বর্ষপূর্তিতে চার্জশিট নিয়ে বিভক্তি
নারায়ণগঞ্জে
সাত খুনের এক বছর পূর্তিতে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের স্মরণ সভা করেছে
জেলা আইনজীবী সমিতি। সভায় আদালতে দাখিল করা চার্জশিট নিয়ে এক পক্ষ সন্তোষ
প্রকাশ করলেও অপর পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা
আইনজীবী সমিতির বার ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব
করেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
স্মরণ সভায় মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি কে এম ফজলুর রহমান চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সাত খুনের মামলার বেশি জানার সুযোগ হয়েছে আমার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুরো টিম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই চার্জশিট প্রদান করেছেন। সাত খুনের পর প্রধানমন্ত্রী কারও রাজনৈতিক বক্তব্য ও কারও রাজনীতির দিকে না তাকানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি এসপি, ডিসিকে বদলি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে সেনাবাহিনীর তিন জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা মন্ত্রীসভার অনেকের আত্মীয়স্বজন। তারপরও এক বছরের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, এক বছর পূর্বে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর কিছু বিপদগামী কর্মকর্তা চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে। নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির একজন আইনজীবীও যতদিন বেঁচে থাকবে এ সাত খুনের বিচার দাবি করে আসবে। আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই, কালো কোটের উপর হাত তুললে পরিস্থিতি ভাল হবে না। কালো কোটের উপর হাত তুললে যে এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে সেটা বুঝাতেই আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। সে যত বড় বা যত প্রভাবশালীই হোক নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির আইনজীবীদের কালো কোটের উপর হাত তুললে ছেড়ে দেয়া হবে না। সরকারের সদিচ্ছায় এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা সম্ভব হয়েছে। জবানবন্দি না থাকলে কঠিন হতো। সুবিচার আছে বলেই ২২ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাত খুনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। সেই ট্রাইব্যুনাল নারায়ণগঞ্জেই গঠন করা হোক। আর আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম, আমার ভাইয়ের রক্ত-মাংসের টাকা খাব না। সেজন্য নারায়ণগঞ্জের কোন আইনজীবী আসামীদের পক্ষে ওকালতনামা দেয়নি। আসামীরাও ন্যায়বিচার পাচ্ছে। তারা হাইকোর্টেও জামিন আবেদন করেছিলেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান চার্জশিটে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুটি মামলার একটির এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে একজনকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যারা র্যাবকে ভাড়া করেছিল, টাকা দিয়েছিল তাদের মধ্যে শুধু নূর হোসেনকে অভিযুক্ত করা হলো, বাকিদের কেন বাদ দেয়া হলো? যে কারণে চার্জশিট নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। যাদের এজাহারে নাম ছিল তাদের চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হলে, তারা যদি নির্দোষ হয় তাহলে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত থেকে ছাড়া পেত। কিন্তু সেটা না করে চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হলো। নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী চার্জশিটের নকল তোলার আবেদন করেছেন। নকল তুলে আলোচনার মাধ্যমে আগামী ১১ তারিখে নারাজি দিবেন।
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, এপিপি অ্যাডভোকেট সাকের খান, অ্যাডভোকেট আকরব আলী, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট তপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রউফ, অ্যাডভোকেট নাসিমা হাসানাত প্রমুখ।
উল্লেখ্য ১১ মাস ৯ দিনের মাথায় গত ৮ই এপ্রিল ৭ খুনের দুটি মামলায় র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা ও নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। এরমধ্যে র্যাবের ২৫ সদস্য ও নূর হোসেনসহ ১০ জন। গত বছরের ২৭শে এপ্রিল নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জের লিংকরোড থেকে অপহরণ করে র্যাব। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যায় তাদের প্রত্যেকের লাশ ভেসে উঠে।
স্মরণ সভায় মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি কে এম ফজলুর রহমান চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সাত খুনের মামলার বেশি জানার সুযোগ হয়েছে আমার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুরো টিম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই চার্জশিট প্রদান করেছেন। সাত খুনের পর প্রধানমন্ত্রী কারও রাজনৈতিক বক্তব্য ও কারও রাজনীতির দিকে না তাকানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি এসপি, ডিসিকে বদলি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে সেনাবাহিনীর তিন জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা মন্ত্রীসভার অনেকের আত্মীয়স্বজন। তারপরও এক বছরের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, এক বছর পূর্বে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর কিছু বিপদগামী কর্মকর্তা চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে। নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির একজন আইনজীবীও যতদিন বেঁচে থাকবে এ সাত খুনের বিচার দাবি করে আসবে। আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই, কালো কোটের উপর হাত তুললে পরিস্থিতি ভাল হবে না। কালো কোটের উপর হাত তুললে যে এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে সেটা বুঝাতেই আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। সে যত বড় বা যত প্রভাবশালীই হোক নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির আইনজীবীদের কালো কোটের উপর হাত তুললে ছেড়ে দেয়া হবে না। সরকারের সদিচ্ছায় এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা সম্ভব হয়েছে। জবানবন্দি না থাকলে কঠিন হতো। সুবিচার আছে বলেই ২২ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাত খুনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ বিচার কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। সেই ট্রাইব্যুনাল নারায়ণগঞ্জেই গঠন করা হোক। আর আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম, আমার ভাইয়ের রক্ত-মাংসের টাকা খাব না। সেজন্য নারায়ণগঞ্জের কোন আইনজীবী আসামীদের পক্ষে ওকালতনামা দেয়নি। আসামীরাও ন্যায়বিচার পাচ্ছে। তারা হাইকোর্টেও জামিন আবেদন করেছিলেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান চার্জশিটে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দুটি মামলার একটির এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে একজনকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যারা র্যাবকে ভাড়া করেছিল, টাকা দিয়েছিল তাদের মধ্যে শুধু নূর হোসেনকে অভিযুক্ত করা হলো, বাকিদের কেন বাদ দেয়া হলো? যে কারণে চার্জশিট নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। যাদের এজাহারে নাম ছিল তাদের চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হলে, তারা যদি নির্দোষ হয় তাহলে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত থেকে ছাড়া পেত। কিন্তু সেটা না করে চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হলো। নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী চার্জশিটের নকল তোলার আবেদন করেছেন। নকল তুলে আলোচনার মাধ্যমে আগামী ১১ তারিখে নারাজি দিবেন।
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, এপিপি অ্যাডভোকেট সাকের খান, অ্যাডভোকেট আকরব আলী, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট তপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রউফ, অ্যাডভোকেট নাসিমা হাসানাত প্রমুখ।
উল্লেখ্য ১১ মাস ৯ দিনের মাথায় গত ৮ই এপ্রিল ৭ খুনের দুটি মামলায় র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা ও নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ। এরমধ্যে র্যাবের ২৫ সদস্য ও নূর হোসেনসহ ১০ জন। গত বছরের ২৭শে এপ্রিল নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জের লিংকরোড থেকে অপহরণ করে র্যাব। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যায় তাদের প্রত্যেকের লাশ ভেসে উঠে।
No comments