‘তিনজন নারীকে ধর্ষণ করলে দায় আমার’
সামরিক শাসনের অধীনে ফিলিপিনো সেনাদের ধর্ষণের লাইসেন্স দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। মিন্দানাও দ্বীপে সামরিক শাসনের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি কৌতুক করে বলেন, তার সামরিক শাসনের অধীনে সেনারা নারীদের ধর্ষণ করতে পারবে। তিনি বলেন, একজন সেনা তিনজন নারীকে ধর্ষণ করতে পারবে। এর দায় তিনি কাঁধে নেবেন। খবর রয়টার্সের। দুতের্তে বলেন, সামরিক শাসনের অধীনে যদি কোনো সেনা সদস্য নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে তার দায় তিনি নেবেন। এমনকি নারীকে ধর্ষণ করলে তার দায়ভার ব্যক্তিগতভাবে নিজের কাঁধে নেয়ার আশ্বাস দেন। তবে মনে করা হচ্ছে তিনি কৌতুকছলে একথা বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি একথাও বলেছেন যে কোনো নির্যাতন বা আইন লঙ্ঘনকে তিনি সহ্য করবেন না। প্রেসিডেন্ট দুতের্তে বলেন, যদি আপনি নিন্মমুখী হন, আমিও নিন্মমুখী হব। এই সামরিক আইন, সামরিক আইনের পরিণতি ও সামরিক আইনের অধীনে সব কিছুর দায়ভার আমি নেব। আপনারা শুধু আপনাদের কাজ করুন। বাকিটা দেখব আমি। তিনি আরও বলেন, আপনাদের হয়ে প্রয়োজনে জেলে যাব আমি। জোর দিয়ে তিনি বলেন, যদি কোনো সেনা সদস্য তিনজন নারীকে ধর্ষণ করে আমি এর দায় স্বীকার করব, আমিই।
শনিবার মিন্দানাও দ্বীপে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। ওই দ্বীপে তিনি মঙ্গলবার সামরিক আইন জারি করেছেন। উদ্দেশ্য, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত বিদ্রোহীদের দমন করা। ওই বিদ্রোহীরা শহরটির দক্ষিণাংশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখলে নেয়ার পর সেনাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রয়টার্স লিখেছে, ধর্ষণ নিয়ে এবারই প্রথম কৌতুক করলেন না দুতের্তে। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তিনি ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করেন। ওই সময় ১৯৮৯ সালে জেলে দাঙ্গায় একজন অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি হত্যার বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। ওই নারীকে অন্য বন্দিরা গণধর্ষণ করেছিল। এ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুতের্তে বলেছেন, ওই ধর্ষিতা ছিলেন খুবই সুন্দরী। সুযোগ পেলে ধর্ষকদের সারিতে তিনিই থাকতেন সবার আগে। পরে অবশ্য এমন মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, তিনি নারী ও ধর্ষিতাদের অসম্মানিত করতে চাননি। রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ, নিহত ১৯ : এদিকে মিন্দানাও দ্বীপের মারাবিতে ইসলামী জঙ্গিদের সঙ্গে রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে সামরিক বাহিনী। এ দিয়ে এক সপ্তাহের লড়াইয়ে অন্তত ৮৫ জন মারা গেছে।
No comments