তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নয়
খেলাপি ঋণে ভারাক্রান্ত ও লোকসানি
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল না দেয়ার সুপারিশ
করেছে জাতীয় পে-কমিশন। পাশাপাশি সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল
প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পৃথক বেতন কাঠামোর আওতায় আনা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য
করেছে কমিশন। এসব প্রতিষ্ঠানের বেতন স্কেল সরকারি বেতন কাঠামোর আদলে রাখতে
বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য আলাদা বেতন স্কেল দেয়ার প্রস্তাব
করেছে কমিশন।
অষ্টম জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। এই প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বিশেষ মর্যাদা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও যেসব প্রতিষ্ঠানের বেতন কাঠামোর বিষয়ে কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ করেছে, সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আছে সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম বন্দর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই কমিশনের কাছে পৃথক বেতন কাঠামো দেয়ার দাবি করেছিল।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো নয় : কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবি রয়েছে। কিন্তু এদের বার্ষিক দায়দেনা ও সম্পদের হিসাবে দেখা গেছে, বড় ধরনের খেলাপির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ভারাক্রান্ত। এ ঋণ কোনো দিন আদায় হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। এসব দায়ভার বাস্তবতার নিরিখে বিশ্লেষণ করলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দুর্বলতা ফুটে ওঠে। এসব প্রতিষ্ঠান দায়ভার সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার হয়ে আর্থিক সচ্ছলতায় ফিরে না আসা এবং নিজের আয়ের ওপর নির্ভরশীল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা সরকারি বেতন কাঠামোর অনুরূপ রাখা প্রয়োজন।
জানা গেছে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৪ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৪৮ শতাংশ হচ্ছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএলের। মোট খেলাপি ঋণের ৮০ শতাংশই মন্দ হয়ে পড়ায় প্রভিশনের পরিমাণ বাড়ছে।
বিভিন্ন সুপারিশ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক বেতন কাঠামো সমীচীন নয় : সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে সরকারি মঞ্জুরির ওপর নির্ভরশীল। তাই কমিশন মনে করে সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য উচ্চতর স্কেলে আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়ন সমীচীন হবে না।
স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন কাঠামো : এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কমিশন মনে করে, যেসব প্রতিষ্ঠান স্বাবলম্বী অর্থাৎ সরকারের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল নয়। নিজস্ব তহবিল থেকে চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতাসহ সব ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম। ওইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে পারবে। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যবস্থা সম্ভব না হলে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিরাষ্ট্রীয়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল : বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব পরিচালনা পর্ষদের সম্মতিক্রমে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের পর অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এমন সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বেতনের গ্রেড ও স্কেলের সংখ্যা জাতীয় বেতন কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬টির কম বা বেশি হওয়া সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে। সুপারিশে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুষ্ঠু দায়িত্ব পালনের ওপর দেশের অর্থনীতির সঠিক গতিধারা অনেকাংশেই নির্ভরশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভূমিকা রাখতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিজীবীদের যোগ্যতাকে সমুন্নত রাখতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।
গবেষণা সংক্রান্ত প্র্রতিষ্ঠানের সুবিধা বৃদ্ধি : ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে (বাপশক) চাকরিজীবীরা গবেষণার কাজে জড়িত আছে। এসব গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, ব্রি ও বাপশক উভয় সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল সংস্থা। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে পৃথক বেতন স্কেল প্রদান করলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান একই দাবি করবে। এতে সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের কিছু পদ রয়েছে যাদের বেতন বাড়লে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একই পদধারী চাকরিজীবীদের সঙ্গে বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই কমিশনের মতে, এ প্রতিষ্ঠান দুটির পৃথক বেতন কাঠামো প্রদান করা সমীচীন হবে না।
