পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার। দেশ দুটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় এসব অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যেতে পারে। সম্প্রতি উইকিলিকস প্রকাশিত গোপন নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটি বলেছে, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অতীতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যাতে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া যায়।
উইকিলিকস প্রকাশিত অপর একটি বার্তায় দেখা গেছে, ইসলামাবাদে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যানি প্যাটারসন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী চারটি বড় ধরনের জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থায়ন করছে।
উইকিলিকস জানায়, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমারা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত গতকাল বুধবার বলেছেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) উদ্বেগ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।
বাসিত বলেন, ‘অতীতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। অতএব এতেই বোঝা যায়, পরমাণু অস্ত্রের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ ও কৌশল কতটা শক্তিশালী।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ঐতিহাসিকভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লেগে আছে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার ঘটনাও তাই নতুন কিছু নয়।
উইকিলিকস প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে অ্যানি প্যাটারসন লিখেছেন, ‘মুসলিম জঙ্গিরা পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে—এতে আমরা শঙ্কিত নই। আমাদের মূল শঙ্কা হলো, পরমাণু স্থাপনায় কর্মরত কোনো সরকারি কর্মকর্তা ধীরে ধীরে পারমাণবিক সরঞ্জাম পাচার করে তা দিয়ে অস্ত্র তৈরি করতে পারেন।’ ২০০৮ সালের অপর এক হুঁশিয়ারি বার্তায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে দ্রুতগতিতে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।
রাশিয়ার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে উইকিলিকস জানায়, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার লোক সরাসরি জড়িত। এমন কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না যে তাদের সবাই শতভাগ বিশ্বস্ত ও অনুগত। আরেকটি বার্তায় বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের সম্মতি নিয়েই পাকিস্তান ভূখণ্ডে মার্কিন চালকবিহীন বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে হত্যা কিংবা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাতের যে পরিকল্পনা করেছিলেন, সে ব্যাপারেও উইকিলিকস তথ্য প্রকাশ করেছে। একটি বার্তায় দেখা গেছে, জেনারেল আশফাক কায়ানি পাকিস্তানে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন দূত প্যাটারসনকে বলেছেন, জারদারিকে উৎখাতের ব্যাপারে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। অপর এক বার্তায় দেখা যায়, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক বৈঠকে জারদারি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনাপ্রধান কায়ানি ও আইএসআই আমাকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করছে।’ জারদারি আরও বলেন, তাঁকে হত্যা করা হলে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর বোন ফারিয়াল তালপুরের নাম ঘোষণা করতে ছেলে বিলাওয়ালকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের শক্তির ব্যাপারটি জারদারি খোলাখুলি স্বীকার করেছেন। ২০০৯ সালে এ ব্যাপারে তিনি জো বাইডেনকে বলেন, ‘এ কথা দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তবে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে আমরা জয়ী হচ্ছি না।’
অপর এক বার্তায় দেখা গেছে, মার্কিন কূটনীতিক ও গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআই চারটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এক বার্তায় লিখেছেন, লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
উইকিলিকস প্রকাশিত অপর একটি বার্তায় দেখা গেছে, ইসলামাবাদে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যানি প্যাটারসন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী চারটি বড় ধরনের জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থায়ন করছে।
উইকিলিকস জানায়, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমারা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত গতকাল বুধবার বলেছেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) উদ্বেগ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।
বাসিত বলেন, ‘অতীতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। অতএব এতেই বোঝা যায়, পরমাণু অস্ত্রের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ ও কৌশল কতটা শক্তিশালী।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ঐতিহাসিকভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লেগে আছে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার ঘটনাও তাই নতুন কিছু নয়।
উইকিলিকস প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে অ্যানি প্যাটারসন লিখেছেন, ‘মুসলিম জঙ্গিরা পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে—এতে আমরা শঙ্কিত নই। আমাদের মূল শঙ্কা হলো, পরমাণু স্থাপনায় কর্মরত কোনো সরকারি কর্মকর্তা ধীরে ধীরে পারমাণবিক সরঞ্জাম পাচার করে তা দিয়ে অস্ত্র তৈরি করতে পারেন।’ ২০০৮ সালের অপর এক হুঁশিয়ারি বার্তায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে দ্রুতগতিতে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে।
রাশিয়ার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে উইকিলিকস জানায়, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার লোক সরাসরি জড়িত। এমন কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না যে তাদের সবাই শতভাগ বিশ্বস্ত ও অনুগত। আরেকটি বার্তায় বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের সম্মতি নিয়েই পাকিস্তান ভূখণ্ডে মার্কিন চালকবিহীন বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে হত্যা কিংবা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাতের যে পরিকল্পনা করেছিলেন, সে ব্যাপারেও উইকিলিকস তথ্য প্রকাশ করেছে। একটি বার্তায় দেখা গেছে, জেনারেল আশফাক কায়ানি পাকিস্তানে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন দূত প্যাটারসনকে বলেছেন, জারদারিকে উৎখাতের ব্যাপারে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। অপর এক বার্তায় দেখা যায়, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক বৈঠকে জারদারি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনাপ্রধান কায়ানি ও আইএসআই আমাকে উৎখাত করার পরিকল্পনা করছে।’ জারদারি আরও বলেন, তাঁকে হত্যা করা হলে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর বোন ফারিয়াল তালপুরের নাম ঘোষণা করতে ছেলে বিলাওয়ালকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের শক্তির ব্যাপারটি জারদারি খোলাখুলি স্বীকার করেছেন। ২০০৯ সালে এ ব্যাপারে তিনি জো বাইডেনকে বলেন, ‘এ কথা দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তবে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে আমরা জয়ী হচ্ছি না।’
অপর এক বার্তায় দেখা গেছে, মার্কিন কূটনীতিক ও গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআই চারটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এক বার্তায় লিখেছেন, লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
No comments