কোরীয় উপদ্বীপ থেকে পরমাণু অস্ত্র অপসারণের প্রতিশ্রুতি কিমের
কোরীয় উপদ্বীপ থেকে পরমাণু অস্ত্র অপসারণ করার ব্যাপারে আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং ইল। গতকাল মঙ্গলবার কিমকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। এ ছাড়া কিম তাঁর শীর্ষ পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক দূতকে গতকাল বেইজিং পাঠিয়েছেন।
কিম আগেও এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ভেঙেছেন উল্লেখ করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছর পরমাণু বোমা পরীক্ষা চালানোর পর জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরীয় মুদ্রার মান পুনর্নির্ধারণ করায় সেখানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভবত সুর নরম করছে পিয়ংইয়ং।
সিনহুয়া বলেছে, গত সোমবার ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তা ওয়াং জিয়ারুইয়ের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরীয় নেতা কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখার ব্যাপারে তাঁর দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ সময় চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের লেখা একটি চিঠি কিমকে পৌঁছে দেন জিয়ারুই। চিঠিতে হু জিনতাও বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। কিমকে চীন সফরেরও আমন্ত্রণ জানান হু।
এদিকে গতকাল বেইজিং পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক শীর্ষ আলোচক কিম কায়ে গোয়ান। বিশ্লেষকদের ধারণা, পরমাণুসংকট নিয়ে ছয় জাতি আলোচনায় ফেরার একটি ইঙ্গিত হিসেবেই কিমের দূত চীনে গেছেন। গত বছরের এপ্রিলে আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে পিয়ংইয়ং। চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ওই আলোচনা চলছিল উত্তর কোরিয়ার। এ ছাড়া ছয় জাতি আলোচনায় ফেরার বিষয়ে কথা বলতে গতকাল পিয়ংইয়ং যাওয়ার কথা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা লিন প্যাসকোর।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা সেজং ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো চিওং সিওং চ্যাং বলেন, কিম কায়ে গোয়ানের বেইজিং সফর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করার বিষয়ে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া এর আগেও কয়েকবার বলেছে, তারা পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতি ‘শত্রুভাবাপন্ন’ মনোভাব পরিবর্তন করে।
কিম আগেও এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ভেঙেছেন উল্লেখ করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছর পরমাণু বোমা পরীক্ষা চালানোর পর জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ বেড়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরীয় মুদ্রার মান পুনর্নির্ধারণ করায় সেখানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভবত সুর নরম করছে পিয়ংইয়ং।
সিনহুয়া বলেছে, গত সোমবার ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তা ওয়াং জিয়ারুইয়ের সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরীয় নেতা কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখার ব্যাপারে তাঁর দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ সময় চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের লেখা একটি চিঠি কিমকে পৌঁছে দেন জিয়ারুই। চিঠিতে হু জিনতাও বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। কিমকে চীন সফরেরও আমন্ত্রণ জানান হু।
এদিকে গতকাল বেইজিং পৌঁছেছেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক শীর্ষ আলোচক কিম কায়ে গোয়ান। বিশ্লেষকদের ধারণা, পরমাণুসংকট নিয়ে ছয় জাতি আলোচনায় ফেরার একটি ইঙ্গিত হিসেবেই কিমের দূত চীনে গেছেন। গত বছরের এপ্রিলে আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে পিয়ংইয়ং। চীন, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ওই আলোচনা চলছিল উত্তর কোরিয়ার। এ ছাড়া ছয় জাতি আলোচনায় ফেরার বিষয়ে কথা বলতে গতকাল পিয়ংইয়ং যাওয়ার কথা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা লিন প্যাসকোর।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা সেজং ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো চিওং সিওং চ্যাং বলেন, কিম কায়ে গোয়ানের বেইজিং সফর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করার বিষয়ে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া এর আগেও কয়েকবার বলেছে, তারা পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতি ‘শত্রুভাবাপন্ন’ মনোভাব পরিবর্তন করে।
No comments