ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর by শুভংকর কর্মকার ও মুসা আহমেদ
ভোট
শুরুর আগেই ব্যালট পেপার ছিনতাই। পরে ভোট গ্রহণ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ
হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অপর এক কেন্দ্রে হামলা চালান। ব্যালট
বাক্স ভাঙচুর করেন। ফলে ঘণ্টা দুইয়েক তিন কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ। পরে
এক কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত। এমনকি ক্ষুব্ধ ভোটারদের শান্ত করতে পুলিশ
লাঠিপেটা পর্যন্ত করে।
এভাবেই পুরান ঢাকার সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারা দিনই ছিল উত্তেজনা। অবশ্য এর মধ্যেই ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হচ্ছে।’ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি যখন এ কথা বলছিলেন, তখন হামলা ও জাল ভোটের কারণে সেখানকার দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি ভোটকেন্দ্র (৫৬৪, ৫৬৫ ও ৫৬৬) এই সুরিটোলা বিদ্যালয়ে। ভোটারসংখ্যা ৫ হাজার ৩২০। অনিয়মের কারণে ৫৬৫ নম্বর কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই সুরিটোলা বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ৫৬৫ নম্বর কেন্দ্র দখল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শওকত আলী নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৮।
পরে এই কেন্দ্রে ভোট শুরু না হওয়ায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা ওই ভবনের নিচতলায় ৫৬৪ নম্বর কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে হামলা চালান। ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করেন। এতে করে এই কেন্দ্রসহ পাশের ভবনের আরেকটি কেন্দ্রে (৫৬৬) ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নয়টার দিকে এ ঘটনার পর বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সহায়তায় আবার ভোট শুরু হয় বাকি দুই কেন্দ্রে। তখনো ৫৬৫ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৫০-৬০ জন।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটকেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছে। আপনারা বাড়ি চলে যান।’ এরপর ভোটাররা ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে থাকলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে বের করে দেয়।
জানতে চাইলে স্থগিত হওয়া কেন্দ্র নিয়ে কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আহাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে ভোটকেন্দ্রে লোকজন উল্টাপাল্টা করছিল। তাই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন।’ এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বীকার করে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু ব্যালট পেপার মিসিং ছিল। তাই ভোট নেওয়া যায়নি।’
এভাবেই পুরান ঢাকার সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারা দিনই ছিল উত্তেজনা। অবশ্য এর মধ্যেই ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হচ্ছে।’ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি যখন এ কথা বলছিলেন, তখন হামলা ও জাল ভোটের কারণে সেখানকার দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি ভোটকেন্দ্র (৫৬৪, ৫৬৫ ও ৫৬৬) এই সুরিটোলা বিদ্যালয়ে। ভোটারসংখ্যা ৫ হাজার ৩২০। অনিয়মের কারণে ৫৬৫ নম্বর কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই সুরিটোলা বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ৫৬৫ নম্বর কেন্দ্র দখল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক দেখে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শওকত আলী নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২৮।
পরে এই কেন্দ্রে ভোট শুরু না হওয়ায় সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা ওই ভবনের নিচতলায় ৫৬৪ নম্বর কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে হামলা চালান। ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করেন। এতে করে এই কেন্দ্রসহ পাশের ভবনের আরেকটি কেন্দ্রে (৫৬৬) ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নয়টার দিকে এ ঘটনার পর বেলা ১১টার দিকে পুলিশের সহায়তায় আবার ভোট শুরু হয় বাকি দুই কেন্দ্রে। তখনো ৫৬৫ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৫০-৬০ জন।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটকেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছে। আপনারা বাড়ি চলে যান।’ এরপর ভোটাররা ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে থাকলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে বের করে দেয়।
জানতে চাইলে স্থগিত হওয়া কেন্দ্র নিয়ে কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আহাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে ভোটকেন্দ্রে লোকজন উল্টাপাল্টা করছিল। তাই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন।’ এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বীকার করে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু ব্যালট পেপার মিসিং ছিল। তাই ভোট নেওয়া যায়নি।’
No comments