বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি যে কারণে বাড়ছে
বাংলাদেশে
ফেসবুকে রাষ্ট্রবিরোধী গুজব এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের
ছবি বিকৃত করার অভিযোগে নিরাপত্তা বাহিনী সমপ্রতি অনেককে আটক করেছে। এর
মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব বুধবার একদিনেই দেশের বিভিন্ন
জায়গা থেকে সাতজনকে আটক করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ফেসবুক নিয়ে বেশ সক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জনকে আটক করেছে, যাদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে গুজব এবং বিকৃত তথ্য ও ছবি প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে । এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাও আটক করেছে আরো কিছু ব্যক্তিকে। র্যাব এবং পুলিশ বলেছে, আটকদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে হয় কুৎসা রটিয়েছে নতুবা ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে।
সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালো কথা বলার সুযোগ যেমন তৈরি করে দেয়, তেমনি খারাপ কথা বলার সুযোগও তৈরি করে। ‘যখন সরকারের বিরুদ্ধে খারাপ কথাটা যায় তখন সক্রিয় হয়, ‘বলেন মি. চৌধুরী’।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ফেসবুকে তাদের ভাষায় গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য তৎপর হলেও তারা শুধুই সরকারের বিপক্ষে যেগুলো যাচ্ছে সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন। অথচ সমপ্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভুয়া খবর প্রচারের জন্য তারা বাংলাদেশে ছয়টি অ্যাকাউন্ট এবং নয়টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফেসবুক বলছে, এগুলোতে বাংলাদেশের সরকারের সমর্থনে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছিল, এবং এর সঙ্গে সরকার-সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের সম্পর্ক আছে।
এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ছিল নিশ্চুপ। কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো পর্যন্ত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির সাইবার তদন্ত বিভাগের প্রধান মোল্লা নজরুল ইসলাম বলছেন, বেশকিছু বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করে দেখেছেন যে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বলে প্রচার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বিকৃত করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত বছর খানেক ধরেই ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- বিশেষ করে ফেসবুক নিয়ে সরকার বেশ চিন্তিত। সরকারের অনেকেই মনে করেন, সরকার বিরোধীরা এ মাধ্যমে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা কিংবা অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে কিংবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছিলেন, ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে সরকারের চিন্তিত হবার কারণ রয়েছে। মি. চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ২৫টা টেলিভিশন স্টেশনকে আমি বার করলাম, তার মধ্যে বেশিরভাগই তো দেখছি যে আওয়ামী লীগ সমর্থক অথবা আওয়ামী লীগের এমপি অথবা আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর লোক। অতএব এসব গণমাধ্যম নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত না। ছাপা গণমাধ্যম সবচেয়ে দায়িত্বশীল। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া সরকার অন্য কোনো কিছুকে পাত্তা দেয় না।’ সরকার বিরোধীরা মনে করেন, ফেসবুকে যাতে কেউ সরকার বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না করে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ধরপাকড়ের মাধ্যমে এক ধরনের ভীতি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের সমালোচনা করার জন্য কাউকে আটক করা হয়নি। যারা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, কিংবা তথ্য এবং ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে কারো সম্মানহানি করছে অথবা কোনো কিছু উসকে দেবার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ফেসবুক নিয়ে বেশ সক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জনকে আটক করেছে, যাদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে গুজব এবং বিকৃত তথ্য ও ছবি প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে । এছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাও আটক করেছে আরো কিছু ব্যক্তিকে। র্যাব এবং পুলিশ বলেছে, আটকদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে হয় কুৎসা রটিয়েছে নতুবা ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে।
সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভালো কথা বলার সুযোগ যেমন তৈরি করে দেয়, তেমনি খারাপ কথা বলার সুযোগও তৈরি করে। ‘যখন সরকারের বিরুদ্ধে খারাপ কথাটা যায় তখন সক্রিয় হয়, ‘বলেন মি. চৌধুরী’।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ফেসবুকে তাদের ভাষায় গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য তৎপর হলেও তারা শুধুই সরকারের বিপক্ষে যেগুলো যাচ্ছে সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছেন। অথচ সমপ্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভুয়া খবর প্রচারের জন্য তারা বাংলাদেশে ছয়টি অ্যাকাউন্ট এবং নয়টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফেসবুক বলছে, এগুলোতে বাংলাদেশের সরকারের সমর্থনে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছিল, এবং এর সঙ্গে সরকার-সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের সম্পর্ক আছে।
এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ছিল নিশ্চুপ। কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো পর্যন্ত যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডির সাইবার তদন্ত বিভাগের প্রধান মোল্লা নজরুল ইসলাম বলছেন, বেশকিছু বিষয় নিয়ে তারা তদন্ত করে দেখেছেন যে মিথ্যা ঘটনাকে সত্য বলে প্রচার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বিকৃত করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত বছর খানেক ধরেই ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- বিশেষ করে ফেসবুক নিয়ে সরকার বেশ চিন্তিত। সরকারের অনেকেই মনে করেন, সরকার বিরোধীরা এ মাধ্যমে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা কিংবা অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে কিংবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলছিলেন, ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে সরকারের চিন্তিত হবার কারণ রয়েছে। মি. চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ২৫টা টেলিভিশন স্টেশনকে আমি বার করলাম, তার মধ্যে বেশিরভাগই তো দেখছি যে আওয়ামী লীগ সমর্থক অথবা আওয়ামী লীগের এমপি অথবা আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর লোক। অতএব এসব গণমাধ্যম নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তিত না। ছাপা গণমাধ্যম সবচেয়ে দায়িত্বশীল। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া সরকার অন্য কোনো কিছুকে পাত্তা দেয় না।’ সরকার বিরোধীরা মনে করেন, ফেসবুকে যাতে কেউ সরকার বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না করে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ধরপাকড়ের মাধ্যমে এক ধরনের ভীতি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের সমালোচনা করার জন্য কাউকে আটক করা হয়নি। যারা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, কিংবা তথ্য এবং ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে কারো সম্মানহানি করছে অথবা কোনো কিছু উসকে দেবার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
No comments