থাই প্রিন্সেসকে নিয়ে কেন এত বিতর্ক
প্রিন্সেস
উবোলরাতানা রাজাকানিয়া সিরিভাধানা বারনাভাদিকে (৬৭) ঘিরে থাইল্যান্ডে ঝড়ো
বিতর্ক। তিনি দেশটিতে আগামী ২৪ শে মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী
পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন ঘোষণা যেকোনো নাগরিকই দিতে
পারেন। তাতে বিতর্কের কি আছে? তবে বিতর্ক আছে প্রিন্সেস উবোলরাতানা
রাজাকানিয়াকে কেন্দ্র করে। কারণ, তিনি বর্তমান রাজার বড় বোন। তার ওপর তিনি
দেশে ক্ষমতাচ্যুত ও নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন
সিনাওয়াত্রার ভক্ত। থাকসিন সিনাওয়াত্রা বা তার বোন সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে নিয়ে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আছে তীব্র আলোচনা,
সমালোচনা। থাইল্যান্ডে রাজাকে দেখা হয় সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে।
তার বোন হয়ে এবং একজন নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রীর অনুরক্ত হিসেবে প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এখন সর্বশেষ এ বিষয়ে রাজার হস্তপক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। তিনি যেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রার্থিতা আটকে দেন এমন আবেদন করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্টার।
থাই রাকসা চার্ট পার্টি থেকে ওই নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া। এখন ওই দলটিই বলছে, তারা রাজার সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। একদিন আগে তারা প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়াকে তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছিলেন। আর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পর তারাই নাটকীয়ভাবে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছে। তারা বলছে, তাদের দল রাজা ও রাজপরিবারের সব সদস্যের প্রতি অনুগত। তাদের যেকোন রাজকীয় কমান্ড তারা মেনে চলবে।
প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া এর আগে সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে ঘোষণা দেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শনিবার দেয়া এমন ঘোষণায় তিনি তার সব সমর্থককে ধন্যবাদ জানান। বলেন, থাইল্যান্ডকে তিনি সামনে এগিয়ে নিতে চান। কিন্তু এ ঘোষণার পর পরই দ্রুততার সঙ্গে তার ভাই, থাইল্যান্ডের রাজা তার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। স্টার অনলাইন লিখেছে, শনিবার প্রথম ঘোষণা দেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রতি অনুগত রাজনৈতিক দল থাই রাকসা পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। এতে পুরো দেশ বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ, তার এই রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত সেদেশের রাজতন্ত্রের রীতির ভঙ্গ। এমন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন ছোটভাই ও দেশের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ (৬৬)। এর ফলে ধরে নেয়া হয় যে, প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া যদি মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহলে নির্বাচন কমিশন থেকে তা অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।
এ অবস্থায় শনিবার পরিকল্পিত দলীয় প্রচারণা বাতিল করে প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়াকে মনোনয়ন দেয়া থাই রাকসা চার্ট দল। তবে রাজার মন্তব্যের বিষয়ে কোনো কথা বলেন নি ওই দলের কোনো নেতা। শুক্রবার দিনশেষে রাজা ভাজিরালংকর্ন একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি তার বড়বোন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রার্থিতাকে অসঙ্গত বলে বর্ণনা করেন। এতে আরো বলা হয়, রাজপরিবারের সদস্যদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সংবিধানের স্পিরিটের বিরোধী।
যদিও একজন প্রার্থীর প্রার্থিতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা বলে, তবুও রাজার মতো শক্তিধর প্রভাবশালী ব্যক্তির মন্তব্যকে এ কমিশনের কোনো সদস্য অবজ্ঞা করবেন এমনটা ঘটবে না বলেই মনে হয়।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া। তাতে তিনি তার ভাইকে সরাসরি উল্লেখ করেন নি। উল্লেখ করেন নি রাজনৈতিক প্রত্যাশার বিষয়ে। তবে তিনি তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদেরকে বিগত দিনে একের প্রতি অন্যের ভালবাসা ও মমতার উল্লেখ করেন। তাদের সমর্থনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার ছিল সেখানে দলগুলোর প্রার্থিতা ঘোষণার সর্বশেষ দিন। যদি মার্চের জাতীয় নির্বাচনে তার প্রার্থিতা টেকে তাহলে প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ হবেন প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা। তিনি শুক্রবার তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্স যোগাযোগ করে শুক্রবার রাতে। কিন্তু কমিশন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা সোমবার একটি বৈঠকে বসবেন।
