প্রবল ঠাণ্ডা ইউক্রেনে, বেছে বেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেনের প্রবল শীতই এখন হাতিয়ার রাশিয়ার। বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে এমন জায়গাতেই বেছে বেছে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। এই আক্রমণকে রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেন কর্তৃক মার্কিন সরবরাহকৃত আটকমস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ‘অবিরাম আক্রমণ’-এর প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছেন পুতিন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, যেকোনো রাশিয়ান হামলার কঠোর জবাব দেয়া হবে। এই হামলার প্রভাব পড়েছে ইউক্রেনের দক্ষিণ শহর খেরসনে। সেখানকার একাধিক অঞ্চলও এই মুহূর্তে অন্ধকারের গ্রাসে। বিদ্যুৎ না থাকায় সরবরাহ হচ্ছে না পানি। মিসাইল ও সাইরেনের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙেছে কাতেরিনা মালোফিয়েভা নামে এক সাংবাদিকের। নিজের অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি। যদিও ইউক্রেনীয় সেনার দাবি আছড়ে পড়ার আগে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়। রাশিয়ার হামলার জেরে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে এটি ইউক্রেনের এক মিলিয়নেরও বেশি লোককে বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে।
কনকনে ঠাণ্ডায় সমস্যায় পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাশিয়ার এই আক্রমণের কড়া নিন্দা জানিয়েছে কিয়েভ। পাশাপাশি বেশ কিছু পরমাণু কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে ইউক্রেন।
জেলেনস্কি বলেন, বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোর বিরুদ্ধে ক্লাস্টার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধে রাশিয়ার অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে শীত। এখন কিয়েভে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে। ফলে ঘর গরম রাখতে ও পানির পাইপগুলোকে সচল রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেই দুর্বল জায়গাতেই আঘাত করছে রাশিয়া।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে হামলা চলে। পশ্চিমের তিনটি অঞ্চলসহ ইউক্রেনের অন্তত ১২টি এলাকায় আঘাত হেনেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো বলেছেন, জরুরি বিদ্যুৎ বিভ্রাট মানুষের জীবন ব্যাহত করছে। সূত্র: বিবিসি
No comments