দেশে বেকার সংখ্যা ২৬ লাখ
বর্তমানে দেশে পুরোপুরি বেকার মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ। শতাংশের দিক থেকে এ হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। মোট বেকারের মধ্যে মহিলা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পুরুষ মাত্র ৩ শতাংশ বেকার। তবে ১৫ বছরের উপরে কর্মক্ষম মানুষ রয়েছে ১০ কোটি ৬১ লাখ। এর মধ্যে শ্রমশক্তি রয়েছে ৬ কোটি ২১ লাখ। কর্মে যুক্ত আছে ৫ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ। আর শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ। বেকারের মধ্যে শিক্ষিত আর ও নারী বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে কমছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মে যুক্ত হওয়ার হার। এছাড়া টাকা ছাড়াই পরিবারে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি শ্রম দিচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রোববার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিসংখ্যান ভবনে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজ্জামেল হক, বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুদরত ই খোদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদর সদস্য ড.রুশিদান ইসলাম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচারক আমির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইন্ডাষ্ট্রি এন্ড লেবার উইংয়ের প্রধান ঘোষ সুব্রত। মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক কবীর হোসেন। তবে প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ড. রুশিদান ইসলাম রহমান।
তিনি বলেন, দেশে মাত্র ২৬ লাখ বেকার এটা হতেই পারে না। এছাড়া মহিলাদের মাসিক গড় আয় দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু এতো কম আয় হওয়ার কথা নয়। অনুষ্ঠানের জানানো হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও ) নিয়ম মেনে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২০১৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপেও দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ। এ হিসাবে গত কয়েক বছরে বেকার মানুষের সংখ্যার কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রকল্প পরিচালক জানান, এ জরিপে এক ঘণ্টা কেউ কাজ করলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হয়নি। ১৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে পুরোপুরি বেকার ২৬ লাখ হলেও যারা কাজ করতে চায় বা এক মাসের মধ্যে কাজের খোঁজ করেছিল, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে। শ্রমশক্তির বাইরে যারা রয়েছে তাদের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, এদের অধিকাংশই গৃহীনী, তারপরই রয়েছে শিক্ষার্থী, বয়স্ক বা অবসরে যাওয়া মানুষ, ভবঘুরে কিংবা যারা পরিবারের অতি আদরের সন্তান। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে আর্থিক খাতে যে পরিমান মোট কর্মসংস্থান হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বশি হয়েছে সেবা খাতে।
No comments