এপির রিপোর্ট: দেশে ফিরতে অনীহা রোহিঙ্গাদের, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
মিয়ানমারে
ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়েছেন হাতেগোনা কয়েকটি মুসলিম রোহিঙ্গা
পরিবার। বাকিরা কোনো সাড়াই দেয়নি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি
ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে এমন মনোভাব প্রকাশ
করেছে রোহিঙ্গারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
এ বিষয়ে শরণার্থী বিষয়ক বাংলাদেশের কমিশনার আবুল কালাম মঙ্গলবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া শরণার্থী প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় বাছাই করা হয়েছে ১০৫৬ জনকে। তার মধ্যে মাত্র ২১টি পরিবার ফরম পূরণ করে তা জমা দিয়েছে। তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন ফিরে যেতে চান কিনা।
এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, সব পরিবারই বলেছে, তারা দেশে ফিরে যাবে না।
গত বছর ইউএনএইচসিআর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একই রকম উদ্যোগ নিলে তা ব্যর্থ হয়। তখনও কোনো শরণার্থী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ বিষয়ে শরণার্থী বিষয়ক বাংলাদেশের কমিশনার আবুল কালাম মঙ্গলবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া শরণার্থী প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় বাছাই করা হয়েছে ১০৫৬ জনকে। তার মধ্যে মাত্র ২১টি পরিবার ফরম পূরণ করে তা জমা দিয়েছে। তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন ফিরে যেতে চান কিনা।
এ বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, সব পরিবারই বলেছে, তারা দেশে ফিরে যাবে না।
গত বছর ইউএনএইচসিআর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একই রকম উদ্যোগ নিলে তা ব্যর্থ হয়। তখনও কোনো শরণার্থী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
যতক্ষণ
পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে না
হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের এ প্রক্রিয়া শুরু করার
পরিকল্পনা স্থগিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক
সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ বিষয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, নতুন
করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ২২ শে আগস্ট। কিন্তু বাংলাদেশে
আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গারা এর প্রতিবাদ করেছে। তারা বলছে, মিয়ানমারে যে
সহিংসতা ও নিষ্পেষণ থেকে পালিয়ে এসেছে, ফিরে গেলে তাদেরকে সেই একই অবস্থার
মুখোমুখি হতে হবে। তাই শরণার্থীদের নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার, নাগরিকত্বের
সম অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, বাংলাদেশ সরকার ২২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের কাছে। তার মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার ৩৪৫৪ জনকে ভেরিফাই করেছে। এসব মানুষকে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা নিশ্চিত হতে চাইছে যে, এসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চাইছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমিক নিপীড়ন ও সহিংসতার সমাধান করতে পারেনি মিয়ানমার এখনও। তাই দেশে ফিরে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রতিটি বিষয়ে কারণ রয়েছে তাদের। রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, যদিও ওই আশ্রয়শিবিরগুলোর অবস্থা জটিল। তাই বলে কোনো শরণার্থীকে নিরাপদ নয়, এমন স্থানে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না।
জাতিসংঘ এ প্রক্রিয়ায় আলোচনা শুরু করার পর অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, তারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। কিন্তু বর্তমানে সেখানে যে অবস্থা তাতে ফিরে যাওয়াটা তাদের জন্য নিরাপদ নয়। প্রাথমিক তালিকায় যেসব শরণার্থীর নাম আছে তাদের অনেকে সমঝোতামুলক আলোচনায় উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একজন শরণার্থী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, মিয়ানমারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা আছেন। তারা এখনও বন্দিশিবিরে। ওই শরণার্থী তাদের রাখাইন রাজ্যে ২০১২ সাল থেকে উন্মুক্ত আকাশের নিচে স্থাপিত খোলা বন্দিশিবিরে থাকা এক লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গার প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যদি ওইসব মানুষকে মুক্ত করে দেয়া হয় এবং তাদেরকে তাদের গ্রামে যেতে দেয়া হয়, তাহলে বুঝবো দেশে ফিরে যাওয়া নিরাপদ এবং আমরাও দেশে ফিরে যাবো।
২৬ নম্বর ক্যাম্পের একজন শরণার্থী। তার পরিবারে রয়েছে ৬ সদস্য। তার নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই না। কারণ, সেখানে আমাদের প্রিয়জনদের অনেকের দাফন করতে পারিনি। তাদেরকে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়েছে। ২৪ নম্বর ক্যাম্পের একজন নারী শরণার্থী বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো আমি পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমার স্বামীকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আমি সেখানে ফিরে যেতে চাই না। কারণ, আমি যে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছি, চাই না সেই একই অবস্থার শিকার হোক আমার পরবর্তী প্রজন্ম।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনার কথা ঘোষিত হওয়ার পর মিয়ানমারে নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন শরণার্থীরা। তারা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দিতে, তাদের ভূমি ও সম্পদ তাদের কাছে ফেরত দিতে। এ ছাড়া তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যা সেনাবাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, বাংলাদেশ সরকার ২২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের কাছে। তার মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার ৩৪৫৪ জনকে ভেরিফাই করেছে। এসব মানুষকে ফেরত পাঠানোর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা নিশ্চিত হতে চাইছে যে, এসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চাইছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমিক নিপীড়ন ও সহিংসতার সমাধান করতে পারেনি মিয়ানমার এখনও। তাই দেশে ফিরে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রতিটি বিষয়ে কারণ রয়েছে তাদের। রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ, যদিও ওই আশ্রয়শিবিরগুলোর অবস্থা জটিল। তাই বলে কোনো শরণার্থীকে নিরাপদ নয়, এমন স্থানে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না।
