রাজধানীতে ছিনতাই বৃদ্ধি
কিছুদিন ধরে ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। গত সোমবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর পুলিশের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্য একুশের বইমেলা, বাণিজ্য মেলা ও এসএ গেমসের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের পরিমাণ বেড়েছে। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।
নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার পেছনে যে কারণই দেখানো হোক না কেন, তা দিয়ে এর ন্যায্যতা প্রতিপাদন করা যায় না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়ার বা গাফিলতির সুযোগ নেই।
ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের মহানগর পুলিশি ব্যবস্থার অন্তর্নিহিত দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। বইমেলা, বাণিজ্য মেলা বা এসএ গেমসের কারণে ছিনতাই বেড়ে যাবে, এ ধরনের অজুহাত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এ ধরনের নানা অনুষ্ঠান রাজধানীতে বিভিন্ন সময়ে চলবে, এটাই স্বাভাবিক এবং এ ধরনের কাজে পুলিশকে অংশ নিতে হবে—এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই মহানগরের পুলিশি ব্যবস্থার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এমন নানা আয়োজনের সঙ্গে নিয়মিত কাজের সমন্বয় বিধান করে প্রতিনিয়ত চলতে হবে পুলিশি ব্যবস্থাকে। একদিক সামাল দিতে গিয়ে আরেক দিক ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় ও সব পরিস্থিতিতেই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ না থাকলে এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের নিতে হবে।
ছিনতাই, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই প্রধান ভরসাস্থল। তা ছাড়া রাজধানীতে কারা নানা রকম দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে জড়িত, তা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অজানা নয়। ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত পুলিশকে সক্রিয় ও ত্বরিত ভূমিকায় থাকা প্রয়োজন। তারা কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা জারি রাখতে সমর্থ হলে এসব অপরাধ বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। মানুষজন যেন রাস্তাঘাটে, বিপণিবিতান, ব্যাংকে বা অন্যান্য স্থানে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে, তার ন্যূনতম নিশ্চয়তা বিধান করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব।
নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার পেছনে যে কারণই দেখানো হোক না কেন, তা দিয়ে এর ন্যায্যতা প্রতিপাদন করা যায় না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়ার বা গাফিলতির সুযোগ নেই।
ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের মহানগর পুলিশি ব্যবস্থার অন্তর্নিহিত দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। বইমেলা, বাণিজ্য মেলা বা এসএ গেমসের কারণে ছিনতাই বেড়ে যাবে, এ ধরনের অজুহাত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এ ধরনের নানা অনুষ্ঠান রাজধানীতে বিভিন্ন সময়ে চলবে, এটাই স্বাভাবিক এবং এ ধরনের কাজে পুলিশকে অংশ নিতে হবে—এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই মহানগরের পুলিশি ব্যবস্থার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এমন নানা আয়োজনের সঙ্গে নিয়মিত কাজের সমন্বয় বিধান করে প্রতিনিয়ত চলতে হবে পুলিশি ব্যবস্থাকে। একদিক সামাল দিতে গিয়ে আরেক দিক ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় ও সব পরিস্থিতিতেই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ না থাকলে এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের নিতে হবে।
ছিনতাই, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই প্রধান ভরসাস্থল। তা ছাড়া রাজধানীতে কারা নানা রকম দুর্বৃত্তপনার সঙ্গে জড়িত, তা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অজানা নয়। ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত পুলিশকে সক্রিয় ও ত্বরিত ভূমিকায় থাকা প্রয়োজন। তারা কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা জারি রাখতে সমর্থ হলে এসব অপরাধ বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। মানুষজন যেন রাস্তাঘাটে, বিপণিবিতান, ব্যাংকে বা অন্যান্য স্থানে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে, তার ন্যূনতম নিশ্চয়তা বিধান করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব।
No comments