লাদেনের কপালে গুলি করেছিলেন রবার্ট ওনিল
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের কপালে গুলি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিলের সাবেক কমান্ডো রবার্ট ওনিল। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৩৮ বছর বয়সী ওই সাবেক কমান্ডার দাবি করেন, পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেনের বাড়ির একটি কক্ষে ঢুকে তিনিই লাদেনকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। তবে নেভি সিলের আরেক সাবেক সদস্য ম্যাট বিসসোন্যাট তার লেখা বইয়ে দাবি করেন তিনিই লাদেনকে গুলি করেছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি এনবিসি নিউজকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার জন্য মার্কিন বিশেষ বাহিনী নেভি সিল অভিযান পরিচালনা করে। হাজারও মাইল অতিক্রম করে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে এ অভিযান চালান তারা। ২০১১ সালে পরিচালিত বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও আলোচিত অভিযানটি কাকপক্ষীও টের পায়নি। এমনকি পাকিস্তানের দক্ষ সেনাবাহিনীও বিষয়টি জানত না।
ওয়াশিংটন পোস্টকে রবার্ট ওনিল জানান, তার গুলিতেই লাদেন নিহত হন। তিনিই প্রথম গুলি চালান লাদেনের ওপর। নিল বলেন, ওই অভিযানে তিনি ও তার আরেক সহকর্মী অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়ির তিন তলায় জানালা বেয়ে উঠেন। এরপর একটি রুমের জানালার বাইরে থেকে লাদেনের মাথায় গুলি করেন তিনি। এ সময় লাদেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার ওই সহকর্মীর নাম গোপন রাখেন তিনি। নিল দাবি করেন, সঙ্গে থাকা সহকর্মী গুলি চালালেও সেটি লক্ষ্যচ্যুত হয়।
নিল বলেন, শয়নকক্ষের ভেতরে ওসামা দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন। তার দুই হাত ছিল এক নারীর কাঁধে। ওই নারীকে তিনি সামনে ঠেলে দিচ্ছিলেন। ওনিলের দাবি, কক্ষটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকা সত্ত্বেও অন্ধকারে দেখার মতো যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি ওসামাকে পরিষ্কারভাবে চিনে নিতে পারেন এবং গুলি করেন। তার ছোড়া গুলিতে মাথার খুলি ফেটে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন।
হত্যা নিয়ে বিতর্ক : বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেভি সিলের আরেক সাবেক সদস্য ম্যাট বিসসোন্যাট দাবি করেন, তার গুলিতেই নিহত হয়েছেন লাদেন। তিনি বলেন, আমিই সেদিন প্রথম গুলি করি। ওই গুলিতেই লাদেন নিহত হন। তবে তিনি ওনিলের দাবির সরাসরি বিরোধিতা করেননি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দুইজন মানুষ পৃথক দুই কারণে পৃথক দুইটি কাহিনী বলছে।
অন্যদিকে পেন্টাগনও নিলের দাবি অস্বীকার করেনি। আবার সত্যি বলে নিশ্চিতও করেনি। এখনও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে লাদেনের হত্যাকারী কে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নেভি সিলের প্রত্যেক সদস্যকে কোনো অভিযানের ব্যাপারে নীরবতা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি তাদের জনগণের সামনে কৃতিত্ব নেয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার জন্য মার্কিন বিশেষ বাহিনী নেভি সিল অভিযান পরিচালনা করে। হাজারও মাইল অতিক্রম করে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে এ অভিযান চালান তারা। ২০১১ সালে পরিচালিত বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও আলোচিত অভিযানটি কাকপক্ষীও টের পায়নি। এমনকি পাকিস্তানের দক্ষ সেনাবাহিনীও বিষয়টি জানত না।
ওয়াশিংটন পোস্টকে রবার্ট ওনিল জানান, তার গুলিতেই লাদেন নিহত হন। তিনিই প্রথম গুলি চালান লাদেনের ওপর। নিল বলেন, ওই অভিযানে তিনি ও তার আরেক সহকর্মী অ্যাবোটাবাদের ওই বাড়ির তিন তলায় জানালা বেয়ে উঠেন। এরপর একটি রুমের জানালার বাইরে থেকে লাদেনের মাথায় গুলি করেন তিনি। এ সময় লাদেন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার ওই সহকর্মীর নাম গোপন রাখেন তিনি। নিল দাবি করেন, সঙ্গে থাকা সহকর্মী গুলি চালালেও সেটি লক্ষ্যচ্যুত হয়।
নিল বলেন, শয়নকক্ষের ভেতরে ওসামা দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন। তার দুই হাত ছিল এক নারীর কাঁধে। ওই নারীকে তিনি সামনে ঠেলে দিচ্ছিলেন। ওনিলের দাবি, কক্ষটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকা সত্ত্বেও অন্ধকারে দেখার মতো যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি ওসামাকে পরিষ্কারভাবে চিনে নিতে পারেন এবং গুলি করেন। তার ছোড়া গুলিতে মাথার খুলি ফেটে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন।
হত্যা নিয়ে বিতর্ক : বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেভি সিলের আরেক সাবেক সদস্য ম্যাট বিসসোন্যাট দাবি করেন, তার গুলিতেই নিহত হয়েছেন লাদেন। তিনি বলেন, আমিই সেদিন প্রথম গুলি করি। ওই গুলিতেই লাদেন নিহত হন। তবে তিনি ওনিলের দাবির সরাসরি বিরোধিতা করেননি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দুইজন মানুষ পৃথক দুই কারণে পৃথক দুইটি কাহিনী বলছে।
অন্যদিকে পেন্টাগনও নিলের দাবি অস্বীকার করেনি। আবার সত্যি বলে নিশ্চিতও করেনি। এখনও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে লাদেনের হত্যাকারী কে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নেভি সিলের প্রত্যেক সদস্যকে কোনো অভিযানের ব্যাপারে নীরবতা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি তাদের জনগণের সামনে কৃতিত্ব নেয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
No comments