‘যুদ্ধাপরাধের বিচার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হতে হবে’ -বিবিসি বাংলা সংলাপে বক্তারা
বিবিসি বাংলা সংলাপের প্যানেল আলোচকরা বলেছেন, যুদ্ধাপারাধীদের বিচার আরও আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। দেরিতে হলেও এ বিচাকাজ হচ্ছে। তবে বিচার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। এই বিচারকাজকে যেন রাজনীতিকরণ করা না হয়। শনিবার দুপুরে রাজধানরি বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বিবিবি বাংলা সংলাপের ৯০তম পর্বে অংশ নিয়ে প্যানেল আলোচকরা এসব কথা বলেন। এই পর্বে আলোচনায অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র সভাপতি ও তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ও অভিনেত্রী সুমনা সোমা। শারমিন রমার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত এক দর্শকের প্রশ্ন ছিল, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া তাকে নিরাময়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কি-না?
জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু এই বিচারের উদ্যাগ নিয়েছিলেন। এমনকি চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরুর হয়েছিল। কারও কারও শাস্তিও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মুশতাক ও জিয়া ক্ষমতায় এসে এই বিচারকাজ বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জাতি বিভক্ত হবে না। জামায়াত ও তাদের যুদ্ধাপরাধীরা কখনই জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, যে বিচার হচ্ছে তা আান্তর্জাতিক মানের নয়। তিনি বলেন, ৪৩ বছর আগেই বিচার অনুষ্ঠিত হওয়া উচিৎ ছিল। বঙ্গবন্ধু যে কারণে পারেননি। বিএনপিও একই কারণে পারেনি। এখন বিচারকাজ হচ্ছে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে এই শিক্ষা দেয়ার জন্য ‘তোমরা কেন আওয়ামী লীগকে ছেড়ে বিএনপিতে গিয়েছো’। হাফিজ বলেন, যখন জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের সঙ্গে বসে বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যু করার চেষ্ঠা করে তখন জামায়াত ও তার দরের নেতারা যুদ্ধাপরাধী হয়না। এবিষয়ে ফারাহ কবির বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আগে কেন হয়নি এ নিয়ে বিতর্ক করা উচিৎ হবে না।
No comments