নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়ে মাটিধসে নিহত ৩: সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার নূরুল
নাইক্ষ্যংছড়ির
ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামে মাটি চাপা পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম
হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা হলো- মনজয় পাড়ার
মোহাম্মদ সুলতানের ছেলে আবু আহমেদ (২৮), শাহ আলমের ছেলে মো. জয়নাল আবেদিন
(২৫), ও সোনা মেহের (৩৩)। নিহত শ্রমিকদের সবার বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ির বড়ইতলী
গ্রামে। মাটি চাপা পড়া নিহত শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন,
বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। পাহাড় কাটার মূলহোতা সুপায়ন বড়ুয়া ঘটনার পর থেকে
গাঢাকা দিয়েছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ভালুক্ক্যা
এলাকায়।
গত বছর তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, বান্দরবান জেলায় ২০১২ সালে পাহাড় ধসে মারা গেছে ৩৭ জন। ২০১৫ সালে ৯ জন। গত বছর ২০১৭ সালের জুন ও জুলাই মাসে একই পরিবারের তিন শিশুসহ ৭ জন। ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত পাহাড় ধসে মারা গেছে ৫৩ জন। জেলায় বর্তমানে কত পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তার হিসাব জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। এই ব্যাপারে কোনো জরিপও হয়নি। তবে বেসরকারিভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা সোপায়েন বড়ুয়ার মৎস্য প্রজেক্টে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলের জন্য গত কয়েকদিন ধরে কাজ করছিল ৭-৮ জন শ্রমিক। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালেও তারা শ্রমিকের কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে পানি যাওয়ার সুড়ঙ্গের উপর অংশ থেকে মাটি ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই ৫ জন শ্রমিক চাপা পড়েন। পরে এক ঘণ্টা পর নূর মোহাম্মদ নামে এক শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। এরপর অন্যান্য শ্রমিক বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু অলৌকিকভাবে ঘটনার সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬.৩০টার দিকে নুরুল হাকিমকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টায় অন্য তিনজন শ্রমিক মো. আবু, সোনা মেহের ও জয়নাল আবেদীন এর লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মনজয় পাড়ার ৯নং ওয়র্াডের বড়ইতলী গ্রামে পাহাড় কেটে ড্রেন তৈরি সময় মাটি চাপা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়িতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, বান্দরবান পার্র্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের তালিকা এখনো সম্পূর্ণভাবে হাতে এসে পৌঁছায়নি। শিগগিরই চলে আসবে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে লোকজনদের সব সময় সতর্ক করে দেওয়া হয়। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়।
গত বছর তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, বান্দরবান জেলায় ২০১২ সালে পাহাড় ধসে মারা গেছে ৩৭ জন। ২০১৫ সালে ৯ জন। গত বছর ২০১৭ সালের জুন ও জুলাই মাসে একই পরিবারের তিন শিশুসহ ৭ জন। ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত পাহাড় ধসে মারা গেছে ৫৩ জন। জেলায় বর্তমানে কত পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তার হিসাব জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। এই ব্যাপারে কোনো জরিপও হয়নি। তবে বেসরকারিভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা সোপায়েন বড়ুয়ার মৎস্য প্রজেক্টে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলের জন্য গত কয়েকদিন ধরে কাজ করছিল ৭-৮ জন শ্রমিক। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালেও তারা শ্রমিকের কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে পানি যাওয়ার সুড়ঙ্গের উপর অংশ থেকে মাটি ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই ৫ জন শ্রমিক চাপা পড়েন। পরে এক ঘণ্টা পর নূর মোহাম্মদ নামে এক শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। এরপর অন্যান্য শ্রমিক বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু অলৌকিকভাবে ঘটনার সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬.৩০টার দিকে নুরুল হাকিমকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টায় অন্য তিনজন শ্রমিক মো. আবু, সোনা মেহের ও জয়নাল আবেদীন এর লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মনজয় পাড়ার ৯নং ওয়র্াডের বড়ইতলী গ্রামে পাহাড় কেটে ড্রেন তৈরি সময় মাটি চাপা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়িতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, বান্দরবান পার্র্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের তালিকা এখনো সম্পূর্ণভাবে হাতে এসে পৌঁছায়নি। শিগগিরই চলে আসবে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে লোকজনদের সব সময় সতর্ক করে দেওয়া হয়। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়।
No comments