দেশরক্ষায় সেনাবাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে -প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি আয়োজিত লংকোর্স ও রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ রক্ষায় সেনাকর্মকর্তাদের সজাগ
থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়
সেনা সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে জনগণের সেবা করতে
হবে। কখনওই পিছপা হওয়া যাবে না। তিনি গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ৭১তম বিএমএ
লংকোর্স এবং ৪২তম বিশেষ কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের ভাষণে এসব
কথা বলেন। এই সময় অন্যান্যের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম
ভূঁইয়া ও বিএমএ কমান্ড্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিবর্গ, উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবর্গ, কূটনীতিক ও উচ্চপদস্থ
বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই অংশ নেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে ও বিদেশে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে
তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য সকল মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম
হয়েছে। বিশ্বের যেকোন এলাকার জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তি ও
সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে জানে। তারা সব সময় দেশের যে কোন প্রাকৃতিক
দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, সড়ক, ফ্লাইওভার এবং অবকাঠামো নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ট্রাফিক জ্যাম নিরসন, হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়ন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিতে দক্ষতা ও সফলতা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও শান্তিপূর্র্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমাদের দেশ এখন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়ে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালের মেয়াদকালে তার সরকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সশস্ত্র বাহিনী মেডিক্যাল কলেজ, বাংলাদেশ পিস সাপোর্ট অপারেশনের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, এনসিও একাডেমি, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও ট্রাস্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি এরিয়া সদর দপ্তরসহ ৬টি নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া রামুতে একটি নতুন ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরনের একটি ডিভিশন গঠন করা হবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন ট্যাংক, এপিসি, মাল্টি-ব্যারেল রকেট লাঞ্চারসহ বহু অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সংযোজন করার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, সড়ক, ফ্লাইওভার এবং অবকাঠামো নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ট্রাফিক জ্যাম নিরসন, হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়ন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিতে দক্ষতা ও সফলতা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও শান্তিপূর্র্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমাদের দেশ এখন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়ে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালের মেয়াদকালে তার সরকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সশস্ত্র বাহিনী মেডিক্যাল কলেজ, বাংলাদেশ পিস সাপোর্ট অপারেশনের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, এনসিও একাডেমি, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও ট্রাস্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি এরিয়া সদর দপ্তরসহ ৬টি নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া রামুতে একটি নতুন ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরনের একটি ডিভিশন গঠন করা হবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন ট্যাংক, এপিসি, মাল্টি-ব্যারেল রকেট লাঞ্চারসহ বহু অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সংযোজন করার কথা জানান।
No comments