যুদ্ধবিরতির পরদিনই লেবাননে ইসরায়েলের হামলা
বিষয়টি ইসরায়েলও স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলা করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, যুদ্ধবিরতির মধ্যে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিরা জড়ো হচ্ছিলেন। তাদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে আগেই হামলা করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল নয় বরং যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
এর আগে বুধবার থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় শান্তির আশাবাদ জানিয়েছিলেন।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে ৬০ দিন সময় পাবে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় কোনো পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার লেবাননে অবস্থান করা বাহিনীই হামলা করে।
এদিকে যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন দেশটির বাসিন্দারা, পাশাপাশি নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তারা। নতুন হামলায় তাদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। তবে তাদের সতর্কতা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবাননে পাড়ি দিয়েছে।
লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, আমি আপনাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।
টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তকে নাবিহ বলেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর বসবাস করতে হলেও আপনারা নিজেদের ভূমিতে ফিরে আসুন।
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত লেবাননের একটি এলাকা। ছবি : সংগৃহীত |
No comments