খুচরা বিক্রেতা বন্দুকযুদ্ধে, মূলহোতারা কই? by আমানুর রহমান রনি
পুলিশ
ও র্যাবের সঙ্গে গত ছয়দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৮ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
র্যাব দাবি করেছে, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। তবে বাংলা ট্রিবিউনের জেলা
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা গেছে, এরা কেউ কেউ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী
হিসেবে পরিচিত হলেও অধিকাংশই নিম্ন আয় পরিবারের সদস্য। তাদের বাড়ির
অবস্থাশালীও তেমন ভালো না। তবে অভিযানে মাদক চোরকারবারির মূলহোতারা একজনও
গ্রেফতার হয়নি।
গত জানুয়ারিতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যারা ইয়াবা ব্যবসা করে লাখপতি হয়েছে এমন ১৪১ জনের নাম সংবলিত মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে দেয়। এ তালিকায় থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন,‘এই তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া হয়েছে।’
এই তালিকায় সংসদ সদস্য, তাদের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ছিল বলেও জানান এই কর্মকর্তা। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর তখন অভিযান চালানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তাদের জনবল সংকট ও লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রধানমন্ত্রী গত ৩ মে র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই বাহিনীকে মাদক প্রতিরোধে অভিযানের নির্দেশ দেয়। তবে অভিযানে এখনও কোন মোটাদাগের বা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়নি।
মাদক বাহক ও খুচরা বিক্রেতা গ্রেফতার হলেও গডফাদারদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের ডিজি গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা কাউকেই ছাড় দেবো না। সে যেই হোক। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান।’
টেকনাফে বিভিন্ন ব্যক্তি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘এই অভিযান কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয়, আবার কাউকে বাদ দিয়েও নয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে সামগ্রিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিভিন্ন সময় রাজনীতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দাদের তালিকায় নাম এসেছে। কখনও কখনও তারা গ্রেফতারও হয়েছেন। তবে এই অভিযানে এমন নির্দিষ্ট পেশাজীবীদের কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী রিয়াজুল, ৮ জানুয়ারি বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কনস্টেবল পার্থ চন্দ্র দে ও তানজিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বরিশাল নগরীর আল-সামস নামক আবাসিক হোটেল থেকে ইয়াবাসহ ভোলা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল রমজান আলীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। তাদের মামলাগুলো এখনও বিচারধীন।
গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন রূপালী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে পুলিশের এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে ৪৯ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। পরে আদালতে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও পুলিশের জড়িত থাকার তথ্য মিলে।
তবে এবারের অভিযানে এখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সদস্য গ্রেফতার হননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সদস্য যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত থাকে তাদের এখনই এসব অপকর্ম বন্ধ করার পরমর্শ দিয়ে র্যাবের ডিজি বলেন,‘যে বাহিনীরই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বাংলায় ‘ইয়াবাসহ পুলিশ আটক’ লিখে সার্চ দিলে ১৩ লাখ ৪০ হাজার তথ্য আসে। একইভাবে ‘ইয়াবাসহ র্যাব সদস্য আটক’ তল্লাশি করলে ২ লাখ ৯৬ হাজার তথ্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিংক আসে। এখানে একই ঘটনার তথ্য বিভিন্ন মিডিয়া ও ব্যক্তির ওয়েবসাইটে বহুবার প্রদর্শন করা হলেও মোটা দাগে এসব ঘটনার সংখ্যা কম নয়।
র্যাবের কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন,‘র্যাবের কেউ মাদক ব্যবসায় সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত নয়।’
একইভাবে গুগুলে সার্চ ইঞ্জিনে ‘ইয়াবাসহ সাংবাদিক আটক’ লিখলে ৪ লাখ ৪৫ হাজার লিংক আসে। তবে এবারের অভিযানে এখনও এই পেশার কেউ আটক হয়নি।
অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী বা বিশেষ পেশার কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সীমান্ত বাহিনী ও অধিদফতর অভিযান চালাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সময় এ নিয়ে কাজ করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, এই কথা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। সে যেই ব্যক্তিই হোক।’
গত জানুয়ারিতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর যারা ইয়াবা ব্যবসা করে লাখপতি হয়েছে এমন ১৪১ জনের নাম সংবলিত মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে দেয়। এ তালিকায় থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন,‘এই তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনে দেওয়া হয়েছে।’
এই তালিকায় সংসদ সদস্য, তাদের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ছিল বলেও জানান এই কর্মকর্তা। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর তখন অভিযান চালানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তাদের জনবল সংকট ও লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রধানমন্ত্রী গত ৩ মে র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই বাহিনীকে মাদক প্রতিরোধে অভিযানের নির্দেশ দেয়। তবে অভিযানে এখনও কোন মোটাদাগের বা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়নি।
মাদক বাহক ও খুচরা বিক্রেতা গ্রেফতার হলেও গডফাদারদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের ডিজি গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা কাউকেই ছাড় দেবো না। সে যেই হোক। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান।’
টেকনাফে বিভিন্ন ব্যক্তি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘এই অভিযান কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নয়, আবার কাউকে বাদ দিয়েও নয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে সামগ্রিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিভিন্ন সময় রাজনীতিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দাদের তালিকায় নাম এসেছে। কখনও কখনও তারা গ্রেফতারও হয়েছেন। তবে এই অভিযানে এমন নির্দিষ্ট পেশাজীবীদের কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী রিয়াজুল, ৮ জানুয়ারি বরিশাল রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কনস্টেবল পার্থ চন্দ্র দে ও তানজিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বরিশাল নগরীর আল-সামস নামক আবাসিক হোটেল থেকে ইয়াবাসহ ভোলা আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল রমজান আলীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। তাদের মামলাগুলো এখনও বিচারধীন।
গত ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন রূপালী আবাসিক এলাকার বাসা থেকে পুলিশের এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে ৪৯ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। পরে আদালতে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও পুলিশের জড়িত থাকার তথ্য মিলে।
তবে এবারের অভিযানে এখনও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সদস্য গ্রেফতার হননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সদস্য যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত থাকে তাদের এখনই এসব অপকর্ম বন্ধ করার পরমর্শ দিয়ে র্যাবের ডিজি বলেন,‘যে বাহিনীরই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বাংলায় ‘ইয়াবাসহ পুলিশ আটক’ লিখে সার্চ দিলে ১৩ লাখ ৪০ হাজার তথ্য আসে। একইভাবে ‘ইয়াবাসহ র্যাব সদস্য আটক’ তল্লাশি করলে ২ লাখ ৯৬ হাজার তথ্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের লিংক আসে। এখানে একই ঘটনার তথ্য বিভিন্ন মিডিয়া ও ব্যক্তির ওয়েবসাইটে বহুবার প্রদর্শন করা হলেও মোটা দাগে এসব ঘটনার সংখ্যা কম নয়।
র্যাবের কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন,‘র্যাবের কেউ মাদক ব্যবসায় সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত নয়।’
একইভাবে গুগুলে সার্চ ইঞ্জিনে ‘ইয়াবাসহ সাংবাদিক আটক’ লিখলে ৪ লাখ ৪৫ হাজার লিংক আসে। তবে এবারের অভিযানে এখনও এই পেশার কেউ আটক হয়নি।
অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী বা বিশেষ পেশার কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সীমান্ত বাহিনী ও অধিদফতর অভিযান চালাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সময় এ নিয়ে কাজ করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, এই কথা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। সে যেই ব্যক্তিই হোক।’
No comments