৩০ লাখ শহীদকে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে: -সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ বীর যোদ্ধাকে
চিহ্নিত করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেছেন, একাত্তরের ৯
মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ত্রিশ লাখ শহীদদের চিহ্নিত করা সম্ভব
হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মহান
স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ করে
ডাটাবেইজ প্রস্তুত পূর্বক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। গতকাল
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে উত্থাপিত
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক প্রশ্নের লিখিত জবাবে
প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের
প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশিত তালিকার
বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন, তা সনাক্ত করে উক্ত তালিকায়
প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সংসদ নেতা জানান, উক্ত তালিকার অংশ হিসেবে বর্তমানে
মোট ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম, ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে গেজেটভূক্ত বেসামরিক শহীদ ২ হাজার ৯২২ জন, গেজেটভূক্ত সশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, গেজেটভূক্ত বিজিবি শহীদ ৮৩২ জন এবং গেজেটভূক্ত শহীদ পুলিশ ৪২৪ জন। তিনি জানান, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগিদের হাতে নিহত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত গণকবর সমূহ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আমাদের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর সনাক্তকরণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের গৃহীত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ২৮১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন যে, গ্রামীণ উন্নয়ন ছাড়া উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।
জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করি। রূপকল্প-২০২১-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো- গ্রামীণ দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনের আগে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ-এ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছি। যার স্লোগান হলো- আমার গ্রাম- আমার শহর। এলক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে আমরা গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছি। আমাদের নিবাচনী অঙ্গীকার হলো- প্রতিটি গ্রামে আধুনিক শহরের সুবিধা সম্প্রসারণ। এ লক্ষ্যে আমরা গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশক ধরেই আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। গ্রামীণ জনগণের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, শিক্ষার হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ।
দেশের নগর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিগত দুই মেয়াদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন এই চার স্তম্ভের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ করে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, মহাশূণ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। ইউএন ই-গভর্নমেন্ট উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে ১৫০তম অবস্থান হতে ২০১৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যে ঈর্ষণীয়। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২০-২০২১ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এর আলোকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহীমূলক প্রশাসন গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জনপ্রশাসনকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করার লক্ষ্যে আমরা ই-নথি ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ই-নথি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া গণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছি।
এর মধ্যে গেজেটভূক্ত বেসামরিক শহীদ ২ হাজার ৯২২ জন, গেজেটভূক্ত সশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, গেজেটভূক্ত বিজিবি শহীদ ৮৩২ জন এবং গেজেটভূক্ত শহীদ পুলিশ ৪২৪ জন। তিনি জানান, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগিদের হাতে নিহত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত গণকবর সমূহ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আমাদের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর সনাক্তকরণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের গৃহীত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ২৮১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা হবে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন যে, গ্রামীণ উন্নয়ন ছাড়া উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।
জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করি। রূপকল্প-২০২১-এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো- গ্রামীণ দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনের আগে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ-এ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছি। যার স্লোগান হলো- আমার গ্রাম- আমার শহর। এলক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে আমরা গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছি। আমাদের নিবাচনী অঙ্গীকার হলো- প্রতিটি গ্রামে আধুনিক শহরের সুবিধা সম্প্রসারণ। এ লক্ষ্যে আমরা গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশক ধরেই আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। গ্রামীণ জনগণের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, শিক্ষার হার ও গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ।
দেশের নগর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ সমাজের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি আধুনিক জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিগত দুই মেয়াদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন এই চার স্তম্ভের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ করে সফল হয়েছি।
তিনি বলেন, মহাশূণ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। ইউএন ই-গভর্নমেন্ট উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে ১৫০তম অবস্থান হতে ২০১৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যে ঈর্ষণীয়। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষতা উন্নয়নে নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২০-২০২১ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এর আলোকে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহীমূলক প্রশাসন গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জনপ্রশাসনকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করার লক্ষ্যে আমরা ই-নথি ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের ই-নথি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া গণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছি।
No comments