সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বিচ্ছেদ by মিসবাহুল হক
‘আমি
তোমার ঘ্রাণ নিতে চাই। শক্ত করে ধরতে চাই। তোমার ঠোঁটে চুমু খেতে চাই।
তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমার প্রেমে পড়েছি।’ অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের জেফ বেজোস তার বান্ধবী লরেন সানচেজকে এমন রোমান্টিক
বার্তা পাঠাতেন। স্ত্রী ম্যাকেঞ্জিকে এড়িয়ে সংবাদ উপস্থাপিকা বান্ধবী
সানচেজের সঙ্গে নিয়মিত ডেটও করতেন বেজোস। এর জের ধরে বেজোস দম্পতির ২৫
বছরের সংসারে ভাঙন ধরতে চলেছে। আর এর মধ্য দিয়েই বেজোস দম্পতির বিশাল
ধনসাম্রাজ্যও দু’ভাগ হতে চলেছে।
মার্কিন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকুয়ারারের প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছিলেন জেফ বেজোস। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা ধরে রেখেছেন তিনি। কিন্তু বান্ধবী সানচেজের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক হয়তো বিশ্বধনীদের তালিকায় তাকে নিচে নামিয়ে আনবে। কেননা, ২৫ বছর আগে ম্যাকেঞ্জি বেজোসকে বিয়ে করেছিলেন জেফ।
ওই বছরই দুজনে মিলে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ও ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। এ দম্পতির নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধাপে ধাপে অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হয়। অ্যামাজনে বেজোস দম্পতির শেয়ার সমান সমান। অর্থাৎ জেফ বেজোসের প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকার সমান অর্ধেক ম্যাকেঞ্জি বেজোসের। বৃহস্পতিবার জেফ বেজোস তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ম্যাকেঞ্জির থেকে পৃথক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ও পৃথক থাকার ট্রায়াল দেয়ার পর, আমরা ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বন্ধু হিসেবে জীবন কাটাতে চাই। আমরা পরস্পরকে পেয়ে খুবই সৌভাগ্যবান।
বিবাহিত জীবনের প্রত্যেকটি বছরের জন্য আমরা পরস্পরের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের ছিল। সম্পর্ক বদলে গেলেও বন্ধু হিসেবে বাকি জীবন কাটাবো।’ জেফ বেজোসের এই টুইট থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, বেজোস দম্পতির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, বেজোস দম্পতির সম্পদের পরিমাণ ১৩৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা। এ বিশাল সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে এ দম্পতির মধ্যে কোনো চুক্তিও নেই। তাই চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদ হলে তাদের এই বিশাল ধনসাম্রাজ্য সমান দু’ভাগ হওয়া অনেকটাই অবধারিত। এই একটি বিচ্ছেদই বিশ্বে সম্পদশালীদের তালিকা বদলে দিতে পারে। বিচ্ছেদের কারণে ম্যাকেঞ্জি পাবেন সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীতে পরিণত হবেন।
বলা হচ্ছে, বেজোস দম্পতির বিচ্ছেদ এতটা সহজ হবে না। কেননা, অ্যামাজন ছাড়াও তাদের ৪ লাখ একর সম্পত্তি রযেছে। এছাড়া, বেজোস দম্পতির ৪ সন্তানও রয়েছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একটি বিচ্ছেদ বিশ্ব সম্পদ র্যাংকিং বদলে দিতে পারে। যদি এই দম্পতি তাদের সম্পদ সমান ভাগ করেন, তাহলে ম্যাকেঞ্জি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর তকমা পাবেন। এর ফলে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আবারো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হবেন। ২০১৭ সালে বিল গেটসকে হারিয়ে জেফ বেজোস ধনীদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেন। জেফ বেজোসের বর্তমান বান্ধবী লরেন সানচেজ হলিউডের অভিনেত্রী ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি প্যাট্রিক হুইটসেলকে বিয়ে করেছিলেন। এ দম্পতির ২ সন্তানও রযেছে। এটি ছিল সানচেজের দ্বিতীয় বিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি স্বামী থেকে পৃথক রয়েছেন। প্রথম স্বামী টনি গঞ্জালেজের ঘরে তার আরো এক সন্তান রয়েছে।
দ্য সানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে সিয়াটলে বেজোস দম্পতির সঙ্গে লরেন সানচেজ ও তার দ্বিতীয় স্বামীর পরিচয়। সিয়াটলে দুই পরিবারেরই বাড়ি ছিল। এই সূত্রে তাদের সাক্ষাৎ হয়। মাঝে মাঝে প্যাট্রিক ও সানচেজ আলাদা থাকতেন। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা। পরে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথক থাকতে শুরু করেন। এ সময় সানচেজ তার স্বামী প্যাট্রিককে জানান, তিনি এখন জেফ বেজসের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার কথা ভাবছেন। সানচেজের সঙ্গে জেফ বেজসের এই সম্পর্ক অল্প সময়ের না। একটি টিভি শো-এর শুটিংয়ের সময় সানচেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেফ বেজোস। পরে প্রায়ই তাদের দেখা-সাক্ষাৎ চলতে থাকে। ক্রমেই পরস্পর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তারা। সর্বশেষ গত রোববার অ্যামাজনের গোল্ডেন গ্লোবস পার্টিতে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। এছাড়াও জেফ ও লরেন সানচেজ গোপন রিসোর্টসহ বিভিন্ন হোটেলে অবকাশযাপন করেছেন। ন্যাশনাল এনকুয়ারারের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকুয়ারারের প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছিলেন জেফ বেজোস। