সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বন্ধ করা হয়েছে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। গত বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় তিনি দাবি করেন। তবে সিরিয়ার রেভল্যুশন কো-অর্ডিনেটিং ইউনিয়ন দাবি করেছে, গত বুধবার রাতেও সামরিক বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন স্থানে ২৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রেসিডেন্ট বাশারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় মহাসচিব বান যত দ্রুত সম্ভব বিক্ষোভকারীদের প্রতি সব ধরনের সামরিক অভিযান ও গ্রেপ্তার-তৎপরতা বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি আহ্বান জানান।
ফারহান হক জানান, সিরিয়াজুড়ে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বান কি মুন। বিশেষত লাতাকিয়া এলাকার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। লাতাকিয়ায় সেনা অভিযানের কারণে সেখানে শরণার্থী শিবিরে থাকা কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র জানান, বান কি মুন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণগ্রেপ্তার বন্ধের ওপর জোর দিলে প্রেসিডেন্ট বাশার বলেন, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাশারের এ দাবির ব্যাপারে জাতিসংঘ বা কোনো মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ফারহান হক আরও জানান, বান কি মুন সব হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনা তদন্ত এবং গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশের দাবি জানান। একই সঙ্গে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তদন্তের সময় সংস্থার মানবাধিকার কমিশনারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট বাশার জাতিসংঘের তদন্ত দলকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
হোমস শহরের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে তারাবির নামাজের পর দুই বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া হামা ও রাজধানী দামেস্কে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে।
দামেস্কে নিযুক্ত একজন পশ্চিমা কূটনীতিক জানান, প্রেসিডেন্ট আসাদ তুরস্ককে আশ্বস্ত করতে চাইছেন যে তিনি অভিযান বন্ধ করেছেন। এতে করে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাঁর ওপর পদত্যাগের চাপ কমে যাবে বলে ধারণা প্রেসিডেন্ট বাশারের; কিন্তু তিনি অভিযান বন্ধ করেননি।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রধান নভি পিল্লাইয়ের গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে বক্তৃতা করার কথা। তিনি সিরিয়া বিষয়েই কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ায় গত মার্চে রাজনৈতিক সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রেসিডেন্ট বাশারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় মহাসচিব বান যত দ্রুত সম্ভব বিক্ষোভকারীদের প্রতি সব ধরনের সামরিক অভিযান ও গ্রেপ্তার-তৎপরতা বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি আহ্বান জানান।
ফারহান হক জানান, সিরিয়াজুড়ে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বান কি মুন। বিশেষত লাতাকিয়া এলাকার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। লাতাকিয়ায় সেনা অভিযানের কারণে সেখানে শরণার্থী শিবিরে থাকা কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
জাতিসংঘের উপমুখপাত্র জানান, বান কি মুন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণগ্রেপ্তার বন্ধের ওপর জোর দিলে প্রেসিডেন্ট বাশার বলেন, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাশারের এ দাবির ব্যাপারে জাতিসংঘ বা কোনো মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ফারহান হক আরও জানান, বান কি মুন সব হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনা তদন্ত এবং গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশের দাবি জানান। একই সঙ্গে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তদন্তের সময় সংস্থার মানবাধিকার কমিশনারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রেসিডেন্ট বাশারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট বাশার জাতিসংঘের তদন্ত দলকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
হোমস শহরের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে তারাবির নামাজের পর দুই বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া হামা ও রাজধানী দামেস্কে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়েছে।
দামেস্কে নিযুক্ত একজন পশ্চিমা কূটনীতিক জানান, প্রেসিডেন্ট আসাদ তুরস্ককে আশ্বস্ত করতে চাইছেন যে তিনি অভিযান বন্ধ করেছেন। এতে করে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাঁর ওপর পদত্যাগের চাপ কমে যাবে বলে ধারণা প্রেসিডেন্ট বাশারের; কিন্তু তিনি অভিযান বন্ধ করেননি।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রধান নভি পিল্লাইয়ের গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে রুদ্ধদ্বার অধিবেশনে বক্তৃতা করার কথা। তিনি সিরিয়া বিষয়েই কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ায় গত মার্চে রাজনৈতিক সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
No comments