‘নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে’
ঢাকা
উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নজিরবিহীন
কারচুপি হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
টিআইবির এক বিবৃতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কেন্দ্রে গোলযোগ ও সহিংসতা, ভোট
প্রদানে বাধা প্রদান, দেশী-বিদেশী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পেশাগত দায়িত্ব
পালনে অনৈতিক প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সমান
প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রনির্ভর নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন এবং
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা-বাহিনীর ব্যর্থতায় গভীর হতাশা ও উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিতর্কিতভাবে মাঝপথে
নির্বাচন বর্জন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার পথে নতুন
করে ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় সকল রাজনৈতিক দলকে সংযত, সহনশীল ও
গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ও পেশী-শক্তির প্রয়োগে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হওয়ায় সদ্য-সমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের মত সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনী আইন-প্রয়োগসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ব্যাপক কারচুপির নির্ভরযোগ্য তথ্য আর প্রমাণ থাকার পরেও কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অস্বীকৃতি, মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বিব্রত করেছে। যথাযথ দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন শুধু যে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং কমিশন ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ও জন-আস্থা ধুলিসাৎ হয়েছে।
ড. জামান আরো বলেন, পেশী শক্তি দমনসহ আইনের লঙ্ঘন প্রতিহত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নির্বাচনের জন্য সুস্থ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোট প্রদানে নাগরিকদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা-বাহিনী একদিকে নিরব দর্শক ও অন্যদিকে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন করে শুধু ব্যর্থই হয়েছে তাই নয়, বরং ক্ষেত্র-বিশেষে রাজনৈতিক শিখন্ডি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উপরমহলের নির্দেশের অজুহাত দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশী-বিদেশী সংস্থার প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়ে এই বাহিনী তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এরূপ ব্যর্থতা মানুষের ভোটের অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে এবং একইসঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানই নিজেদেরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করেছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাঝপথে নির্দলীয় এই নির্বাচন বিতর্কিতভাবে বর্জন করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ পুন:প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নতুন করে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণে যে ইতিবাচক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছিল, মঙ্গলবারের তিনটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনই সামগ্রিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঝুঁকি পুনরায় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জন-জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সকল দলসমূহকে রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক চর্চার ধারা অনুশীলন ও তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ও পেশী-শক্তির প্রয়োগে ব্যাপক অনিয়ম সংঘটিত হওয়ায় সদ্য-সমাপ্ত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের মত সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনী আইন-প্রয়োগসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ব্যাপক কারচুপির নির্ভরযোগ্য তথ্য আর প্রমাণ থাকার পরেও কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে অস্বীকৃতি, মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেকে বিব্রত করেছে। যথাযথ দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন শুধু যে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং কমিশন ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ও জন-আস্থা ধুলিসাৎ হয়েছে।
ড. জামান আরো বলেন, পেশী শক্তি দমনসহ আইনের লঙ্ঘন প্রতিহত করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নির্বাচনের জন্য সুস্থ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোট প্রদানে নাগরিকদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা-বাহিনী একদিকে নিরব দর্শক ও অন্যদিকে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন করে শুধু ব্যর্থই হয়েছে তাই নয়, বরং ক্ষেত্র-বিশেষে রাজনৈতিক শিখন্ডি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উপরমহলের নির্দেশের অজুহাত দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশী-বিদেশী সংস্থার প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়ে এই বাহিনী তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এরূপ ব্যর্থতা মানুষের ভোটের অধিকার ব্যাপকভাবে খর্ব করেছে এবং একইসঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানই নিজেদেরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করেছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মাঝপথে নির্দলীয় এই নির্বাচন বিতর্কিতভাবে বর্জন করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ পুন:প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নতুন করে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের সংঘাতময় রাজনীতি থেকে উত্তরণে যে ইতিবাচক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছিল, মঙ্গলবারের তিনটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনই সামগ্রিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঝুঁকি পুনরায় সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জন-জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সকল দলসমূহকে রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক চর্চার ধারা অনুশীলন ও তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
No comments