সিটি নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান |
ঢাকা
উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত
প্রার্থীদের জয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা উত্তরের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ও ঢাকা দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন আজ বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর সেখানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। কারচুপি হলে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীরা লাখ লাখ ভোট কীভাবে পেলেন এ প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও ব্যালটে ক্ষমতাসীনদের অবাধে সিল মারা নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব সমালোচনা হয়েছে তার পাল্টা সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি মহল সরকারের কাজকে বিতর্কিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অসাংবিধানিক কেউ আসলে তারা পতাকা পাবে। কিন্তু সেই ‘শিকে আর ছিড়বে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এ রায় জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে গণরায়।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশের গণমাধ্যমের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আপনারা শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে থাকবেন। ঘাতক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে লিখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু হয়েছে। মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তারা (বিএনপি) বর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘ফেসবুক, ফোনালাপ ধরে যেটুকু জানতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো তাদের পূর্ব পরিকল্পনায় ছিল। গণতন্ত্রের ধারা শক্তিশালী করতেই এ নির্বাচন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো কারণ নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে কোনো কোনো পত্রিকা নির্বাচন নিয়ে বড় বড় নিউজ করেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের নেতাদের ধরে ধরে যখন আটকে রেখে নির্বাচন করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিলেন?
২০০১ সালের নির্বাচনে বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় একটি ভোট কেন্দ্রে মোট ১২০০ ভোটার ছিল। কিন্তু ভোট পড়েছে ২৮০০। ফলে হেরে গিয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী। এখন সে ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
যাঁরা এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট নিয়ে সমালোচনা করছেন তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারচুপি হলে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীরা লাখ লাখ ভোট পেলেন কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করল। এ কথা বলার পরই পাশ থেকে কেউ একজন বলেন, আড়াই ঘণ্টা নয়, চার ঘণ্টা পর নির্বাচন বর্জন করেছে। এ কথায় প্রধানমন্ত্রীকে কিছুটা বিব্রত হতে দেখা যায়। এরপর ঢাকার দুই সিটির বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি কারচুপি হয়ে থাকে এত অল্প সময়ের মধ্যে তারা এত ভোট পেল কীভাবে? ’
বিএনপি জোটের ৯২ দিন ধরে চলা অবরোধে পেট্রলবোমায় মানুষ মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারলে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় না। এই কথা কেউ বলে না। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের মানুষ এত ভোট দেয় কীভাবে? মির্জা আব্বাস মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত, তাবিথের বাবা এতে অর্থ দিয়েছে। তাদের মানুষ ভোট দেয় কীভাবে?
এ সময় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররাও ছিলেন। তবে চট্টগ্রামের নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির আগামী দু-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা উত্তরের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক ও ঢাকা দক্ষিণের নবনির্বাচিত মেয়র সাঈদ খোকন আজ বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর সেখানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। কারচুপি হলে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীরা লাখ লাখ ভোট কীভাবে পেলেন এ প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও ব্যালটে ক্ষমতাসীনদের অবাধে সিল মারা নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব সমালোচনা হয়েছে তার পাল্টা সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি মহল সরকারের কাজকে বিতর্কিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অসাংবিধানিক কেউ আসলে তারা পতাকা পাবে। কিন্তু সেই ‘শিকে আর ছিড়বে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এ রায় জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে গণরায়।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশের গণমাধ্যমের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আপনারা শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে থাকবেন। ঘাতক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে লিখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু হয়েছে। মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তারা (বিএনপি) বর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘ফেসবুক, ফোনালাপ ধরে যেটুকু জানতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো তাদের পূর্ব পরিকল্পনায় ছিল। গণতন্ত্রের ধারা শক্তিশালী করতেই এ নির্বাচন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো কারণ নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে কোনো কোনো পত্রিকা নির্বাচন নিয়ে বড় বড় নিউজ করেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের নেতাদের ধরে ধরে যখন আটকে রেখে নির্বাচন করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিলেন?
২০০১ সালের নির্বাচনে বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় একটি ভোট কেন্দ্রে মোট ১২০০ ভোটার ছিল। কিন্তু ভোট পড়েছে ২৮০০। ফলে হেরে গিয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী। এখন সে ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
যাঁরা এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট নিয়ে সমালোচনা করছেন তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারচুপি হলে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীরা লাখ লাখ ভোট পেলেন কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করল। এ কথা বলার পরই পাশ থেকে কেউ একজন বলেন, আড়াই ঘণ্টা নয়, চার ঘণ্টা পর নির্বাচন বর্জন করেছে। এ কথায় প্রধানমন্ত্রীকে কিছুটা বিব্রত হতে দেখা যায়। এরপর ঢাকার দুই সিটির বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি কারচুপি হয়ে থাকে এত অল্প সময়ের মধ্যে তারা এত ভোট পেল কীভাবে? ’
বিএনপি জোটের ৯২ দিন ধরে চলা অবরোধে পেট্রলবোমায় মানুষ মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারলে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় না। এই কথা কেউ বলে না। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের মানুষ এত ভোট দেয় কীভাবে? মির্জা আব্বাস মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত, তাবিথের বাবা এতে অর্থ দিয়েছে। তাদের মানুষ ভোট দেয় কীভাবে?
এ সময় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররাও ছিলেন। তবে চট্টগ্রামের নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির আগামী দু-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেন বলে জানা গেছে।
No comments