মান্নান খান দম্পতির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ ১৬ জুলাই
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান এবং তার স্ত্রী হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ (অভিযোগ) গঠনসংক্রান্ত আদেশের জন্য ১৬ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার মান্নান খান দম্পতির বিরুদ্ধে করা পৃথক দুই মামলায় চার্জ গঠনসংক্রান্ত আদেশের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় নথিপত্র আদালতে দাখিল করলেও আদালত চার্জ গঠনের আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই দুই মামলায় চার্জ গঠনসংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তার বড় গাফিলতিতে চার্জ গঠন সম্ভব হয়নি। আদালত ওই দিনই তদন্ত কর্মকর্তাকে দুই মামলায় জব্দ করা সব নথিপত্র আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মান্নান খানের বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ৪ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
মামলা দায়েরের তিন দিনের মাথায় ২৪ আগস্ট মান্নান খান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। অপরদিকে তার স্ত্রী হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একই বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করে কমিশন। এর দু’দিনের মাথায় ২৩ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন হাসিনা সুলতানা। এরপর শুরু হয় মামলার তদন্ত। আর এ তদন্ত শেষ করতে দুদক প্রায় এক বছর সময় নেয়। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট মান্নান খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এতে মান্নান খানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাতে দেখা যায়, তার আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার টাকা এবং তিনি সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার। তদন্ত শেষে হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৯ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
No comments