আদালতে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, লাশ দিতে টালবাহানা
বাড়ি থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ইজিবাইকের যন্ত্রণাংশে ওড়না পেচিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমির (১০) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে সুমি সদর উপজেলার চৌগাছা গ্রাম থেকে ইজিবাইকে করে চাচার সাথে মামলা সংক্রান্ত কাজে নড়াইলের আদালতে যাচ্ছিল। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকেও সুমির লাশ হাসপাতাল থেকে নিতে পারেননি তার স্বজনেরা। এক শ্রেণির লোক ‘ময়নাতদন্ত’ এর নামে সুমির লাশ থেকে সুযোগ নিতে চায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুমির চাচা জানান, আদালতে যাওয়ার পথে তালতলা এলাকায় সকাল ৯টার দিকে সুমির গলায় ওড়না পেচিয়ে যায়। ‘সুমি ওরে কাকা বলে চিৎকার দেয়।’
ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শুনানির জন্য সুমিকে নিয়ে আদালতে যাচ্ছিলেন তার চাচা। গত ৩১ মার্চ বেলা ১১টার দিকে সুমিকে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে চৌগাছা গ্রামের ইলমাত শেখ (৩৫) ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইলমাতকে গত ১২ এপ্রিল বিকেলে চৌগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইলমাত বর্তমানে কারাগারে আছেন। এদিকে সুমির লাশ হাসপাতাল থেকে এখনো নিতে পারেনি তার স্বজনরা। তার চাচা জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করতে চান পরিবার। তবে, হাসপাতালে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী লোক নানা সমস্যার কথা বলে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ বাড়িতে নিতে দিবে না বলে চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
No comments