আন্না হাজারের আন্দোলন নিয়ে বিভক্ত ভারতের সুশীল সমাজ
দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি শক্তিশালী লোকপাল গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছেন ভারতের প্রখ্যাত সমাজকর্মী আন্না হাজারে। এই আন্দোলনের পেছনে সাধারণ মানুষের সমর্থন থাকলেও সুশীল সমাজ এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী স্বামী অগ্নিবেশ বলেছেন, আন্না হাজারের আন্দোলনের পেছনে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন আছে। আর অন্যদিকে আরেক সমাজকর্মী ও নিবন্ধকার শবনম হাশমি মনে করেন, হাজারে কট্টরপন্থা অবলম্বন করছেন এবং ডানপন্থী গ্রুপগুলো তাঁকে সমর্থন দিচ্ছে।
গত কয়েক মাসে দেখা গেছে, লেখক, শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এতে করে আন্দোলন জোরদার হয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে এর সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত জুনে মৃত্যুর এক মাস আগেও শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন কার্টুন এঁকে আন্না হাজারের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ফিদা হুসেন বলেছিলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী এই আন্দোলনকারী আরেকটি নতুন বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারত থেকে দুর্নীতি নির্মূলের দায়িত্ব নিয়েছে নতুন প্রজন্ম। এটা দেখে আমি রোমাঞ্চিত এবং আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।’
জনপ্রিয় কল্পকাহিনী লেখক চেতন ভগতও হাজারের আন্দোলনের পক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিবাদ এড়িয়ে চলা একটি রসিকতা ছাড়া কিছু নয়। আমি তাঁর (হাজারে) পক্ষে কথা বলে যাব।’
হাজারের বিপক্ষে সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন ওডিশা রাজ্যের বিখ্যাত বালু ভাস্কর সুদর্শন পট্টনায়েক। গত সোমবার তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মাকড়সার জালের মতো ঘিরে ফেলেছে এবং আমাদের তা ছিন্ন করতেই হবে।’ পুরিতে ভারতের জাতীয় তিন রঙের জমিনে হাজারের মুখমণ্ডলের একটি বালুর ভাস্কর্য তিনি হাজারেকে উৎসর্গ করেন।
তবে হাজারের বিপক্ষেও কথা বলছেন অনেক শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী। প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘দুর্নীতির জন্য যে ব্যবস্থা দায়ী তা পরিবর্তনে হাজারের এই আন্দোলনে কোনো সুনির্দিষ্ট আহ্বান নেই। আমার মতে, দুর্নীতি বন্ধের জন্য প্রথমেই সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ বেসরকারীকরণ বন্ধ করতে হবে। এটা হলে দুর্নীতি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। আর তখন লোকপালও কার্যকর হবে।’
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মল্লিকা সারাভাই একসময় আন্না হাজারের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু হাজারে পল্লি উন্নয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করায় সারাভাই তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।
হাজারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে শুধু সারাভাই নন, অন্য বুদ্ধিজীবীদেরও সংশয় রয়েছে। শিল্পী-সমাজকর্মী রাম রহমানের মতে, ‘হাজারের আন্দোলন আসলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উদ্যোগ। দুর্নীতি একটি জটিল বিষয়। কিন্তু বিপ্লব ভিন্ন জিনিস। এসব নিয়ে মানুষের পরিষ্কার ধারণা নেই।’
প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী স্বামী অগ্নিবেশ বলেছেন, আন্না হাজারের আন্দোলনের পেছনে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন আছে। আর অন্যদিকে আরেক সমাজকর্মী ও নিবন্ধকার শবনম হাশমি মনে করেন, হাজারে কট্টরপন্থা অবলম্বন করছেন এবং ডানপন্থী গ্রুপগুলো তাঁকে সমর্থন দিচ্ছে।
গত কয়েক মাসে দেখা গেছে, লেখক, শিল্পী-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এতে করে আন্দোলন জোরদার হয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে এর সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত জুনে মৃত্যুর এক মাস আগেও শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন কার্টুন এঁকে আন্না হাজারের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। ফিদা হুসেন বলেছিলেন, ‘দুর্নীতিবিরোধী এই আন্দোলনকারী আরেকটি নতুন বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারত থেকে দুর্নীতি নির্মূলের দায়িত্ব নিয়েছে নতুন প্রজন্ম। এটা দেখে আমি রোমাঞ্চিত এবং আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।’
জনপ্রিয় কল্পকাহিনী লেখক চেতন ভগতও হাজারের আন্দোলনের পক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিবাদ এড়িয়ে চলা একটি রসিকতা ছাড়া কিছু নয়। আমি তাঁর (হাজারে) পক্ষে কথা বলে যাব।’
হাজারের বিপক্ষে সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন ওডিশা রাজ্যের বিখ্যাত বালু ভাস্কর সুদর্শন পট্টনায়েক। গত সোমবার তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মাকড়সার জালের মতো ঘিরে ফেলেছে এবং আমাদের তা ছিন্ন করতেই হবে।’ পুরিতে ভারতের জাতীয় তিন রঙের জমিনে হাজারের মুখমণ্ডলের একটি বালুর ভাস্কর্য তিনি হাজারেকে উৎসর্গ করেন।
তবে হাজারের বিপক্ষেও কথা বলছেন অনেক শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী। প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেছেন, ‘দুর্নীতির জন্য যে ব্যবস্থা দায়ী তা পরিবর্তনে হাজারের এই আন্দোলনে কোনো সুনির্দিষ্ট আহ্বান নেই। আমার মতে, দুর্নীতি বন্ধের জন্য প্রথমেই সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ বেসরকারীকরণ বন্ধ করতে হবে। এটা হলে দুর্নীতি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। আর তখন লোকপালও কার্যকর হবে।’
প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী মল্লিকা সারাভাই একসময় আন্না হাজারের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু হাজারে পল্লি উন্নয়নে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করায় সারাভাই তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।
হাজারের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে শুধু সারাভাই নন, অন্য বুদ্ধিজীবীদেরও সংশয় রয়েছে। শিল্পী-সমাজকর্মী রাম রহমানের মতে, ‘হাজারের আন্দোলন আসলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উদ্যোগ। দুর্নীতি একটি জটিল বিষয়। কিন্তু বিপ্লব ভিন্ন জিনিস। এসব নিয়ে মানুষের পরিষ্কার ধারণা নেই।’
No comments