মন্ত্রী-এমপিদের বৈঠক আচরণবিধি লঙ্ঘন
নির্বাচন
কমিশন খাঁচায় পোরা তোতা পাখিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন , সরকার তার কর্তৃত্ব
সমপ্রসারণ করে ইসিকে কব্জায় নিয়েছে। গতকাল নয়া পল্টন দলের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি স্বাধীনভাবে
তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ
করতে দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের যেরকম নিয়ম, তাতে আমাদের হাত-পা বাঁধা। আমি
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলতে চাই- নির্বাচন কমিশনে আপনাদের পছন্দের
লোকজনদেরকে নিয়োগ দিয়ে সুষ্ঠু ভোট যাতে না হয় সেজন্য তাদের হাত-পা বেঁধে
দিয়েছেন।
ইসি খুলনাতে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। বর্তমান ইসি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বর্ণালী বাহিনী নন বরং এখন তারা ‘খাঁচায় পোরা তোতা পাখি’ হয়ে গেছে। রিজভী বলেন, খুলনার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট সন্ত্রাসের এক অভিনব নতুন মডেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি খারাপ নজির সৃষ্টি করলো। এতে নির্বাচন কমিশন বিএনপির সমর্থকসহ সাধারণ ভোটারদের অধিকার হরণ করে তাদের হাত-পা বেঁধে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চেপে ধরে আওয়ামী লীগকে জয় আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার মানুষের সমর্থন মিলেছে। অন্যদিকে গত ১৫ই মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছে তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেছেন- এমন সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে? আসলে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, খুলনার ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে এখন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন।
নতুন মডেলের ‘চমৎকার’ নির্বাচনে খুলনা সিটির অর্ধেকেরও কম ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি হাজার হাজার ভোটার। যে নির্বাচনের পর লজ্জায় আজও নির্বাচন কমিশন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি। যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের তদন্ত দাবি করছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সরকারদলীয় একজন এমপি যিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয়, একটানা পনের দিন খুলনায় অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিভাবে খুলনাতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন তা দেশবাসী দেখেছে গণমাধ্যমের বদৌলতে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করে না।
কিন্তু এটা যে কতটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার তার আরো একটি উদাহরণ হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে গতকাল গাজীপুরের টঙ্গিতে এক স্থানীয় এমপির বাসায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এমপি-মন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ মন্ত্রী-এমপিরা আরো উপস্থিত ছিলেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এই ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন মহলের এক গভীর নীলনকশার বীভৎস আভাস ফুটে উঠছে। রিজভী বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর আগেও অনেকবার তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তরুণ সমাজকে ভীত করার জন্যই রাজিব ও রাজের উপর এই নির্যাতন। আমি অবিলম্বে তাদের রিমান্ড প্রত্যাহার করে মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও আবার গতকাল তাকে একটি মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে। এটি সরকারের এক ঘৃণ্য নিপীড়নের বীভৎস চিত্র। অদৃশ্য গণতন্ত্র যাতে ফিরিয়ে আনা না যায় সে জন্যই বিরোধী দলের তরুণ নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখতেই সরকারের এত কারসাজি। ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইসি খুলনাতে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। বর্তমান ইসি প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বর্ণালী বাহিনী নন বরং এখন তারা ‘খাঁচায় পোরা তোতা পাখি’ হয়ে গেছে। রিজভী বলেন, খুলনার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট সন্ত্রাসের এক অভিনব নতুন মডেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি খারাপ নজির সৃষ্টি করলো। এতে নির্বাচন কমিশন বিএনপির সমর্থকসহ সাধারণ ভোটারদের অধিকার হরণ করে তাদের হাত-পা বেঁধে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে চেপে ধরে আওয়ামী লীগকে জয় আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার মানুষের সমর্থন মিলেছে। অন্যদিকে গত ১৫ই মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছে তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেছেন- এমন সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে? আসলে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, খুলনার ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে এখন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন।
নতুন মডেলের ‘চমৎকার’ নির্বাচনে খুলনা সিটির অর্ধেকেরও কম ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি হাজার হাজার ভোটার। যে নির্বাচনের পর লজ্জায় আজও নির্বাচন কমিশন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি। যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জাল ভোট প্রদানসহ নানা অনিয়মের তদন্ত দাবি করছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সরকারদলীয় একজন এমপি যিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট আত্মীয়, একটানা পনের দিন খুলনায় অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিভাবে খুলনাতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন তা দেশবাসী দেখেছে গণমাধ্যমের বদৌলতে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করে না।
কিন্তু এটা যে কতটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার তার আরো একটি উদাহরণ হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে গতকাল গাজীপুরের টঙ্গিতে এক স্থানীয় এমপির বাসায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এমপি-মন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ মন্ত্রী-এমপিরা আরো উপস্থিত ছিলেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এই ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন মহলের এক গভীর নীলনকশার বীভৎস আভাস ফুটে উঠছে। রিজভী বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর আগেও অনেকবার তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তরুণ সমাজকে ভীত করার জন্যই রাজিব ও রাজের উপর এই নির্যাতন। আমি অবিলম্বে তাদের রিমান্ড প্রত্যাহার করে মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সকল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও আবার গতকাল তাকে একটি মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে। এটি সরকারের এক ঘৃণ্য নিপীড়নের বীভৎস চিত্র। অদৃশ্য গণতন্ত্র যাতে ফিরিয়ে আনা না যায় সে জন্যই বিরোধী দলের তরুণ নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখতেই সরকারের এত কারসাজি। ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments