অগাধ ক্ষমতার মালিক হবেন এরদোগান!
তুরস্ক
সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে প্রেসিডেন্ট শাসিত প্রজাতন্ত্রে ফিরতে চায়।
এক্ষেত্রে জনগণের ইচ্ছা জানতে আগামী ১৬ই এপ্রিল সেখানে গণভোট আয়োজন করা
হয়েছে। ওই নির্বাচনে যদি ‘হ্যাঁ’ ভোট সফল হয় তাহলে একচ্ছত্র ক্ষমতার মালিক
হবেন প্রেসিডেন্ট। ফলে তিনিই তার মন্ত্রীদের নিয়োগ, বাজেট প্রস্তুত করবেন
তিনি বা অনুমোদন দেবেন। নিজেই নিয়োগ করবেন বেশির ভাগ সিনিয়র বিচারক। ডিক্রি
জারির মধ্য দিয়ে আইন জারি করবেন। এখানেই শেষ নয়। প্রেসিডেন্ট কারো পরামর্শ
না নিয়েই, নিজে নিজেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। পারবেন পার্লামেন্ট
ভেঙে দিতে। ফলে প্রেসিডেন্ট হবেন অগাধ ক্ষমতার মালিক। তুরস্কের প্রায় ৫৫
লাখ মানুষ দেশের বাইরে অবস্থান করেন। এর মধ্যে শুধু জার্মানিতেই রয়েছেন ১৪
লাখ বৈধ ভোটার। তাই এসব ভোটারকে ‘হ্যাঁ’ ভোটের দিকে ধাবিত করার জন্য
প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার। জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডসে অবস্থান
করছেন তুরস্কের বহু ভোটার। তাদের কাছ থেকে ভোট পাওয়ার জন্য অনেক র্যালি
আয়োজন করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানপন্থিরা। কিন্তু
ইউরোপের এ দেশগুলো নিরাপত্তা হুমকির অজুহাতে সেই র্যালি করতে দিতে
অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ নিয়েই ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ। জার্মানি,
নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বিরোধ যখন তুঙ্গে তখন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেবাস্তিয়ান কুর্জ বলেছেন, তার দেশে র্যালি করার জন্য এরদোগানকে স্বাগত
জানানো হবে না। কারণ, এতে সংঘাত বাড়তে পারে। ঐক্য নষ্ট হতে পারে। ওদিকে গত
বছর জুলাইয়ে তুরস্কে ব্যার্থ সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়। তার জবাবে
তুরস্ক যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
ওই অভ্যুত্থান চেষ্টার পর তুরস্ক সরকার প্রায় এক লাখ সরকারি কর্মকর্তা
কর্মচারীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। গণগ্রেপ্তার চালায়। এর বিরুদ্ধে
সবচেয়ে সমালোচনা শাণায় জার্মানি।
No comments