প্রেমিকাই আজ স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার by পিয়াস সরকার
মোটরবাইকে
বসে আছেন তন্ময়। হালকা রোদের আভায় ওঠানো সেই ছবিটাই তার প্রোফাইল পিকচার।
ক্যাপশনে লেখা ‘সকালের মিষ্টি রোদ ও আমার প্রেমিকা (বাইক)।
তন্ময় আহমেদ। অধ্যয়নরত আছেন রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত তন্ময়ের ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। এই বাইকের জন্য বাবার হাতে মার পর্যন্ত খেতে হয়েছে তাকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চলে আসেন ঢাকায়। সচ্ছল পরিবারের সন্তান তন্ময়ের দিন স্বপ্নের মতোই কাটছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। ভারতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। এরপর ছেড়ে দিতে বাধ্য হন চাকরি। তন্ময়ের লেখাপড়া, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন সেখানেই থেমে যাওয়ার উপক্রম। চার মাস বাড়িতে কাটানোর পর ফের ফিরে আসেন ঢাকায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন শখের বাইকটিকে।
সে থেকেই তার নতুন পথচলার শুরু। প্রায় একবছর যাবৎ সে অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক বাইক সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। সকালে ক্লাস শেষে দুপুরে বাইক নিয়ে নেমে পড়েন রাস্তায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বাইক চালান তিনি। মাসে আয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এতেই তার লেখাপড়ার খরচ চলছে খুব ভালোভাবেই। শুধু তাই নয়, ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচও চালিয়ে যাচ্ছেন। তন্ময় বলেন, আমি সারা দিন বাইক চালাই এতে মোটেও ক্লান্তি আসে না। আমি ছোটবেলা থেকেই বাইক নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করতাম। সেই ঘুরে বেড়ানো ও প্রিয় বাইকটি আজ আমার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার। চার বছর আগে আব্বু কিনে দিয়েছিলেন বাইকটি। আমি বন্ধু-বান্ধবের কাছে একে প্রেমিকা বলেই সম্বোধন করি। সেই প্রেমিকাই আজ আমার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার।
তন্ময় আহমেদ। অধ্যয়নরত আছেন রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত তন্ময়ের ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। এই বাইকের জন্য বাবার হাতে মার পর্যন্ত খেতে হয়েছে তাকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চলে আসেন ঢাকায়। সচ্ছল পরিবারের সন্তান তন্ময়ের দিন স্বপ্নের মতোই কাটছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। ভারতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। এরপর ছেড়ে দিতে বাধ্য হন চাকরি। তন্ময়ের লেখাপড়া, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন সেখানেই থেমে যাওয়ার উপক্রম। চার মাস বাড়িতে কাটানোর পর ফের ফিরে আসেন ঢাকায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন শখের বাইকটিকে।
সে থেকেই তার নতুন পথচলার শুরু। প্রায় একবছর যাবৎ সে অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক বাইক সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। সকালে ক্লাস শেষে দুপুরে বাইক নিয়ে নেমে পড়েন রাস্তায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বাইক চালান তিনি। মাসে আয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এতেই তার লেখাপড়ার খরচ চলছে খুব ভালোভাবেই। শুধু তাই নয়, ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচও চালিয়ে যাচ্ছেন। তন্ময় বলেন, আমি সারা দিন বাইক চালাই এতে মোটেও ক্লান্তি আসে না। আমি ছোটবেলা থেকেই বাইক নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করতাম। সেই ঘুরে বেড়ানো ও প্রিয় বাইকটি আজ আমার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার। চার বছর আগে আব্বু কিনে দিয়েছিলেন বাইকটি। আমি বন্ধু-বান্ধবের কাছে একে প্রেমিকা বলেই সম্বোধন করি। সেই প্রেমিকাই আজ আমার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার।
No comments