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা ধরে রেখেছেন তিনি। কিন্তু বান্ধবী সানচেজের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক হয়তো বিশ্বধনীদের তালিকায় তাকে নিচে নামিয়ে আনবে। কেননা, ২৫ বছর আগে ম্যাকেঞ্জি বেজোসকে বিয়ে করেছিলেন জেফ।
ওই বছরই দুজনে মিলে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি ও ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। এ দম্পতির নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধাপে ধাপে অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হয়। অ্যামাজনে বেজোস দম্পতির শেয়ার সমান সমান। অর্থাৎ জেফ বেজোসের প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকার সমান অর্ধেক ম্যাকেঞ্জি বেজোসের। বৃহস্পতিবার জেফ বেজোস তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ম্যাকেঞ্জির থেকে পৃথক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ও পৃথক থাকার ট্রায়াল দেয়ার পর, আমরা ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বন্ধু হিসেবে জীবন কাটাতে চাই। আমরা পরস্পরকে পেয়ে খুবই সৌভাগ্যবান।
বিবাহিত জীবনের প্রত্যেকটি বছরের জন্য আমরা পরস্পরের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের ছিল। সম্পর্ক বদলে গেলেও বন্ধু হিসেবে বাকি জীবন কাটাবো।’ জেফ বেজোসের এই টুইট থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, বেজোস দম্পতির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, বেজোস দম্পতির সম্পদের পরিমাণ ১৩৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা। এ বিশাল সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে এ দম্পতির মধ্যে কোনো চুক্তিও নেই। তাই চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদ হলে তাদের এই বিশাল ধনসাম্রাজ্য সমান দু’ভাগ হওয়া অনেকটাই অবধারিত। এই একটি বিচ্ছেদই বিশ্বে সম্পদশালীদের তালিকা বদলে দিতে পারে। বিচ্ছেদের কারণে ম্যাকেঞ্জি পাবেন সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীতে পরিণত হবেন।
বলা হচ্ছে, বেজোস দম্পতির বিচ্ছেদ এতটা সহজ হবে না। কেননা, অ্যামাজন ছাড়াও তাদের ৪ লাখ একর সম্পত্তি রযেছে। এছাড়া, বেজোস দম্পতির ৪ সন্তানও রয়েছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একটি বিচ্ছেদ বিশ্ব সম্পদ র্যাংকিং বদলে দিতে পারে। যদি এই দম্পতি তাদের সম্পদ সমান ভাগ করেন, তাহলে ম্যাকেঞ্জি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর তকমা পাবেন। এর ফলে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আবারো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হবেন। ২০১৭ সালে বিল গেটসকে হারিয়ে জেফ বেজোস ধনীদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেন। জেফ বেজোসের বর্তমান বান্ধবী লরেন সানচেজ হলিউডের অভিনেত্রী ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি প্যাট্রিক হুইটসেলকে বিয়ে করেছিলেন। এ দম্পতির ২ সন্তানও রযেছে। এটি ছিল সানচেজের দ্বিতীয় বিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি স্বামী থেকে পৃথক রয়েছেন। প্রথম স্বামী টনি গঞ্জালেজের ঘরে তার আরো এক সন্তান রয়েছে।
দ্য সানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে সিয়াটলে বেজোস দম্পতির সঙ্গে লরেন সানচেজ ও তার দ্বিতীয় স্বামীর পরিচয়। সিয়াটলে দুই পরিবারেরই বাড়ি ছিল। এই সূত্রে তাদের সাক্ষাৎ হয়। মাঝে মাঝে প্যাট্রিক ও সানচেজ আলাদা থাকতেন। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা। পরে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথক থাকতে শুরু করেন। এ সময় সানচেজ তার স্বামী প্যাট্রিককে জানান, তিনি এখন জেফ বেজসের সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার কথা ভাবছেন। সানচেজের সঙ্গে জেফ বেজসের এই সম্পর্ক অল্প সময়ের না। একটি টিভি শো-এর শুটিংয়ের সময় সানচেজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেফ বেজোস। পরে প্রায়ই তাদের দেখা-সাক্ষাৎ চলতে থাকে। ক্রমেই পরস্পর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তারা। সর্বশেষ গত রোববার অ্যামাজনের গোল্ডেন গ্লোবস পার্টিতে তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে। এছাড়াও জেফ ও লরেন সানচেজ গোপন রিসোর্টসহ বিভিন্ন হোটেলে অবকাশযাপন করেছেন। ন্যাশনাল এনকুয়ারারের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
No comments