রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রিয়াঙ্কা
ইউনিসেফের
শুভেচ্ছা দূত হিসেবে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বলিউড
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। গতকাল বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে টেকনাফের বাহারছড়ার
শামলাপুর মনখালি ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান
সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। সেখানে শামলাপুর ডায়রিয়া ট্রিটম্যান্ট সেন্টার
পরিদর্শন করেন ও আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ৮ বছরের
রোহিঙ্গা শিশু রিফাত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন শিশুর পড়ালেখার খোঁজখবর নেন এবং
শিশুদের সাথে খেলাধুলায় মেতে উঠেন। এসময় কালো জিনসের প্যান্ট, সাদা
টি-শার্ট আর মাথায় স্কার্ফ পরা এই বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন ইউনিসেফ ও
স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রিফাত নামের এক শিশুকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমাদের এখানে আমাকে ঘোরাবে?’ মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় ওই রোহিঙ্গা শিশু। এরপর তার হাত ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাঁটেন এই বলিউড তারকা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এ সময় আরেকটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলায় ছেলেটিকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমার নাম কী?’ ছেলেটি বলে, মো. রফিক। ‘তুমি স্কুলে যাও?’ ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, যাই।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছেন, খবরটি আগে থেকেই রটে যায়। তাই অতিথিদের গাড়ি এসে থামতেই ভিড় করেন রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা মানুষজন। সঙ্গে আরও আসেন স্থানীয় অধিবাসীরা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। পুলিশ ধাক্কা দিয়ে আর লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে বাধা দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পুলিশকে অনুরোধ করেন, ‘প্লিজ, কাউকে এভাবে সরাবেন না। ধাক্কা দেবেন না।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালের ভেতরে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পানিবাহিত রোগের ব্যাপারেও জানতে চান। এ সময় তাঁকে জানানো হয়, এই অস্থায়ী শিবিরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বিকাল ৪টা ০৭ মিনিটে প্রিয়াঙ্কা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদায় নেন। যাওয়ার আগে হাত নেড়ে বাংলায় বললেন, ‘আবার আসব।’
এর আগে তিনি সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে ইউএস বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটে করে বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান এই বলিউড অভিনেত্রী। কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে তিনি ইনানীতে পৌঁছে পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপে অবস্থান করেন।
কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া চার দিন থাকবেন। প্রিয়াঙ্কার সফরসূচি থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে তিনি উখিয়ার বালুখালী ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এরপর বিকালে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি। বুধবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন এই বলিউড তারকা। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। ঢাকায় এসে ফেসবুক নিজের ভেরিফায়েড পেজে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে যাচ্ছি। আমার ইনস্টাগ্রামে সেখানকার সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমাকে সেখানে অনুসরণ করতে থাকুন। এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের ভাবা উচিত। ভাবতে হবে আমাদেরও। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ১৯শে মে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আমন্ত্রণে প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ঢাকায় এসেছেন। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র আফরাজুল হক টুটুল জানান, তিনি জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ৪ দিনের বাংলাদেশে এসেছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রিফাত নামের এক শিশুকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমাদের এখানে আমাকে ঘোরাবে?’ মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় ওই রোহিঙ্গা শিশু। এরপর তার হাত ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাঁটেন এই বলিউড তারকা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এ সময় আরেকটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলায় ছেলেটিকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমার নাম কী?’ ছেলেটি বলে, মো. রফিক। ‘তুমি স্কুলে যাও?’ ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, যাই।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আসছেন, খবরটি আগে থেকেই রটে যায়। তাই অতিথিদের গাড়ি এসে থামতেই ভিড় করেন রোহিঙ্গা শিবিরে থাকা মানুষজন। সঙ্গে আরও আসেন স্থানীয় অধিবাসীরা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। পুলিশ ধাক্কা দিয়ে আর লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে বাধা দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পুলিশকে অনুরোধ করেন, ‘প্লিজ, কাউকে এভাবে সরাবেন না। ধাক্কা দেবেন না।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালের ভেতরে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পানিবাহিত রোগের ব্যাপারেও জানতে চান। এ সময় তাঁকে জানানো হয়, এই অস্থায়ী শিবিরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বিকাল ৪টা ০৭ মিনিটে প্রিয়াঙ্কা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদায় নেন। যাওয়ার আগে হাত নেড়ে বাংলায় বললেন, ‘আবার আসব।’
এর আগে তিনি সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে ইউএস বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটে করে বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান এই বলিউড অভিনেত্রী। কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে তিনি ইনানীতে পৌঁছে পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপে অবস্থান করেন।
কক্সবাজারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া চার দিন থাকবেন। প্রিয়াঙ্কার সফরসূচি থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে তিনি উখিয়ার বালুখালী ও জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এরপর বিকালে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি। বুধবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন এই বলিউড তারকা। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। ঢাকায় এসে ফেসবুক নিজের ভেরিফায়েড পেজে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ক্যাম্পে যাচ্ছি। আমার ইনস্টাগ্রামে সেখানকার সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আমাকে সেখানে অনুসরণ করতে থাকুন। এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের ভাবা উচিত। ভাবতে হবে আমাদেরও। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ১৯শে মে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আমন্ত্রণে প্রিন্স হ্যারি আর মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ঢাকায় এসেছেন। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র আফরাজুল হক টুটুল জানান, তিনি জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ৪ দিনের বাংলাদেশে এসেছেন।
No comments