ঢাকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত
দুর্নীতির
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার শাস্তি দিয়েছে ডাকার
একটি আদালত। এ বিষয়টিতে ঢাকার ওপর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দিল্লি।
প্রতিবেশী এ দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে
হস্তক্ষেপ করতে চায় না ভারত। এ দেশটিতে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে চীন অনেকখানি
এগিয়ে গেছে। এ বিষয়টি পুরোপুরি খুব ভালভাবে জানে ভারত। তা সত্ত্বেও তারা
এমন অবস্থান নিয়েছে।
অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে আসা বিদেশী সাহায্যের ২.১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য চারজন। এ অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী কমিশন ২০০৮ সালের জুলাই মাসে। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে এ মামলায় ৫ বছরের জেল দিয়েছেন। তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য চারজনকে ১০ বছরের জেল দিয়েছেন। এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। কারণ, আইন অনুযায়ী ৫ বছরের জেল হওয়ার কারণে খালেদা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। এটা যদিই হয় তাহলে তা হবে অবশ্যই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিরাট রাজনৈতিক অর্জন। তবে আওয়ামী লীগও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতের সাবেক এক হাই কমিশনার বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়া একটি ‘ট্রিকি’ পরিস্থিতি। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মিত্র বলে সুপরিচিত। ওই কূটনীতিক বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না ভারত। এখন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে কিনা তাই পর্যবেক্ষণ করছে দিল্লি।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম না হন, তবে তার দল বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০১৪ সালে যেমন হয়েছিল সেভাবে তারা নির্বাচন বর্জন করবে বলে মনে হয় না। তার ভাষায় ‘বাংলাদেশের, বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করা। এখন সে বিষয়ে ভারতের পরিকল্পনা থাকা উচিত’।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। ওই পোস্টে তিনি বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়া শুধু রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পাঁচ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছেন, খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করবেন। তারা আশা করছেন রোববার তিনি জামিন পাবেন। এরপরই তারা তাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন আশা করছেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত যদি স্টে বা মুলতবি আদেশ দেন তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন খালেদা জিয়া।
অন্যদিকে সহিংসতা সৃষ্টি না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার পথে অস্থিরতার খবর পাওয়া গেছে। ইটপাটকেল ও হাতবোমা ছোড়া হয়েছে। সহিংসতা থামাতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। এতে কমপক্ষে একজন বিএনপি সমর্থক নিহত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেছেন, সব স্পর্শকাতর স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ জন্য বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয় নি।
অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। এতে আরো বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে আসা বিদেশী সাহায্যের ২.১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য চারজন। এ অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী কমিশন ২০০৮ সালের জুলাই মাসে। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে এ মামলায় ৫ বছরের জেল দিয়েছেন। তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য চারজনকে ১০ বছরের জেল দিয়েছেন। এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। কারণ, আইন অনুযায়ী ৫ বছরের জেল হওয়ার কারণে খালেদা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। এটা যদিই হয় তাহলে তা হবে অবশ্যই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিরাট রাজনৈতিক অর্জন। তবে আওয়ামী লীগও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতের সাবেক এক হাই কমিশনার বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়া একটি ‘ট্রিকি’ পরিস্থিতি। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মিত্র বলে সুপরিচিত। ওই কূটনীতিক বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না ভারত। এখন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে কিনা তাই পর্যবেক্ষণ করছে দিল্লি।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম না হন, তবে তার দল বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০১৪ সালে যেমন হয়েছিল সেভাবে তারা নির্বাচন বর্জন করবে বলে মনে হয় না। তার ভাষায় ‘বাংলাদেশের, বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর করা। এখন সে বিষয়ে ভারতের পরিকল্পনা থাকা উচিত’।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। ওই পোস্টে তিনি বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়া শুধু রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পাঁচ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছেন, খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করবেন। তারা আশা করছেন রোববার তিনি জামিন পাবেন। এরপরই তারা তাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন আশা করছেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত যদি স্টে বা মুলতবি আদেশ দেন তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন খালেদা জিয়া।
অন্যদিকে সহিংসতা সৃষ্টি না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার পথে অস্থিরতার খবর পাওয়া গেছে। ইটপাটকেল ও হাতবোমা ছোড়া হয়েছে। সহিংসতা থামাতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। এতে কমপক্ষে একজন বিএনপি সমর্থক নিহত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেছেন, সব স্পর্শকাতর স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ জন্য বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয় নি।
No comments