১৯৩২ সাল থেকে থাইল্যান্ড একটি রাজতন্ত্র শাসিত সংবিধানের অধীনে চলছে। এখানে রাজ পরিবারের রয়েছে বিরাট রকমের প্রভাব।
তার বোন হয়ে এবং একজন নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রীর অনুরক্ত হিসেবে প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এখন সর্বশেষ এ বিষয়ে রাজার হস্তপক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। তিনি যেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রার্থিতা আটকে দেন এমন আবেদন করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্টার।
থাই রাকসা চার্ট পার্টি থেকে ওই নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া। এখন ওই দলটিই বলছে, তারা রাজার সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। একদিন আগে তারা প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়াকে তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছিলেন। আর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পর তারাই নাটকীয়ভাবে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেছে। তারা বলছে, তাদের দল রাজা ও রাজপরিবারের সব সদস্যের প্রতি অনুগত। তাদের যেকোন রাজকীয় কমান্ড তারা মেনে চলবে।
প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া এর আগে সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে ঘোষণা দেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শনিবার দেয়া এমন ঘোষণায় তিনি তার সব সমর্থককে ধন্যবাদ জানান। বলেন, থাইল্যান্ডকে তিনি সামনে এগিয়ে নিতে চান। কিন্তু এ ঘোষণার পর পরই দ্রুততার সঙ্গে তার ভাই, থাইল্যান্ডের রাজা তার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। স্টার অনলাইন লিখেছে, শনিবার প্রথম ঘোষণা দেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রতি অনুগত রাজনৈতিক দল থাই রাকসা পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। এতে পুরো দেশ বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ, তার এই রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত সেদেশের রাজতন্ত্রের রীতির ভঙ্গ। এমন ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন ছোটভাই ও দেশের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ (৬৬)। এর ফলে ধরে নেয়া হয় যে, প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া যদি মনোনয়নপত্র জমা দেন তাহলে নির্বাচন কমিশন থেকে তা অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে।
এ অবস্থায় শনিবার পরিকল্পিত দলীয় প্রচারণা বাতিল করে প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়াকে মনোনয়ন দেয়া থাই রাকসা চার্ট দল। তবে রাজার মন্তব্যের বিষয়ে কোনো কথা বলেন নি ওই দলের কোনো নেতা। শুক্রবার দিনশেষে রাজা ভাজিরালংকর্ন একটি বিবৃতি দেন। তাতে তিনি তার বড়বোন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রার্থিতাকে অসঙ্গত বলে বর্ণনা করেন। এতে আরো বলা হয়, রাজপরিবারের সদস্যদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া সংবিধানের স্পিরিটের বিরোধী।
যদিও একজন প্রার্থীর প্রার্থিতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা বলে, তবুও রাজার মতো শক্তিধর প্রভাবশালী ব্যক্তির মন্তব্যকে এ কমিশনের কোনো সদস্য অবজ্ঞা করবেন এমনটা ঘটবে না বলেই মনে হয়।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়া। তাতে তিনি তার ভাইকে সরাসরি উল্লেখ করেন নি। উল্লেখ করেন নি রাজনৈতিক প্রত্যাশার বিষয়ে। তবে তিনি তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাদেরকে বিগত দিনে একের প্রতি অন্যের ভালবাসা ও মমতার উল্লেখ করেন। তাদের সমর্থনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুক্রবার ছিল সেখানে দলগুলোর প্রার্থিতা ঘোষণার সর্বশেষ দিন। যদি মার্চের জাতীয় নির্বাচনে তার প্রার্থিতা টেকে তাহলে প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ হবেন প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা। তিনি শুক্রবার তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্স যোগাযোগ করে শুক্রবার রাতে। কিন্তু কমিশন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা সোমবার একটি বৈঠকে বসবেন।
১৯৩২ সাল থেকে থাইল্যান্ড একটি রাজতন্ত্র শাসিত সংবিধানের অধীনে চলছে। এখানে রাজ পরিবারের রয়েছে বিরাট রকমের প্রভাব।
No comments