ভারতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ প্রস্তাব নাকচ by হানিফ মাহমুদ
দুই বছর আগে ভারত বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সে দেশে বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তারপরও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দেওয়া বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
বেসরকারি কোম্পানি সাউদার্ন সিএনজি অটোমোবাইলস লিমিটেড এক বছর ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি সিএনজি রূপান্তর কারখানা এবং একটি এলপিজি স্টেশন করার জন্য ভারত সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে। কিন্তু সে দেশের ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফআইপিবি) বারবার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাউদার্ন অটোমোবাইলসের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, তাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রকল্পটি লাভজনক নয়। ফলে এই প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া যাবে না। হিন্দু গ্রুপের বিজনেস লাইন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কলকাতায় এ ধরনের প্রকল্পের বড় ধরনের বাজার আছে এবং বাংলাদেশের কোম্পানিটির ভালো করার সুযোগ আছে। গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের হাইকোর্টের এক রায়ে ১৫ বছরের বেশি বয়সের ডিজেল ও পেট্রলচালিত সব বাস ও ট্যাক্সি কলকাতার রাস্তা থেকে উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে এসব যানবাহনের ইঞ্জিনগুলোকে সিএনজিতে রূপান্তর করা হলে তা আবার চলাচলের উপযোগী বলে গণ্য হবে। সিএনজিতে রূপান্তরের এই বাজার ধরার জন্যই সাউদার্ন অটোমোবাইলস বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে গত এক বছরে। কিন্তু বারবারই তা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাউদার্ন অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোরঞ্জন ভক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো হাল ছাড়িনি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মনোরঞ্জন ভক্ত আরও বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি কোম্পানির এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। এই খাতে ইতিমধ্যে আমাদের সক্ষমতা গড়ে উঠেছে। ফলে একবার প্রবেশ করতে পারলে তা বাংলাদেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনবে। পশ্চিমবঙ্গও তার দ্বারা উপকৃত হবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে সে দেশে আইনগত নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০০৭ সালে ভারত সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইনের সংশোধন করে। এতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
২০০৭ সালের অক্টোবরে এফআইপিবি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে শর্ত থাকে যে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পূর্বানুমতি নিতে হবে। ভারতের এই পদক্ষেপের পর বাংলাদেশের বেশ কিছু উদ্যোক্তা সে দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী হয়।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়সংক্রান্ত আইন অনুসারে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মূলধন স্থানান্তর করা যায় না। তবে ব্যতিক্রম দু-একটি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ধরনের অনুমতি দিতে পারে। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ এখতিয়ার আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
বেসরকারি কোম্পানি সাউদার্ন সিএনজি অটোমোবাইলস লিমিটেড এক বছর ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি সিএনজি রূপান্তর কারখানা এবং একটি এলপিজি স্টেশন করার জন্য ভারত সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে। কিন্তু সে দেশের ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফআইপিবি) বারবার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাউদার্ন অটোমোবাইলসের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, তাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ প্রকল্পটি লাভজনক নয়। ফলে এই প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া যাবে না। হিন্দু গ্রুপের বিজনেস লাইন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কলকাতায় এ ধরনের প্রকল্পের বড় ধরনের বাজার আছে এবং বাংলাদেশের কোম্পানিটির ভালো করার সুযোগ আছে। গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের হাইকোর্টের এক রায়ে ১৫ বছরের বেশি বয়সের ডিজেল ও পেট্রলচালিত সব বাস ও ট্যাক্সি কলকাতার রাস্তা থেকে উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে এসব যানবাহনের ইঞ্জিনগুলোকে সিএনজিতে রূপান্তর করা হলে তা আবার চলাচলের উপযোগী বলে গণ্য হবে। সিএনজিতে রূপান্তরের এই বাজার ধরার জন্যই সাউদার্ন অটোমোবাইলস বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে গত এক বছরে। কিন্তু বারবারই তা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাউদার্ন অটোমোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোরঞ্জন ভক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো হাল ছাড়িনি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মনোরঞ্জন ভক্ত আরও বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি কোম্পানির এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। এই খাতে ইতিমধ্যে আমাদের সক্ষমতা গড়ে উঠেছে। ফলে একবার প্রবেশ করতে পারলে তা বাংলাদেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনবে। পশ্চিমবঙ্গও তার দ্বারা উপকৃত হবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে সে দেশে আইনগত নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০০৭ সালে ভারত সরকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইনের সংশোধন করে। এতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
২০০৭ সালের অক্টোবরে এফআইপিবি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে শর্ত থাকে যে বিনিয়োগ প্রস্তাবের পূর্বানুমতি নিতে হবে। ভারতের এই পদক্ষেপের পর বাংলাদেশের বেশ কিছু উদ্যোক্তা সে দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী হয়।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়সংক্রান্ত আইন অনুসারে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মূলধন স্থানান্তর করা যায় না। তবে ব্যতিক্রম দু-একটি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ধরনের অনুমতি দিতে পারে। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ এখতিয়ার আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
No comments