একাধিক সম্পর্কের আলামত হ্যাপির -ফরেনসিক রিপোর্ট
ক্রিকেটার
রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী চিত্রনায়িকা হ্যাপির
ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাতে জোর করে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া
যায়নি। বরং পরীক্ষায় হ্যাপির একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া
গেছে। তবে এগুলো অনেক পুরনো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হ্যাপিকে বলা হয়েছে
‘মাল্টিগামি’। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিক কতজনের সঙ্গে সে মিলিত হয়েছে তা
নির্ণয় করা যায়নি। ফরেনসিক সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তির সংখ্যা নির্ণয় করা আদৌ
সম্ভব নয়। গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ
থেকে হ্যাপির মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার তদন্ত
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার হাতে তুলে দেয়া হয়। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য
জানা গেছে।
গত ১৩ই ডিসেম্বর জাতীয় দলের পেসার রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর থানায় মামলা করেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। ওই দিন পুলিশ হ্যাপিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। পরদিন মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হ্যাপিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে হ্যাপিকে তার বাবা-মায়ের হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। হ্যাপির মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। পরীক্ষা শেষে গতকাল তারা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাখাওয়াত বলেন, ফরেনসিক রিপোর্টটা এসেছে। তবে তাতে কি লেখা রয়েছে তা এখনও দেখিনি।
ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক সূত্র জানায়, তারা হ্যাপির ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত পাননি। তবে হ্যাপি যে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় যে সব উপাদান পাওয়া গেছে এগুলো অনেক পুরনো। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন সেই বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। এদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী ফরেনসিক রিপোর্টটি আদালতে উত্থাপন করা হবে। রিপোর্টে যা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, ফরেনসিক রিপোর্টে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে ‘নো সাইন অব রিসেন্ট ফোর্সফুল সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স’ অর্থাৎ জোর করে ধর্ষণের কোন সাম্প্রতিক আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে গতকাল রাতে চিত্রনায়িকা হ্যাপি এই প্রতিবেদককে জানান, পুলিশ তাকে ‘রিপোর্ট পজিটিভ’ বলে জানিয়েছে। তারা রিপোর্টটি আদালতে জমা দেবেন। হ্যাপির দাবি, তিনি ১৩ই ডিসেম্বর থানায় মামলা করেছেন। এর আগে পয়লা ডিসেম্বর রুবেলের সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছিলেন। এ কারণে রুবেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি প্রমাণ না-ও হতে পারে। তবে রুবেলের সঙ্গে তার যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন। তবে শোবিজ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, হ্যাপি আসলে একজন সি-গ্রেডের নায়িকা কাম মডেল ও অভিনেত্রী। এই ঘটনার আগে মিডিয়াতে হ্যাপিকে কেউ চিনতো না। এছাড়া চলচ্চিত্রে অভিনয় ও নাটক-বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের সময় তার সম্পর্কে নানারকম স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। রুবেল ঘনিষ্ঠরা জানান, হ্যাপি আসলে নিজেই রূপের ফাঁদ পেতে রুবেলকে বশে নিয়েছিল। ব্ল্যাকমেইল করে রুবেলকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে হ্যাপি দুই-তিন মাস আগে থেকেই রুবেলের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড করা শুরু করে। হ্যাপির প্রকাশ করা একটি রেকর্ডের কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, রুবেল সে সময় খুলনায় জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন। সেটা নভেম্বরের প্রথম দিকের কথা। এছাড়া অন্য ফোনালাপও আরও আগে রেকর্ড করে রেখেছিলেন হ্যাপি। এতেই তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়।
এদিকে হ্যাপির আইনজীবী সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের দু’দিনের মাথায় রুবেল উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে চার সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আগামী ১৩ অথবা ১৪ই জানুয়ারি তাকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে হবে। সেদিনের শুনানির জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রুবেল যে হ্যাপির সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণা করেছেন তা প্রমাণের জন্য সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। শুনানির দিন সেগুলো আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গত ১৩ই ডিসেম্বর জাতীয় দলের পেসার রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর থানায় মামলা করেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। ওই দিন পুলিশ হ্যাপিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। পরদিন মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হ্যাপিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে হ্যাপিকে তার বাবা-মায়ের হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। হ্যাপির মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। পরীক্ষা শেষে গতকাল তারা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাখাওয়াত বলেন, ফরেনসিক রিপোর্টটা এসেছে। তবে তাতে কি লেখা রয়েছে তা এখনও দেখিনি।
ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক সূত্র জানায়, তারা হ্যাপির ফরেনসিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত পাননি। তবে হ্যাপি যে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় যে সব উপাদান পাওয়া গেছে এগুলো অনেক পুরনো। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন সেই বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। এদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী ফরেনসিক রিপোর্টটি আদালতে উত্থাপন করা হবে। রিপোর্টে যা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, ফরেনসিক রিপোর্টে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে ‘নো সাইন অব রিসেন্ট ফোর্সফুল সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স’ অর্থাৎ জোর করে ধর্ষণের কোন সাম্প্রতিক আলামত পাওয়া যায়নি।
এদিকে গতকাল রাতে চিত্রনায়িকা হ্যাপি এই প্রতিবেদককে জানান, পুলিশ তাকে ‘রিপোর্ট পজিটিভ’ বলে জানিয়েছে। তারা রিপোর্টটি আদালতে জমা দেবেন। হ্যাপির দাবি, তিনি ১৩ই ডিসেম্বর থানায় মামলা করেছেন। এর আগে পয়লা ডিসেম্বর রুবেলের সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছিলেন। এ কারণে রুবেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি প্রমাণ না-ও হতে পারে। তবে রুবেলের সঙ্গে তার যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন। তবে শোবিজ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, হ্যাপি আসলে একজন সি-গ্রেডের নায়িকা কাম মডেল ও অভিনেত্রী। এই ঘটনার আগে মিডিয়াতে হ্যাপিকে কেউ চিনতো না। এছাড়া চলচ্চিত্রে অভিনয় ও নাটক-বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের সময় তার সম্পর্কে নানারকম স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। রুবেল ঘনিষ্ঠরা জানান, হ্যাপি আসলে নিজেই রূপের ফাঁদ পেতে রুবেলকে বশে নিয়েছিল। ব্ল্যাকমেইল করে রুবেলকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এ কারণেই পরিকল্পিতভাবে হ্যাপি দুই-তিন মাস আগে থেকেই রুবেলের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড করা শুরু করে। হ্যাপির প্রকাশ করা একটি রেকর্ডের কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, রুবেল সে সময় খুলনায় জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন। সেটা নভেম্বরের প্রথম দিকের কথা। এছাড়া অন্য ফোনালাপও আরও আগে রেকর্ড করে রেখেছিলেন হ্যাপি। এতেই তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়।
এদিকে হ্যাপির আইনজীবী সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের দু’দিনের মাথায় রুবেল উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে চার সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আগামী ১৩ অথবা ১৪ই জানুয়ারি তাকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে হবে। সেদিনের শুনানির জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রুবেল যে হ্যাপির সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণা করেছেন তা প্রমাণের জন্য সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। শুনানির দিন সেগুলো আদালতে সোপর্দ করা হবে।
No comments