ইইউর নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা
জীবাণুর অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়ায় ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সবজি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। একাধিকবার সতর্কের পরও বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে একটি টাস্কফোর্সও। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া সবজিতে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরপর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সবজি রফতানির জন্য গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশ থেকে পাঠানো সবজিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইইউ। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও তারা পাঠিয়েছে বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাঠানো সবজির সাতটি চালানে ব্যাকটেরিয়ার মতো মারাÍক জীবাণু ধরা পড়েছে। জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি জানি। সবজি ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ইউরোপের বাজারে সবজি রফতানির বিদ্যমান পরিস্থিতি তুলে ধরে গত মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালককে একটি চিঠি দেয় বেলজিয়ামস্থ ইইউ’র বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর তপনকান্তি ঘোষ। তার চিঠিতে বলা হয়, ইইউ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সময়সীমা উত্তীর্ণের পরও ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, যে কোনো সময় সবজি রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় তপনকান্তি ঘোষের চিঠিতে। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরে ১৪শ’ কোটি টাকার সবজি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়, সেক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে এই খাত। এদিকে ইইউ’র বাজারে সবজি রফতানির ব্যাপারে সরকার একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটি করা হয়। এ প্ল্যান বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি টাস্কফোর্স। সূত্র মতে, ব্যাকটেরিয়ার অভিযোগে এর আগে বাংলাদেশের পান রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ। সে বিষয়ের এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে বর্তমানে পান রফতানি বন্ধ আছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে পান ও সবজি রফতানির সময় ২০১১ সালের জুন ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত ৬৭৪টি ব্যাকটেরিয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পেয়ে বারবার সতর্ক করেছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু এটি আমলে না নিয়ে দেশের রফতানিকারকরা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত না করে সবজি রফতানি করে। ফলে প্রথমে ইইউ থেকে পান রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর ব্যাকটেরিয়া পায় সবজিতে। এ নিয়ে ইইউ বারবার উদ্বেগও প্রকাশ করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) শওকত আলী ওয়ারেছী যুগান্তরকে বলেন, পান ও সবজি রফতানি নিয়ে বাংলাদেশ একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে সবজি রফতানির ক্ষেত্রে প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্যাকেজিং স্থান থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রান্সপোর্ট সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে এ ধরনের শঙ্কা কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফুট অ্যান্ড ভেজিটেবলস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেন স্বীকার করেন, ব্যাকটেরিয়া দু-একটি থাকতেই পারে। তবে এতে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তবে উন্নত বিশ্বের জন্য এটি স্বাস্থ্যসম্মত নয় বিধায় তারা এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। এরপরও ইইউর প্রশ্ন হল সবজির সঙ্গে পোকা আসবে কেন। তারা বলছে, এই পোকা যেন আমাদের দেশে ঢুকতে না পারে। তিনি আরও বলেন, সবজিতে ছোট ছোট পোকা থেকে যায়। এটি পানিতে ধোয়ার পর মারা যায়। কিন্তু তারা এটি মানতে রাজি নয়। আমরা চেষ্টা করছি এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসতে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাকটিয়া মুক্ত রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অবহিত করে একটি প্রতিবেদন ইইউ বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত অফিসে পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপারে সচেতন না থাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের রফতানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত হবেন, তাদের একটি কালো তালিকা তৈরিরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে ৩ শতাধিক ব্যবসায়ী সবজি রফতানি করছে। অভিযোগ রয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু ব্যবসায়ী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত। যারা কোনো রকম প্যাকেট করেই বিদেশে রফতানি করছে। ফলে তাদের কারণে পুরো সবজি রফতানি হুমকির মধ্যে পড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) শওকত আলী ওয়ারেছী যুগান্তরকে বলেন, পান ও সবজি রফতানি নিয়ে বাংলাদেশ একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে সবজি রফতানির ক্ষেত্রে প্যাকেজিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্যাকেজিং স্থান থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রান্সপোর্ট সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে এ ধরনের শঙ্কা কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফুট অ্যান্ড ভেজিটেবলস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর হোসেন স্বীকার করেন, ব্যাকটেরিয়া দু-একটি থাকতেই পারে। তবে এতে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তবে উন্নত বিশ্বের জন্য এটি স্বাস্থ্যসম্মত নয় বিধায় তারা এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। এরপরও ইইউর প্রশ্ন হল সবজির সঙ্গে পোকা আসবে কেন। তারা বলছে, এই পোকা যেন আমাদের দেশে ঢুকতে না পারে। তিনি আরও বলেন, সবজিতে ছোট ছোট পোকা থেকে যায়। এটি পানিতে ধোয়ার পর মারা যায়। কিন্তু তারা এটি মানতে রাজি নয়। আমরা চেষ্টা করছি এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসতে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাকটিয়া মুক্ত রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অবহিত করে একটি প্রতিবেদন ইইউ বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত অফিসে পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপারে সচেতন না থাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের রফতানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত হবেন, তাদের একটি কালো তালিকা তৈরিরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে ৩ শতাধিক ব্যবসায়ী সবজি রফতানি করছে। অভিযোগ রয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু ব্যবসায়ী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত। যারা কোনো রকম প্যাকেট করেই বিদেশে রফতানি করছে। ফলে তাদের কারণে পুরো সবজি রফতানি হুমকির মধ্যে পড়েছে।
No comments