্র জানায়, এসব সামগ্রীর বেশির ভাগই খালোদা জিয়ার দুই ছেলের ব্যবহার করা এবং সেগুলো বাড়ির দোতলার ঘরগুলোতে ছিল।
সূত্র জানায়, এসব জিনিস ধানমণ্ডিতে বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের শ্বশুরবাড়ি এবং বারিধারায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কাইয়ূমের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।
খালেদার আইনজীবীদের অভিযোগ : এদিকে ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার মালপত্র বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে আইনজীবীদের উপস্থিত থাকার অনুমতি না দেওয়ার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সরকার নতুন ষড়যন্ত্র করছে।
গতকাল সেনানিবাসের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার অসীম এ অভিযোগ করেন। এ সময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, ছাত্রদল নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান শিমুলসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়া অন্য কোনো সংবাদমাধ্যম ও আইনজীবীদের মইনুল রোডের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, উচ্ছেদের দিন যেভাবে বাইরে থেকে অবৈধ মালামাল রেখে খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নোংরা প্রচারণা চালানো হয়েছিল, সেভাবে আজও সংবাদকর্মী ও আইনজীবীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পারিপাশ্বর্িক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সরকারের এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতেচন থেকে জনগণকে তা প্রতিহত করতে হবে।
অসীম বলেন, 'বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যবহৃত মালামাল মইনুল রোডের বাড়ি থেকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সরিয়ে নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মালামাল বুঝে নিতে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করি। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আমাদের জানায়, স্টেশন কমান্ডারের অনুমতি ছাড়া মালামাল দেওয়া হবে না। এরপর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চিফ এঙ্িিকউটিভ অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন।' তিনি বলেন, 'বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিব ছাড়া আর কাউকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁদের মোবাইল ফোন পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি। দুটি কাভার্ড ভ্যান সকালের দিকে মালামাল আনতে সেখানে গেলেও দুপুর ১২টার সময় ভেতরে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।'
এদিকে বিটিভি ছাড়া আর কোনো সংবাদমাধ্যমকে সেখানে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে নাজমুস সাদাত বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
======================
গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে'  গল্প- মৌরস ভৌরস  শিল্পি- ড্রয়িং, স্কেচ না পূর্ণাঙ্গ চিত্রকর্ম  গল্পসল্প- নারী শিক্ষা মন্দির  স্মৃতি ও গল্প- ছিন্নস্মৃতি  স্মৃতি ও গল্প- স্কুল জীবনে বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোর  ফিচার- তাঁহাদের দান  ফিচার- ডায়ানার আংটি  গল্প- 'অভিমান'  গল্প- 'মাটির ব্যাংক'  গল্পসল্প- 'সাগরকে যাঁরা পোষ মানালেন'  স্মরণ- 'আমাদের সেলিনা আপা'  আলোচনা- 'বেতন-ভাতা না নেওয়ার ‘নীতিগত’ সিদ্ধান্ত নয় কেন?  ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরীক্ষা করছে নরওয়ে  খালেদার মালপত্র আজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে  আলোচনা- 'পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও অশান্তির মনস্তত্ত্ব'  সাক্ষাৎকার- পাহাড়ে পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে  আলোচনা- 'শান্তিচুক্তির ১৩ বছর'  রাজনৈতিক আলোচনা- 'উন্মত্ত নৈরাজ্যের শক্তি বনাম সোনালি সম্ভাবনা'  আলোচনা- ''ট্রানজিট' না 'করিডোর' না 'কানেকটিভিটি'  আলোচনা- 'ওরাও মানুষ আছে ওদের অধিকার'  আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথ  শিল্প-অর্থনীতি 'আঞ্চলিক রফতানি বাণিজ্য এবং বাংলাদেশ  স্মরণ- 'সিদ্ধার্থকে মনে পড়ে' by খুশবন্ত সিং  আলোচনা- প্রসঙ্গ:বেসরকারী চ্যানেলে বিটিভি'র খবর  আলোচনা- 'আজও পাহাড় অশান্ত'  আন্তর্জাতিক- 'চীনের দৃষ্টিতে এক হবে দুই কোরিয়া ইরাকে গণতন্ত্র চাননি মুবারক'  আন্তর্জাতিক- 'তরুণদের ভবিষ্যৎ মানে দেশের ভবিষ্যৎ'


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে

এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.