গরুর দুধ ও দইয়ে কীটনাশক, অণুজীব ও সিসা!
গরুর
তরল দুধে (প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া) সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ও নানা
ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে বিভিন্ন অণুজীবও।
একই সঙ্গে প্যাকেটজাত গরুর দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য এমনকি দইয়েও অ্যান্টিবায়োটিক
ও সিসা পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত। আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির
মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি
ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল)। সংস্থাটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও)
আর্থিক সহায়তায় গরুর দুধ, প্যাকেটজাত দুধ, দই ও গো খাদ্য নিয়ে এই জরিপের
কাজ করেছে। এনএফএসএল সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন উপজেলা/থানা থেকে নমুনা
সংগ্রহ করা হয়েছে। গরুর দুধ সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সাথে
উক্ত খামার থেকেই গবাদী পশুর খাবার সংগ্রহ করা হয়েছে। দই ঢাকা শহরের
বিভিন্ন ব্র্যান্ড দোকান ও আশপাশের উপজেলার দোকান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত তরল দুধ এবং আমদানি করা প্যাকেটজাত দুধও সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে মেনে ল্যাবরেটরিতে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে ।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে জানানো হয়, ৬৯-১০০ শতাংশ গোখাদ্যে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক- কীটনাশক (৯টি নমুনায়), সীসা (২২টি নমুনায়), ক্রোমিয়াম(১৬টি নমুনায়), টেট্রাসাইক্লিন(২২টি নমুনায়), এনরোফ্লোক্সাসিন (২৬টি নমুনায়), সিপ্রোসিন(৩০টি নমুনায়) এবং আফলাটক্সিন (১৯টি নমুনায়) গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রা পাওয়া যায়।
গরুর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা পাওয়া যায়। ৯৬ শতাংশ দুধে মেলে বিভিন্ন অণুজীব।
প্যাকেটজাত দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে আছে টেট্রাসাইক্লিন। একটি নমুনায় সিসা মিলেছে। একই সঙ্গে ৬৬ থেকে ৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় বিভিন্ন অণুজীব পাওয়া গেছে।
এছাড়া দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। আর ৫১ শতাংশ নমুনায় মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব।
গবেষকেরা বলছেন, যে সকল উপাদান পাওয়া গেছে তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া সিসা ও ক্রোমিয়াম ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান এবং এএফএসএ’র প্রধান অধ্যাপক ড. শাহনীলা ফেরদৌসী এই গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত তরল দুধ এবং আমদানি করা প্যাকেটজাত দুধও সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে মেনে ল্যাবরেটরিতে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে ।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে জানানো হয়, ৬৯-১০০ শতাংশ গোখাদ্যে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক- কীটনাশক (৯টি নমুনায়), সীসা (২২টি নমুনায়), ক্রোমিয়াম(১৬টি নমুনায়), টেট্রাসাইক্লিন(২২টি নমুনায়), এনরোফ্লোক্সাসিন (২৬টি নমুনায়), সিপ্রোসিন(৩০টি নমুনায়) এবং আফলাটক্সিন (১৯টি নমুনায়) গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রা পাওয়া যায়।
গরুর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা পাওয়া যায়। ৯৬ শতাংশ দুধে মেলে বিভিন্ন অণুজীব।
প্যাকেটজাত দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে আছে টেট্রাসাইক্লিন। একটি নমুনায় সিসা মিলেছে। একই সঙ্গে ৬৬ থেকে ৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় বিভিন্ন অণুজীব পাওয়া গেছে।
এছাড়া দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। আর ৫১ শতাংশ নমুনায় মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব।
গবেষকেরা বলছেন, যে সকল উপাদান পাওয়া গেছে তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ শক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া সিসা ও ক্রোমিয়াম ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান এবং এএফএসএ’র প্রধান অধ্যাপক ড. শাহনীলা ফেরদৌসী এই গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
No comments