মর্মান্তিক! ভবন থেকে ইট পড়ে ১৬ দিনের শিশুর মৃত্যু
একটি
ইটের টুকরো। ১৬ দিনের শিশু আব্দুল্লাহর জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। সেই
সঙ্গে কেড়ে নিয়েছে মা-বাবার স্বপ্ন। নিজ ঘরের সামনে আব্দুল্লাহকে কোলে নিয়ে
দাঁড়িয়েছিলেন তার খালা। হঠাৎ উপর থেকে একটি ইটের টুকরো এসে পড়ে
আব্দুল্লাহর মুখে। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু
আব্দুল্লাহকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অথচ মাত্র ১৬ দিন আগে জন্ম নেয়ার পর
আব্দুল্লাহকে নিয়ে বাবা-মায়ের চোখে বোনা শুরু হয় হাজারো স্বপ্ন।
ছেলে একদিন অনেক বড় হবে। বাবা মায়ের স্বপ্ন এক এক করে পূরণ করবে। কিন্তু সব স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। গতকাল সকাল ১০টায় মিরপুর এক নম্বর সেকশনের জোনাকি রোডে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ইটের টুকরো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর অবস্থায় আব্দুল্লাহকে নেয়া হয় আগারগাঁওয়ের ঢাকা শিশু হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল্লাহর বাবা কবির হোসেন জানান, ১৬ দিন আগে মিরপুরের একটি হাসপাতালে আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করে। গতকাল সকালে শিশুর খালা তামিম সুলতানা আব্দুল্লাহকে কোলে নিয়ে বাসার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পাশের একটি চারতলা ভবনের ছাদে বাচ্চারা খেলছিল। হঠাৎ সেখান থেকে একটি পাঁচ ইঞ্চির মতো ইট খালার কোলে থাকা শিশু আব্দুল্লাহর মুখের উপর এসে পড়ে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বরিশালের মুলাদী উপজেলার প্রাইভেটকারচালক কবির হোসেনের প্রথম সন্তান মেয়ে। তাই দ্বিতীয় সন্তান পুত্র হওয়ায় তাদের ঘরে বইছিল আনন্দের বন্যা। কিন্তু ১৬ দিনের মাথায় তা পরিণত হয় কান্নায়। বিষাদে। স্ত্রী লাইজু ও মেয়ে আয়শাকে নিয়ে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের জোনাকি রোডে ৭৫ নম্বর একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকে কবির হোসেন।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বলেন, পাশের একটি চারতলা ভবনের ছাদে কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। এ সময় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর হাত থেকে একটি ইটের টুকরো নিচে পড়ে যায়। এতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
আব্দুল্লাহর মতো এমন অনেকেই আকস্মিক অপঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়েও এমন মৃত্যুর শিকার হতে হচ্ছে অনেককে। চলতি বছরের অক্টোবরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বলাকা ভবনের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের উপর থেকে ইট পড়ে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের একজন নিহত হয়েছেন। এর আগে মে মাসে ভবনের উপর থেকে ইট পড়ে যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল রোড এলাকায় নিয়ামুল নামের এক বৃদ্ধ প্রাণ হারান। তবে, এসব অপ্রত্যাশিত ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ শিক্ষাবিদ ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যেকোনো নির্মাণ কাজ শেষ হলে বা চলাকালে ভবনের অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তথা ইট পাথর সরিয়ে রাখা উচিত। এ বিষয়গুলো নিয়ে সবার সচেতন হতে হবে। একই কথা রাস্তাঘাটের ক্ষেত্রেও। মানুষের জন্য নিরাপদ করে তুলতে হবে। কোনো দুর্ঘটনার শিকার যেন কাউকে না হতে হয় সেজন্য চলাচলের উপযুক্ত রাখতে হবে। মিরপুরের এই ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি যদি নির্মাণাধীন ভবন হতো তাহলে আলাদা কথা ছিল।
ছেলে একদিন অনেক বড় হবে। বাবা মায়ের স্বপ্ন এক এক করে পূরণ করবে। কিন্তু সব স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। গতকাল সকাল ১০টায় মিরপুর এক নম্বর সেকশনের জোনাকি রোডে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। ইটের টুকরো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর অবস্থায় আব্দুল্লাহকে নেয়া হয় আগারগাঁওয়ের ঢাকা শিশু হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল্লাহর বাবা কবির হোসেন জানান, ১৬ দিন আগে মিরপুরের একটি হাসপাতালে আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করে। গতকাল সকালে শিশুর খালা তামিম সুলতানা আব্দুল্লাহকে কোলে নিয়ে বাসার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পাশের একটি চারতলা ভবনের ছাদে বাচ্চারা খেলছিল। হঠাৎ সেখান থেকে একটি পাঁচ ইঞ্চির মতো ইট খালার কোলে থাকা শিশু আব্দুল্লাহর মুখের উপর এসে পড়ে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বরিশালের মুলাদী উপজেলার প্রাইভেটকারচালক কবির হোসেনের প্রথম সন্তান মেয়ে। তাই দ্বিতীয় সন্তান পুত্র হওয়ায় তাদের ঘরে বইছিল আনন্দের বন্যা। কিন্তু ১৬ দিনের মাথায় তা পরিণত হয় কান্নায়। বিষাদে। স্ত্রী লাইজু ও মেয়ে আয়শাকে নিয়ে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের জোনাকি রোডে ৭৫ নম্বর একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকে কবির হোসেন।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বলেন, পাশের একটি চারতলা ভবনের ছাদে কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। এ সময় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর হাত থেকে একটি ইটের টুকরো নিচে পড়ে যায়। এতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
আব্দুল্লাহর মতো এমন অনেকেই আকস্মিক অপঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়েও এমন মৃত্যুর শিকার হতে হচ্ছে অনেককে। চলতি বছরের অক্টোবরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বলাকা ভবনের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের উপর থেকে ইট পড়ে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের একজন নিহত হয়েছেন। এর আগে মে মাসে ভবনের উপর থেকে ইট পড়ে যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল রোড এলাকায় নিয়ামুল নামের এক বৃদ্ধ প্রাণ হারান। তবে, এসব অপ্রত্যাশিত ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ শিক্ষাবিদ ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যেকোনো নির্মাণ কাজ শেষ হলে বা চলাকালে ভবনের অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তথা ইট পাথর সরিয়ে রাখা উচিত। এ বিষয়গুলো নিয়ে সবার সচেতন হতে হবে। একই কথা রাস্তাঘাটের ক্ষেত্রেও। মানুষের জন্য নিরাপদ করে তুলতে হবে। কোনো দুর্ঘটনার শিকার যেন কাউকে না হতে হয় সেজন্য চলাচলের উপযুক্ত রাখতে হবে। মিরপুরের এই ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি যদি নির্মাণাধীন ভবন হতো তাহলে আলাদা কথা ছিল।
No comments