ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছে ইরান
ইরানের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহি গতকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছে তেহরান। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা এ কথা জানায়। এদিকে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয় চীনের পক্ষ থেকে।
আলী আকবর সালেহি বলেন, ‘নাতাঞ্জের পরমাণু স্থাপনায় একটি পৃথক আধারে আজ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছি আমরা।’ তিনি বলেন, ‘এ উদ্দেশ্যে আমরা ১৬৪ সেন্ট্রিফিউজের একটি আধার তৈরি করেছি, যেখানে তেহরান পরমাণু চুল্লির জন্য প্রতি মাসে তিন থেকে পাঁচ কেজি ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম উত্পাদন করতে পারবে।’
সালেহি আরও বলেন, পরমাণু চুল্লির জন্য তাঁদের যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন, এটা তার দ্বিগুণ। তেহরান চুল্লির জন্য প্রয়োজন ১.৫ কেজি ইউরেনিয়াম।
ইরানের সরকারি টেলিভিশন আল-আলমে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের উপস্থিতিতে ওই সমৃদ্ধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এর আগে মধ্যাঞ্চলীয় শহর নাতাঞ্জের পরমাণু স্থাপনায় স্বল্পমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে তেহরান।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধ অবসানে একটি পরমাণু জ্বালানি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মা জাওক্সু বলেন, তিনি আশা করছেন, তেহরানে গবেষণা চুল্লি-সংক্রান্ত একটি খসড়া চুক্তির ব্যাপারে মতবিনিময় করবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। তারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবস্থানে পৌঁছাতে পারবে, যা ওই ইস্যুর সমাধানে সহায়তা করবে।
মা জাওক্সু আরও বলেন, তিনি আশা করছেন যে ওই প্রশ্নে সংলাপ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তাদের চেষ্টা আরও জোরদার করবে।
অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের উপপ্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোম ইসরায়েলি বেতারকে বলেন, সামনের মাসগুলো হবে নিষ্পত্তিকারক। সময় এসেছে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপ করার।
শালোম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কি ইরানের তথাকথিত সহযোগিতার বিভ্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখবে, নাকি ইরান ও তার পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে প্রকৃত অবরোধ আরোপ করবে।
আলী আকবর সালেহি বলেন, ‘নাতাঞ্জের পরমাণু স্থাপনায় একটি পৃথক আধারে আজ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছি আমরা।’ তিনি বলেন, ‘এ উদ্দেশ্যে আমরা ১৬৪ সেন্ট্রিফিউজের একটি আধার তৈরি করেছি, যেখানে তেহরান পরমাণু চুল্লির জন্য প্রতি মাসে তিন থেকে পাঁচ কেজি ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম উত্পাদন করতে পারবে।’
সালেহি আরও বলেন, পরমাণু চুল্লির জন্য তাঁদের যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন, এটা তার দ্বিগুণ। তেহরান চুল্লির জন্য প্রয়োজন ১.৫ কেজি ইউরেনিয়াম।
ইরানের সরকারি টেলিভিশন আল-আলমে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের উপস্থিতিতে ওই সমৃদ্ধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এর আগে মধ্যাঞ্চলীয় শহর নাতাঞ্জের পরমাণু স্থাপনায় স্বল্পমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে তেহরান।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধ অবসানে একটি পরমাণু জ্বালানি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মা জাওক্সু বলেন, তিনি আশা করছেন, তেহরানে গবেষণা চুল্লি-সংক্রান্ত একটি খসড়া চুক্তির ব্যাপারে মতবিনিময় করবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। তারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবস্থানে পৌঁছাতে পারবে, যা ওই ইস্যুর সমাধানে সহায়তা করবে।
মা জাওক্সু আরও বলেন, তিনি আশা করছেন যে ওই প্রশ্নে সংলাপ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তাদের চেষ্টা আরও জোরদার করবে।
অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের উপপ্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোম ইসরায়েলি বেতারকে বলেন, সামনের মাসগুলো হবে নিষ্পত্তিকারক। সময় এসেছে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপ করার।
শালোম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কি ইরানের তথাকথিত সহযোগিতার বিভ্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখবে, নাকি ইরান ও তার পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে প্রকৃত অবরোধ আরোপ করবে।
No comments