সাত বছরে ৩০২ সংখ্যালঘু হত্যা, ৩৯২ ধর্ষণ
২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০২ জন হত্যা এবং ৩৯২ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একই সময়ে এক হাজার ৬৯৯টি মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানবাধিকার প্রতিবেদন' প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স বাংলাদেশ (জিএইচআরডি), বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ (বিডিএমডব্লিউ), বাংলাদেশ সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিসিএইচআরডি) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিডিএমডব্লিউর সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের চিত্রসহ তা প্রতিরোধে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, গুম, হত্যা, দখল, মিথ্যা মামলা, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও দখল বন্ধ করা এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “এ সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সংখ্যালঘুপ্রীতির কথা বলে আর তাদের কাছে ভোট চাইতে পারবে না। ভোট পেতে হলে এসব ঘটনার বিচার করতে হবে।” হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিএইচআরডির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুল হক, ড. চন্দন কুমার সরকার, ড. মনোরঞ্জন ঘোষ সামী, ড. বিবি চৌধুরী প্রমুখ।
No comments