হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারকেরা এফএওর সহায়তা চেয়েছেন
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার দেশের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে দেশের হিমায়িত খাদ্যের নিরাপত্তা ও গুণগত মান বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ কাজে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে প্রতিনিধিদলটি।
রাজধানীতে বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফএফইএ) কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এফএওর প্রধান কার্যালয়ের খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি ও ভোক্তা সুরক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিন মিশেল। এ সময় বিএফএফইএর সহসভাপতি এম মাকসুদুর রহমান, পরিচালক মাহমুদুল হাসান ও খলিলউল্লাহ, সমিতির সদস্য সালাউদ্দিন, আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সভায় বিএফএফইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, হিমায়িত খাদ্য দেশের রপ্তানি আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। তাই রপ্তানি বাড়ানোর স্বার্থে চিংড়িচাষি, হ্যাচারি ও খাদ্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে সহায়তা চাওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রতি হেক্টরে বর্তমান ২০০ কেজি চিংড়ি উত্পাদন হয়, তা কীভাবে ৭৫০ কেজিতে উন্নীত করা যায়, এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা এবং চিংড়ি চাষে বহুমুখীকরণে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
বিএফএফইএর নিজস্ব মালিকানায় একটি বেসরকারি খাতে চিংড়ির গুণগত মান পরীক্ষার একটির পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠার জন্যও সহায়তা চাওয়া হয়। এ ছাড়া বিশ্ববাজারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের পণ্য বহুমুখীকরণে প্রশিক্ষণে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলটি জানায়, চিংড়ির মান নিয়ন্ত্রণে সরকারের মত্স্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আর তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সহায়তা বিষয়টি ঠিক করা হবে।
অন্যদিকে ইউরোপের বাজারে ছয় মাস গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ থাকার পর গত জানুয়ারি থেকে আবার রপ্তানি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ কোটি টাকার গলদা চিংড়ি রপ্তানি করা হয়েছে বলে রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন।
রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, ছয় মাস ধরে ইউরোপের বাজারে এবং প্রায় নয় মাস ধরে রাশিয়ায় বাজারে গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার দাম ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ায় চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি করা হয়।
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত) ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে একই সময়ের রপ্তানি ২৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারের তুলনায় ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
বিএফএফইএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের রপ্তানীকৃত হিমায়িত খাদ্যের মধ্যে ৯০ শতাংশ চিংড়ি ও ১০ শতাংশ সাধারণ মাছ। আর রপ্তানীকৃত চিংড়ির মধ্যে ৭৫ শতাংশ বাগদা ও ২৫ শতাংশ গলদা।
রাজধানীতে বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফএফইএ) কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এফএওর প্রধান কার্যালয়ের খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি ও ভোক্তা সুরক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিন মিশেল। এ সময় বিএফএফইএর সহসভাপতি এম মাকসুদুর রহমান, পরিচালক মাহমুদুল হাসান ও খলিলউল্লাহ, সমিতির সদস্য সালাউদ্দিন, আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সভায় বিএফএফইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, হিমায়িত খাদ্য দেশের রপ্তানি আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। তাই রপ্তানি বাড়ানোর স্বার্থে চিংড়িচাষি, হ্যাচারি ও খাদ্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে সহায়তা চাওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রতি হেক্টরে বর্তমান ২০০ কেজি চিংড়ি উত্পাদন হয়, তা কীভাবে ৭৫০ কেজিতে উন্নীত করা যায়, এ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা এবং চিংড়ি চাষে বহুমুখীকরণে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
বিএফএফইএর নিজস্ব মালিকানায় একটি বেসরকারি খাতে চিংড়ির গুণগত মান পরীক্ষার একটির পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠার জন্যও সহায়তা চাওয়া হয়। এ ছাড়া বিশ্ববাজারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের পণ্য বহুমুখীকরণে প্রশিক্ষণে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলটি জানায়, চিংড়ির মান নিয়ন্ত্রণে সরকারের মত্স্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আর তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সহায়তা বিষয়টি ঠিক করা হবে।
অন্যদিকে ইউরোপের বাজারে ছয় মাস গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ থাকার পর গত জানুয়ারি থেকে আবার রপ্তানি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ কোটি টাকার গলদা চিংড়ি রপ্তানি করা হয়েছে বলে রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন।
রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, ছয় মাস ধরে ইউরোপের বাজারে এবং প্রায় নয় মাস ধরে রাশিয়ায় বাজারে গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার দাম ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ায় চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরে হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি করা হয়।
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত) ১৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে একই সময়ের রপ্তানি ২৪ কোটি ২৪ লাখ ডলারের তুলনায় ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
বিএফএফইএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের রপ্তানীকৃত হিমায়িত খাদ্যের মধ্যে ৯০ শতাংশ চিংড়ি ও ১০ শতাংশ সাধারণ মাছ। আর রপ্তানীকৃত চিংড়ির মধ্যে ৭৫ শতাংশ বাগদা ও ২৫ শতাংশ গলদা।
No comments