মিতু কারাগারে
রিমান্ড
শেষে গতকাল ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে আদালতে নিয়ে যান মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা। দাখিল করেন প্রতিবেদন। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ এবং জামিন আবেদন
নামঞ্জুর করে মিতুকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এএসটিসির) শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
এর আগে গত সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরান খানের আদালত মিতুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতকর্ম দিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
এরপর চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিতুকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের বলেন, শেষ দিনে এসে মিতু পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন।
জানান, বিয়ের আগে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যাচমেট, এর আগে চুয়েটের এক শিক্ষার্থী এবং বিয়ের পরে ডা. মাহবুব আলম ও আমেরিকায় থাকা অবস্থায় ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেলের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। যা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন স্বামী ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। যা জবানবন্দি হিসেবে রেকর্ড করা হয় বলে জানান এসআই আবদুল কাদের।
এসআই আবদুল কাদের বলেন, গত ৩১শে জানুয়ারি ভোরে আত্মহত্যার আগে ডা. আকাশ তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ত্রী মিতুর পরকীয়া ও পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কথা ফাঁস করেন। এরপর ৩১শে জানুয়ারি দিনগত রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এরপর ১লা ফেব্রুয়ারি বিকালে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)সহ ৩-৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন আকাশের মা জোবাইদা খানম। এরপর ২রা ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানা পুলিশ তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন। কিন্তু তিনদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল ৫ম দিনে রিমান্ডে দেয়া মিতুর জবানবন্দির রেকর্ডসহ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের সময় মিতুর জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মিতুকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন: চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ায় মিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এএসটিসির) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা ‘আকাশ ভাইয়ের হত্যাকারী মিতুর ফাঁসি চাই, আকাশ ভাইয়ের ভালোবাসা পরাজিত হয়নি প্রতারিত হয়েছে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে ‘ঔঁংঃরপব ঋড়ৎ অশধংয্থ ইত্যাদি লেখা সংবলিত ব্যানার হাতে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা বলেন, একটি মানুষ যে তার সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে স্ত্রীকে ভালোবাসতে পারে ডা. আকাশ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু মিতু প্রতিনিয়ত মানুষটিকে ঠকিয়েছে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তিলে তিলে ডা. আকাশকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। সর্বশেষ তাকে আত্মহত্যা করতে অনেকটা বাধ্য করেছে।
আশফাক উদ্দিন নামে একজন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজন তরুণ মেধাবী চিকিৎসকের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী মিতুর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। এই ঘটনায় জড়িত মিতু গ্রেপ্তার হলেও অন্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা চাই অভিযুক্ত প্রতিটি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
মিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এএসটিসির) শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
এর আগে গত সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল ইমরান খানের আদালত মিতুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতকর্ম দিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
এরপর চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মিতুকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের বলেন, শেষ দিনে এসে মিতু পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন।
জানান, বিয়ের আগে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যাচমেট, এর আগে চুয়েটের এক শিক্ষার্থী এবং বিয়ের পরে ডা. মাহবুব আলম ও আমেরিকায় থাকা অবস্থায় ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেলের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। যা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন স্বামী ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। যা জবানবন্দি হিসেবে রেকর্ড করা হয় বলে জানান এসআই আবদুল কাদের।
এসআই আবদুল কাদের বলেন, গত ৩১শে জানুয়ারি ভোরে আত্মহত্যার আগে ডা. আকাশ তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ত্রী মিতুর পরকীয়া ও পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কথা ফাঁস করেন। এরপর ৩১শে জানুয়ারি দিনগত রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এরপর ১লা ফেব্রুয়ারি বিকালে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)সহ ৩-৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন আকাশের মা জোবাইদা খানম। এরপর ২রা ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানা পুলিশ তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন। কিন্তু তিনদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল ৫ম দিনে রিমান্ডে দেয়া মিতুর জবানবন্দির রেকর্ডসহ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের সময় মিতুর জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মিতুকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন: চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ায় মিতুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এএসটিসির) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা ‘আকাশ ভাইয়ের হত্যাকারী মিতুর ফাঁসি চাই, আকাশ ভাইয়ের ভালোবাসা পরাজিত হয়নি প্রতারিত হয়েছে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে ‘ঔঁংঃরপব ঋড়ৎ অশধংয্থ ইত্যাদি লেখা সংবলিত ব্যানার হাতে বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা বলেন, একটি মানুষ যে তার সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে স্ত্রীকে ভালোবাসতে পারে ডা. আকাশ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু মিতু প্রতিনিয়ত মানুষটিকে ঠকিয়েছে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তিলে তিলে ডা. আকাশকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। সর্বশেষ তাকে আত্মহত্যা করতে অনেকটা বাধ্য করেছে।
আশফাক উদ্দিন নামে একজন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা একজন তরুণ মেধাবী চিকিৎসকের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী মিতুর ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। এই ঘটনায় জড়িত মিতু গ্রেপ্তার হলেও অন্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা চাই অভিযুক্ত প্রতিটি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
No comments