সিলেটে কটাই-মিলির প্রেম না ‘ব্ল্যাকমেইল’ by ওয়েছ খছরু
কটাই-মিলির
প্রেম ও অভিসার নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটজুড়ে। গত দুইবছর ধরে সিলেটি
নাটকপাড়ায় এ নিয়ে কানাঘুষার অন্ত ছিল না। কিন্তু মিলির জিডি’র পর থেকে
আলোচিত এ প্রেমের ঘটনাটি এখন সবার মুখে মুখে। কটাই মিয়া সিলেটের জনপ্রিয়
নাম। পরিচিত এক চরিত্র। এ কারণে মিলির জিডিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে মনে
করছে সিলেটি নাটকপাড়ার অনেকেই। কেউ কেউ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ
নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তবে- মিলি নাছোরবান্দা। সবকিছু কটাইয়ের হাতে
বিসর্জনের পর তাকে কাছে পেতে হাতে তুলে দিয়েছিলেন টাকাও। কটাইকে নিয়ে সুখের
ঘর বাঁধতে না পেরে এখন টাকা উদ্ধারে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। সিলেটি
নাটকপাড়ার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- প্রেম ও অভিসারের সময় বেপরোয়া ছিলেন কটাই
ও মিলি। শাহেদ ওরফে কটাই ওই সময় শুধু মিলির সঙ্গেই নয়, কয়েকজন তরুণীর
সঙ্গে একত্রে প্রেম করেছেন। একেক সময় একেক জনকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তিনি।
তুমুল জনপ্রিয় হওয়ার কারণে নাটকপাড়ার রমণীরা তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি করতো।
পর্দায় সুযোগ পাওয়ার আশায় তার পেছনে ঘুরেছেন অনেক নারী। এর মধ্যে অনেকের
সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন কটাই মিয়া। প্রায় সময় এসব নিয়ে বির্তক হলেও
নাটকপাড়ার গন্ডি পেরিয়ে খবর বাইরে আসেনি। অন্যদিকে- মিলিও কটাইয়ের চেয়ে কম
না। এক সঙ্গে একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেম ও অভিসার করেছেন। তিনি নিজেও
বিবাহিত। আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা মিলি বেগম এখন স্বামীর ঘরের গৃহিণী।
এরপরও তিনি বাইরের জগতে বেপরোয়া এক নারী। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এখন
সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে এসব মাধ্যমে একপক্ষ আরেক পক্ষকে
হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। কটাই ও মিলির বেশ কয়েকটি অন্তরঙ্গ ছবিও আলোচিত
হচ্ছে। এসব ছবিতে দেখা গেছে- কটাই মিয়া ও মিলি অন্তরঙ্গ অবস্থায় বসে আছেন।
কখনো কখনো তিনি জড়িয়ে ধরে আছেন মিলিকে। মিলির মোবাইলে থাকা এসব ছবি ফেসবুক,
ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বন্ধু মহলে। মিলি বেগম
জানিয়েছেন- তিনি শাহেদ ওরফে কটাইয়ের সঙ্গে কোনো অভিনয় করেননি। প্রেম ও
অভিসার করেছেন কটাইকে কাছে পাওয়ার জন্য। কিন্তু কটাই তাকে ধোঁকা দিয়ে
আরেকজনকে ঘরণী করেছে। পাশাপাশি তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এখন অস্বীকার করছে।
মিলি দাবি করেন- সব কিছু বুঝে শুনে কটাই তাকে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল।
শেষে প্রতারণা করেছে। এদিকে- মিলির জিডি ও দাবি নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। কটাই মিয়ার বিরুদ্ধে জিডি করায় মিলির বিরুদ্ধে
নিজের ফেসবুক আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেটের
কর্ণধার কামাল রাসেল। শাহেদ মোশারফ ওরফে কটাই মিয়ার বিরুদ্ধে যে কোনো
চক্রান্ত কঠোর হাতে প্রতিহত করা হবে বলে জানান তিনি। ফেসবুকে কামাল রাসেল
উল্লেখ করেন- ‘আমাদের শাহেদ মোশারফ এক দিনে বা কয়েক মাসে কটাই মিয়া হয় নি।
সে কঠোর পরিশ্রম করে তিলে তিলে ত্রিশ বছরের অভিনয় জীবন পার করে আজকে দেশে
বিদেশে কটাই মিয়া নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিলেট বিভাগে কটাই মিয়ার বিকল্প
একজন কমেডিয়ান আজও জন্ম নেয় নি। যে বা যারা কটাই মিয়াকে ধ্বংস করতে চাও আমি
তাদের বলে দিতে চাই তোমরা থেমে যাও- নইলে এর পরিণাম ভালো হবে না। কটাই
মিয়ার অভিনয় জীবনে কোনো কলঙ্কের দাগ নেই বা অতীতেও ছিল না। যে মহিলা একটি
কুচক্রী মহলের ইন্ধনে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন আমি বলছি আপনি আপনার জিডি
প্রত্যাহার করে নিন।’ এদিকে মিলি জানিয়েছেন- ‘কটাইয়ের বিরুদ্ধে জিডি দায়ের
করার পর সিলেটি নাটকপাড়ার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
বিষয়টিকে তারা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছেন। ইমন অডিও’র
স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ লোলন সহ কয়েকজন তার সঙ্গে কথা বলেছেন।’ মিলি জানান-
‘সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি আমার ইজ্জত গেছে, টাকা গেছে। সব হারিয়ে আমি এখন
নিঃস্ব। সুতরাং এসব কিছু ফিরিয়ে না দিলে আমি আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেবো।’
No comments