এ দুটি প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য বিশেষ কোনো পদে তিন বছরের মেয়াদে উচ্চতর বেতন স্কেলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। তবে সন্তোষজনক হলে সংশ্লিষ্টদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া কৃষি ও বিজ্ঞানসহ যে কোনো ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এককালীন আকর্ষণীয় আর্থিক পুরস্কার, বিশেষ করে ৬ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদানের সুপারিশ করা হয় জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিবেদনে।
অষ্টম জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। এই প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বিশেষ মর্যাদা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও যেসব প্রতিষ্ঠানের বেতন কাঠামোর বিষয়ে কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ করেছে, সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আছে সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম বন্দর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই কমিশনের কাছে পৃথক বেতন কাঠামো দেয়ার দাবি করেছিল।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো নয় : কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবি রয়েছে। কিন্তু এদের বার্ষিক দায়দেনা ও সম্পদের হিসাবে দেখা গেছে, বড় ধরনের খেলাপির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ভারাক্রান্ত। এ ঋণ কোনো দিন আদায় হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। এসব দায়ভার বাস্তবতার নিরিখে বিশ্লেষণ করলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দুর্বলতা ফুটে ওঠে। এসব প্রতিষ্ঠান দায়ভার সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার হয়ে আর্থিক সচ্ছলতায় ফিরে না আসা এবং নিজের আয়ের ওপর নির্ভরশীল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা সরকারি বেতন কাঠামোর অনুরূপ রাখা প্রয়োজন।
জানা গেছে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২৪ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৪৮ শতাংশ হচ্ছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএলের। মোট খেলাপি ঋণের ৮০ শতাংশই মন্দ হয়ে পড়ায় প্রভিশনের পরিমাণ বাড়ছে।
বিভিন্ন সুপারিশ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক বেতন কাঠামো সমীচীন নয় : সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে সরকারি মঞ্জুরির ওপর নির্ভরশীল। তাই কমিশন মনে করে সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য উচ্চতর স্কেলে আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়ন সমীচীন হবে না।
স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন কাঠামো : এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কমিশন মনে করে, যেসব প্রতিষ্ঠান স্বাবলম্বী অর্থাৎ সরকারের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল নয়। নিজস্ব তহবিল থেকে চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতাসহ সব ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম। ওইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে পারবে। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যবস্থা সম্ভব না হলে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিরাষ্ট্রীয়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল : বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব পরিচালনা পর্ষদের সম্মতিক্রমে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের পর অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এমন সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বেতনের গ্রেড ও স্কেলের সংখ্যা জাতীয় বেতন কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬টির কম বা বেশি হওয়া সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে। সুপারিশে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুষ্ঠু দায়িত্ব পালনের ওপর দেশের অর্থনীতির সঠিক গতিধারা অনেকাংশেই নির্ভরশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ভূমিকা রাখতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিজীবীদের যোগ্যতাকে সমুন্নত রাখতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।
গবেষণা সংক্রান্ত প্র্রতিষ্ঠানের সুবিধা বৃদ্ধি : ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে (বাপশক) চাকরিজীবীরা গবেষণার কাজে জড়িত আছে। এসব গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, ব্রি ও বাপশক উভয় সরকারি অনুদানের ওপর নির্ভরশীল সংস্থা। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে পৃথক বেতন স্কেল প্রদান করলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান একই দাবি করবে। এতে সরকারের ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের কিছু পদ রয়েছে যাদের বেতন বাড়লে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একই পদধারী চাকরিজীবীদের সঙ্গে বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই কমিশনের মতে, এ প্রতিষ্ঠান দুটির পৃথক বেতন কাঠামো প্রদান করা সমীচীন হবে না।
এ দুটি প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য বিশেষ কোনো পদে তিন বছরের মেয়াদে উচ্চতর বেতন স্কেলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। তবে সন্তোষজনক হলে সংশ্লিষ্টদের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া কৃষি ও বিজ্ঞানসহ যে কোনো ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এককালীন আকর্ষণীয় আর্থিক পুরস্কার, বিশেষ করে ৬ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদানের সুপারিশ করা হয় জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিবেদনে।
No comments