জাতিসংঘ এ প্রক্রিয়ায় আলোচনা শুরু করার পর অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, তারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। কিন্তু বর্তমানে সেখানে যে অবস্থা তাতে ফিরে যাওয়াটা তাদের জন্য নিরাপদ নয়। প্রাথমিক তালিকায় যেসব শরণার্থীর নাম আছে তাদের অনেকে সমঝোতামুলক আলোচনায় উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একজন শরণার্থী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, মিয়ানমারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা আছেন। তারা এখনও বন্দিশিবিরে। ওই শরণার্থী তাদের রাখাইন রাজ্যে ২০১২ সাল থেকে উন্মুক্ত আকাশের নিচে স্থাপিত খোলা বন্দিশিবিরে থাকা এক লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গার প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যদি ওইসব মানুষকে মুক্ত করে দেয়া হয় এবং তাদেরকে তাদের গ্রামে যেতে দেয়া হয়, তাহলে বুঝবো দেশে ফিরে যাওয়া নিরাপদ এবং আমরাও দেশে ফিরে যাবো।
২৬ নম্বর ক্যাম্পের একজন শরণার্থী। তার পরিবারে রয়েছে ৬ সদস্য। তার নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই না। কারণ, সেখানে আমাদের প্রিয়জনদের অনেকের দাফন করতে পারিনি। তাদেরকে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়েছে। ২৪ নম্বর ক্যাম্পের একজন নারী শরণার্থী বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো আমি পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমার স্বামীকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আমি সেখানে ফিরে যেতে চাই না। কারণ, আমি যে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছি, চাই না সেই একই অবস্থার শিকার হোক আমার পরবর্তী প্রজন্ম।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনার কথা ঘোষিত হওয়ার পর মিয়ানমারে নৃশংসতার জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন শরণার্থীরা। তারা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দিতে, তাদের ভূমি ও সম্পদ তাদের কাছে ফেরত দিতে। এ ছাড়া তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যা সেনাবাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তারা।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ৬১ এনজিওর ৪ সুপারিশ
মিয়ানমার
সঙ্কটের অবনতিতে সতর্ক করেছে ৬১টি বেসরসারি সংগঠন বা এনজিও। তারা নিরাপদ ও
স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় শরণার্থীদের জড়িত করার আহ্বান
জানিয়েছে। এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। তাতে বলা হয়েছে,
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও
উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বলা হয়েছে, মিয়ানমারে এখন যে অবস্থা তা নিরাপত্তা ও
অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় না। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক ওই ৬১টি এনজিও চারটি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। তাতে বলা হয়েছে-
১. রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের
অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ২. মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের
মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
৩. রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, জীবিকা নির্বাহ ও সুরক্ষায় সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ৪. মধ্যম/দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান বের করতে হবে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ওই ৬১টি এনজিও’র পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ১৩০টির বেশি এনজিও বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে রোহিঙ্গাদের জীবনধারণে সহায়তায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের টিকে থাকার জন্য আরও অনেক মৌলিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রয়োজন। তাদের অনেকেই দেশে ফিরে যেতে চান। কিন্তু আরও সহিংসতা ও নিষ্পেষণের ভয়ে তারা আতঙ্কিত।
মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে সেভ দ্য চিলড্রেন লিখেছে, মিয়ানমারে রয়েছে বৈষম্যমুলক নীতি। এর অর্থ হলো, রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গা সম্প্রদায় চলাচলে অব্যাহতভাবে কঠিন বিধিনিষেধের মুখে থাকবে, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার ও জীবন ধারণের অধিকার থাকবে সীমিত। প্রায় এক লাখ ২৮ হাজার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায় এখনও মধ্য রাখাইনে বন্দিশিবিরে আটক আছেন সেই ২০১২ সাল থেকে। তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বন্দিশিবির সম্পর্কে সেভ দ্য চিলড্রেন লিখেছে, গত দুই বছর ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে বেঁচে আছেন মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বের অধীনে মানবাধিকার বিষয়ক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগে এই আশ্রয়শিবিরের অবস্থা উন্নত হয়েছে, বর্ষা মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি দৃঢ় করা হয়েছে, রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে সহায়তা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ আশ্রয়শিবিরের অবস্থা এখনও করুণ। সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে।
৩. রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, জীবিকা নির্বাহ ও সুরক্ষায় সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ৪. মধ্যম/দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান বের করতে হবে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ওই ৬১টি এনজিও’র পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ১৩০টির বেশি এনজিও বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করেছে রোহিঙ্গাদের জীবনধারণে সহায়তায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের টিকে থাকার জন্য আরও অনেক মৌলিক সমর্থন প্রয়োজন। তাদের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রয়োজন। তাদের অনেকেই দেশে ফিরে যেতে চান। কিন্তু আরও সহিংসতা ও নিষ্পেষণের ভয়ে তারা আতঙ্কিত।
মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে সেভ দ্য চিলড্রেন লিখেছে, মিয়ানমারে রয়েছে বৈষম্যমুলক নীতি। এর অর্থ হলো, রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গা সম্প্রদায় চলাচলে অব্যাহতভাবে কঠিন বিধিনিষেধের মুখে থাকবে, তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার ও জীবন ধারণের অধিকার থাকবে সীমিত। প্রায় এক লাখ ২৮ হাজার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায় এখনও মধ্য রাখাইনে বন্দিশিবিরে আটক আছেন সেই ২০১২ সাল থেকে। তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বন্দিশিবির সম্পর্কে সেভ দ্য চিলড্রেন লিখেছে, গত দুই বছর ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে বেঁচে আছেন মানবিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বের অধীনে মানবাধিকার বিষয়ক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগে এই আশ্রয়শিবিরের অবস্থা উন্নত হয়েছে, বর্ষা মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি দৃঢ় করা হয়েছে, রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে সহায়তা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ আশ্রয়শিবিরের অবস্থা এখনও করুণ। সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে।
No comments